অাসসালামু অালাইকুম। অামি ইংরেজিতে অনেক দুর্বল। কিভাবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব?? 
হ্যাঁ অনেকে বলবেন চর্চার কথা। কিন্তু দিকনির্দেশনাটা সাথে দিলে অনেক উপকৃত হতাম। কিভাবে শুরু করতে পারি, এ ব্যাপারে সিনিয়রদের মত অাশা করছি। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনি একটা ৩ মাসের কোচিং সেন্টারে  ভর্তি হন এবং learning English  বুক টা কিনে বাসাই প্রাক্টিস  করেন।  কারোর সাথে কথা বলার সময় ইংলিশ প্রয়েগের চেষ্টা করুন  

ধন্যবাদ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিজে নিজেই ইংরেজিতে পারদর্শী হবার ১০টি পদ্ধতি স্কুলজীবনে আমি আমার ইংরেজি টিচারদের খুব প্রিয় ছিলাম। এতটাই প্রিয় যে, যেই ইংরেজি স্যারের কাছে কোচিং করতাম তাঁর ব্যাচের নামই ছিল আমার নামে। এটা আমার জন্য বেশ বড়সড় এক অর্জন ছিল। কেননা, সাধারণত স্যার-ম্যামদের কোচিং এর ব্যাচ এর নাম হতো কম্বাইন্ড ফার্স্ট-সেকেন্ড যারা হতো, তাদের নামে। আমি বরাবরই মিডিওকার ছিলাম এবং মজার বিষয়, এই মিডিওকার হওয়াটাই ছিল আমার এই “অর্জন” এর পিছনের মূল কারণ।  সব বিষয়ে মোটামুটি রেজাল্ট করা একজন ছাত্রী ইংরেজি সবসময় কীভাবে এতো ভাল করতো, তাঁরা ভেবেই পেতেন না। তাঁরা ধরেই নিতেন, আমি অন্য সব পড়া বাদ দিয়ে সারাদিন ইংরেজি নিয়ে বসে থাকতাম। এবং এ কারণেই আমি তাঁদের খুব প্রিয় ছিলাম।  আসল কাহিনী কিন্তু ভিন্ন। যেহেতু আমি খুবই অলস একজন মানুষ ছিলাম (এখনো আছি), আমার এতো কষ্ট করে পড়াশুনা করতে ভালো লাগতো না। ইংরেজি আর অঙ্কটা মূলত বোঝার বিষয় ছিল। বাসায় খুব একটা পড়া লাগতো না। তাই, পার পেয়ে যেতাম ।  তো এই ইংরেজিতে “খুব ভাল” আমার খুব চমৎকার ইংরেজি বলার কথা, তাই না? দেশের নামকরা স্কুল-কলেজে, সবচেয়ে ভাল ইংরেজি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে পড়ে, আমি একটুও না আটকে অনর্গল ইংরেজি বলে যাবো, এটাই তো হবার কথা। কিন্তু বাস্তবে কিন্তু তা হয় না। ঘুরে আসুন: ভিনদেশীদের থেকে শেখার আছে অনেক কিছু! পরীক্ষার খাতায় হাইয়েস্ট মার্কস পাওয়ার মতো ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্ট হওয়ার পথ কিন্তু এতোটা মসৃণ ছিল না। কারণটা খুব সহজ। আমরা যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়ি, তারা গ্রামার, ভোকাবুলারিতে খুব ভাল হলেও; যখন ইংরেজিতে কথা বলতে হয়, তখনই আটকে যাই। মাথায় সবকিছু খুব সুন্দর গুছিয়ে রাখা, লিখতে দিলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যেতে পারবো। কিন্তু বলতে গেলেই, মাথাটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। মুখ খুললে হয়তো আওয়াজই বের হচ্ছে না। তো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল, কারো সাথে ইংরেজিতে কথা বলা প্র্যাকটিস করা। যদি সে নিজে ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্ট হয়, তাহলে তো খুব ভাল। না হলেও ক্ষতি নেই। চর্চা করাটাই আসল। কিন্তু, “ইংরেজিতে আমি খুব ভাল” এই ধারণা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ায় আমি কারো কাছে সাহায্য চাইলাম না। আমি ঠিক করলাম আমি একা একাই ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলায় পারদর্শী হব এবং হলামও। কীভাবে হলাম সেই উপায়গুলো নিয়েই আজকের আয়োজন। ১। চিন্তাটা ইংরেজিতে করতে হবে: আমরা ইংরেজিতে যখন কথা বলি, তখন আগে কী বলব তা বাংলায় ভেবে নেই। তারপর সেটা মনে মনেই ইংরেজিতে অনুবাদ করি এবং তারপর ইংরেজিতে বলি। এর ফলে বারবার বাংলা এবং ইংরেজিতে আমাদের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। যে কারণে, কথায় ফ্লুয়েন্সি থাকে না।  তাই, আমাদের চিন্তাটাও ইংরেজিতেই করতে হবে। শুধুমাত্র কথা বলার সময় না। যেকোন সময়ই। যখনই আমরা নিজের মনে কিছু চিন্তা করবো, চেষ্টা করতে হবে সেই চিন্তাও যাতে ইংরেজিতে হয়। ২। একা একা কথা বলা: যদি ইংরেজিতে চিন্তা করার অভ্যাসটি রপ্ত করে ফেলতে পারো, তাহলে আশে পাশে যখন কেউ নেই; সেই চিন্তাগুলোই নিজেকে নিজে বলে ফেলো। নিজের কানে যখন নিজের কথা শুনতে পাবে, নিজের ভুলগুলোও নিজেই ধরতে পারবে। এবং প্রতিবার প্র্যাকটিসের সময় বুঝতে পারবে যে, আগের চেয়ে ফ্লুয়েন্সি কতটা বাড়লো। ৩। গ্রামার নিয়ে বেশি চিন্তা না করা: ইংরেজিতে কথা বলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গ্রামার নিয়ে। দেখা যায়, গ্রামার নিয়ে এমনিতে কোন সমস্যা নেই। নির্ভুল গ্রামারে লিখে যেতে পারছি। কিন্তু বলতে গেলেই গ্রামারে টুকটাক ভুল হয়েই যাচ্ছে। এবং তখনই আমরা থেমে যাচ্ছি।  এ কারণেই, প্র্যাকটিসের সময় গ্রামার নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। ভুল হচ্ছে? হোক! কথা বলা থামানো যাবে না। গ্রামারের ভুলগুলো যতদিন যাবে কমে আসবে। কিন্তু, গ্রামারের কথা ভেবে যদি বলা থামিয়ে দেই, তবে ফ্লুয়েন্সি কখনোই আসবে না। ৪। প্রচুর ইংরেজি শোনা: আমি যত না ইংরেজি বই পড়ে শিখেছি, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি শিখেছি ইংরেজি মুভি আর সিরিজ দেখে। টিভি সিরিজ এবং মুভি শুধু আমার ইংরেজি শব্দভাণ্ডারই বাড়ায় নি, বরং ইংরেজিতে কথা বলাও সহজ করেছে। এবং এই সিরিজ বা মুভি দেখতে গিয়েই আমি বুঝলাম ইংরেজির কিছু আলাদা শব্দ থাকে। সেগুলোর বাংলা অর্থ করলে দেখা যাবে কিছুই বুঝা যাবে না। সেগুলো যত না শব্দ বা বাক্য, তার চেয়ে বেশি এক্সপ্রেশন। এবং ইংরেজিতে কথা বলার সময় এই এক্সপ্রেশনগুলোর ব্যবহার আমাদের কথাকে আরো শ্রুতিমধুর করে তোলে। তাই, প্রচুর ইংরেজি সিরিজ আর চলচ্চিত্র দেখতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ঢাকা এফ এম এ প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত ১০.৩০-১১.০০ সাইফুরস ক্যারিয়ার শো নামে একটা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।আপনি এ অনুষ্ঠানটা শুনলে অনেক কিছু জানতে পারবেন,আপনার সমস্যার কথা এস এম এসের মাধ্যমে তাদের জানালে তারা আপনাকে একটি দিকনির্দেশনা দিবে।অনুষ্ঠানটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাইফুরস এর প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর রহমান খান স্যার। ইংলিশ অবশ্যই চর্চার বিষয়।তবে প্রথমে উদ্যোগী হতে হবে।ইংলিশে ভালো করতে চাইলে ওয়ার্ড মিনিংয়ের কোন বিকল্প নেই।একটা ওয়ার্ড মিনিংয়ের বই কিনুন।প্রতিদিন এক ঘন্টা করে পড়বেন।এছাড়া আপনি উক্ত অনুষ্ঠানটি শুনলেও ইংরেজি পড়ার প্রতি উৎসাহ পাবেন যেমনটা আমি পেয়েছি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

১ম= প্রয়োজনীয় ইংরেজী শব্দ শিখবেন । আনুমানিক ৪ হাজার হলেই চলবে । দেখা যাবে ২ থেকে আড়াই হাজার আপনি এমনিতেই জানেন । ২য়= গ্রামারটা শিখবেন একটু ভালোভাবে । আর গ্রামারের মধ্যে Tense টা বেশী জরুরি । ৩য়= এবারে আপনার অনিচ্ছার কথাটা বলতেই হচ্ছে । চর্চাটা অবশ্যই খুব জরুরি । নিয়মিত চর্চা করবেন । ৪র্থ= প্রচুর ইংলিশ ছবি, খবর, কার্টুন ইত্যাদি দেখবেন । কার্টুনের ইংলিশটা তুলনামূলক সহজ হয় । তাছাড়াও একটা ইংলিশ চ্যাট গ্রুপ বানাতে পারেন মেসেন্ঞ্জারে । ধন্যবাদ ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ