কৃষি অর্থনীতি হচ্ছে অর্থনীতির একটি সর্বপ্রাচীন এবং সুপ্রতিষ্ঠিত শাখা। ইহা কৃষিক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী অর্থনৈতিক শক্তিসমুহ এবং অর্থনীতির বাকী অংশে প্রভাব বিস্তারকারী কৃষি ক্ষেত্র সমুহকে নিয়ে আলোচনা করে। ইহা হচ্ছে অর্থনীতির একটি গুরুত্ত্বপূর্ন অংশ যা, জটিল বিশ্বের প্রকৃত অবস্থার নিরীখে ব্যাষ্টিক অর্থনীতির তত্ত্ব প্রয়োগে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এবং অনেক সাধারণ আবেদনকে খুব বেশি গুরুত্ত্ব দেয়; ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা, গৃহস্থালী আচরণ এবং সম্পদের অধিকার ও প্রাপ্যতার মধ্যে সম্পর্ক। সম্প্রতি এর পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক দ্রব্য বাণিজ্য এবং পরিবেশ নীতি অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।

তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

*কৃষি অর্থনীতি কি: কৃষি অর্থনীতি একটি সম্পুর্ন প্রয়োগিক অর্থনৈতিক বিজ্ঞান। অর্থনীতির বিভিন্ন নীতি যখন কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় তখন তাকে কৃষি অর্থনীতি বলে। এটি মুলত ফসল, গৃহপালিত পশু ও মৎস্য উৎপাদন ও উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠ বিপণনের ক্ষেত্রে অর্থনীতির বিভিন্ন নীতি প্রয়োগ করে। কৃষি অর্থনীতি বিভিন্ন প্রায়গিক বিষয়ের সমন্বয় এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রচলিত অর্থনীতির সঙ্গে পুনরাবৃত্তি হয়ে যায়। **কৃষি অর্থনীতি গুরুত্ব: কৃষি অর্থনীতি কৃষক কে বিভিন্ন ফসল, পশু, মাছ ইত্যাদির লাভজনক প্রজাতি নির্বাচন ও উৎপাদন করতে পরামর্শ প্রদান, ফসল উৎপাদনের জন্য জমি নির্বাচন ও তাতে বিভিন্ন ইনপুট যেমন সার, বীজ, পানি ইত্যাদি ব্যবহারে দিক নির্দেশনা প্রদান, কৃষি ঋণ গ্রহণ ও এর যথার্থ ব্যবহারে তথ্য প্রদান, কৃষি সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, কৃষি পণ্য বিপণন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে এবং সর্বোপরি জাতীয় অর্থনীতির বিবেচনায় কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়তা করে । কৃষি অর্থনীতি ব্যাংকিং বিষয়ক তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে অবদান রাখতে সহায়তা করে। কৃষি অর্থনীতি ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তা তৈরিতে শিক্ষা প্রদান, কৃষি ব্যবসা পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান, ফার্ম ব্যবস্থাপনা বিষয়ক শিক্ষা প্রদান, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের দারিদ্র্য দূর করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়নে সহায়তা করে। যা পড়ানো হয়: কৃষি অর্থনীতি সাধারণত সাধারন অর্থনীতি, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, ব্যাংকিং, সমাজ বিজ্ঞান, গ্রামীণ উন্নয়ন এর প্রায় সব প্রধান দিকগুলো পড়িয়ে থাকে। আরো নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মৌলিক অর্থনীতি, ব্যষ্টিক অর্থনীতি, সামস্টিক অর্থনীতি, উৎপাদন অর্থনীতি, গাণিতিক অর্থনীতি, প্রাকৃতিক সম্পদ অর্থনীতি, পরিবেশ অর্থনীতি, কৃষিনীতি ও পরিকল্পনা, কৃষি উন্নয়ন অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, বাংলাদেশের অর্থনীতি, খামার ব্যবস্থাপনা, কৃষি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, কৃষি বিপণন, গ্রামীণ উদ্যোক্তা তৈরিকরন, দাম বিশ্লেষণ ও দাম নির্ধারন, কৃষি সমবায়, হিসাববিদ্যা, অর্থ সংস্থান বিদ্যা, ব্যাংকিং-র নীতি ও অনুশীলন, ব্যাংকিং-এ বিনিয়োগ ও আধুনিকায়ন, কৃষি ঋণ ও টাকার বাজার, কৃষি ঋণ ব্যবস্থাপনা, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান, দারিদ্র্য গবেষণা, গ্রামীণ উন্নয়ন, সরকার এবং রাজনীতি, নৃবিজ্ঞান, মৌলিক পরিসংখ্যান, প্রায়গিক পরিসংখ্যান, গবেষণা পদ্ধতি, মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। সেই সাথে কৃষিতত্ত্ব, উদ্যানতত্ত্ব, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, কৃষি সম্প্রসারণ, পশু বিজ্ঞান, মাৎস্যবিজ্ঞান, ইংরেজি, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন সিস্টেম, ই-কমার্স ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। এবং অনার্সের শেষ সেমিস্টার বা টার্মে সরকারি বেসরকারি ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এগ্রিবিজনেস ফার্ম অথবা কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করানো হয়ে থাকে। চাকুরীর ক্ষেত্র: কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটরা দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরামর্শদানকারি প্রতিস্থান, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক, এগ্রিবিজনেস ফার্ম, বহুজাতিক কোম্পানি ইত্যাদিতে সাফল্যের সাথে শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠিত রয়েছে। কৃষি অর্থনীতি গ্রাজুয়েটরা নিম্মোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে আবেদন করার যোগ্যতা রাখে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের আওতাভুক্ত সরকারি সকল প্রথম শ্রেণীর চাকুরীতে আবেদন করতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ