বিমান যখন উড়ন্ত অবস্হায় থাকে তখন পৃথিবীরও নিজস্ব একটা গতি থাকে , যদি পৃথিবীর গতি না থাকত তাহলে কি গন্তব্য স্হলে আগে পৌঁছাতে পারত?  একটু যদি বুঝিয়ে বলতেন .....................
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

অত্যান্ত সুক্ষ্ম হিসাব করলে দিক অনুযায়ী কিছুটা তারতম্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ কিছুটা আগে বা পরে পৌছায়। কিন্তু এই কিছুটা এতই কম যে তা গননায় ধরা হয়না। কারন দৃশ্যত পরিবর্তন বা সময়ের পার্থক্য বোঝার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু সময় হতে ৩ মাস লেগে যাবে। তাই সাভাবিক ভাবে সময় কম বা বেশি লাগবেনা  ধরা হয়।  আপনি হয়ত বলতে চাচ্ছেন বিমান যখন পৃথিবী ছেড়ে উপরে ওঠে তখন পৃথিবী আহ্নিক গতির ফলে স্থান পালতে আগে পৌছাবে। এখানে প্রথমে আপনার কথা ঠিক মনে করে আমি বলতে চাই তাহলে বিমানটি যদি পশ্চিমে যায় তবে কম সময় লাগবে, আর পুর্বে গেলে বেশি সময় লাগবে কারন পৃথিবী নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে।  এবার আসি আসল কথায়, কিন্তু আসলে সময় কম বেশি লাগবেনা কারন বিমান যতই আকাশে উড়ুক তা পৃথিবীর গতির সাথে সম বেগে আছে। বিমান স্থির থাকলে যেমন পৃথিবীর সাথে সমবেগে ঘুরছে তেমনি( যেটি স্থির সেটি পৃথিবীর সাপেক্ষে স্থির, তাই তা পৃথিবীর সাথে ঘুরছে) বিমান আকাশে উড়লেও একই সমবেগে আছে কারন পৃথিবীর বায়ু মন্ডলও পৃথিবীর সাথে সমতালে আবর্তন করছে যে কারনে আমরা গাড়িতে চলার মত বাতাসের ঘর্ষন পাইনা। তাই ধরি, বিমান আকাশে স্থির তাহলেও তা বায়ুমন্ডলের সাথে পৃথিবীর সাথে সমবেগে আছে। ফলে স্থান পরিবর্তন করতে বিমানের নিজস্ব গতি লাগবে তাই সময়ও একই লাগবে। তবে এখানে রকেটের কথা আলাদা। কারন রকেট বায়ুমন্ডলের উপরে উঠে শুন্যে যেয়ে পৃথিবীর সাপেক্ষ্য মুক্ত হতে পারে। জানিনা কতটুকু বোঝাতে পেরেছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ