৯-১৫ বয়সের মধ্যে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় । হয়তো হজ্ব পালনে ৩মাস ও লেগে যেতে পারে । এরই মধ্যে , এক এক মাসে এক এক বার বয়ঃসন্ধিক্ষণ দেখা দিবে । এ নিয়ে কোনো মেয়ে ( তার বয়স যদি ১৪ বা ১৫ হয় ) হজ্ব পালন করতে পারবে ? যুক্তিপূর্ণ উত্তর চাই
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Zahid 420

Call

বিয়ের পরেই হজ্ব করাটা ভাল হবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Habib96

Call

হজের ইহরাম বাঁধার পর অনেক নারীর হায়েজ বা মাসিক শুরু হয়। এ অবস্থায় অনেকেই বিপদের সম্মুখিন হন। না জানার কারণে আমল থেকে বিরত থাকেন। মূলত এ সময় নারীদের হায়েজ (পিরিয়ড) হলেও তারা গোসল করে ইহরাম বাঁধবেন। হায়েজ (পিরিয়ড) অবস্থায় নারীরা শুধু তাওয়াফ ব্যতীত হজের অন্য সমস্ত আরকান পালন করতে পারবেন। হায়েজ শেষ হওয়ার পর গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে। হায়েজের কারণে তাওয়াফ বিলম্বিত হলে কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং ওষুধ-বড়ি খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বা মনোক্ষুণ্ন হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তবে হায়েজ বন্ধ হওয়ার আগেই ফেরত ফ্লাইটের তারিখ হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে তাওয়াফ করা যাবে। যদি শুরু থেকেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে কেউ হজের সমস্ত কাজ করেন, তাতেও শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো আপত্তি নেই। (মাহমুদিয়া ১৫/৪৯১, তাতার খানিয়া, ২/৪৭১ ফাতহুল কাদীর ২/৩৩৭ রহিমিয়া ৮/৮৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Risbe

Call

ভাইয়া হজ্ব করতে ২-৩ মাস সময় লাগেনা। ১০ দিনের মধ্যেই হজ্ব সম্পন্ন হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নিচে কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর লক্ষ্য করুন


প্রশ্ন: ঋতুবতী মহিলা ঋতুকালীন ইহরামের নিয়্যত করতে পারে কিনা? 

উত্তর: করতে পারে। তবে ইহরামের নফল নামায আদায় করতে পারবে না, আর তাওয়াফও পবিত্র হওয়ার পরে করবে।


প্রশ্ন: বিদায় হওয়ার সময় আফাকী (অর্থাৎ মীকাতের বাইরের) মহিলার হায়েজ চলে আসল, তখন তাওয়াফে রুখছত এর ব্যাপারে কী করবে? এখন কি সেখান অবস্থান করবে নাকি সে দম দিয়ে চলে যাবে? 

উত্তর: তার উপর এখন আর তাওয়াফে রুখছত ওয়াজিব রইল না। সে নিজ দেশে চলে যেতে পারবে। দম দেওয়ারও তার আর প্রয়োজন হবে না। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৫১ পৃষ্ঠা)


প্রশ্ন: আজকাল অনেক মহিলারা হায়েজ বন্ধ রাখার জন্য ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। তাই তাদের ঐ নির্দিষ্ট দিন গুলোতে ঔষধের কারণে যখন হায়েজ বন্ধ থাকে তখন কি তারা তাওয়াফে জিয়ারত করতে পারবে নাকি পারবেনা? 

উত্তর: হ্যাঁ, করতে পারবে। (কিন্তু এ ব্যাপারে আপন কোন মহিলা ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিন। কারণ, ঐ ধরনের ঔষধের ব্যবহার অনেক সময় মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, আর যদি খুব দ্রুত ক্ষতির সম্ভাবনার ব্যাপারে প্রবল ধারণা জন্মে, তবে ঔষধ ব্যবহার করাটা নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।) অবশ্য হায়েজ বন্ধ হওয়া অবস্থায় তাওয়াফ বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।


প্রশ্ন: হায়েজা মহিলার (অর্থাৎ যার বর্তমানে হায়েজ চলছে) যদি ফিরার দিন ক্ষণ নির্দিষ্ট থাকে তাহলে তাওয়াফে জেয়ারতে কী করবে? 

উত্তর: ঐ দিনের যাত্রা বাতিল কিংবা স্থগিত করে দিন এবং পবিত্রতা অর্জনের পরেই (অর্থাৎ পাক হয়ে গোসল করে) তাওয়াফে জিয়ারত করে নিবে, আর সিট বাতিল করলে যদি তার নিজের কিংবা সাথীদের মারাত্মক অসুবিধা হয়, তাহলে অপারগ অবস্থায় তাওয়াফে জিয়ারত করে নিবে কিন্তু ‘বাদানাহ’ অর্থাৎ গাভী কিংবা উটের কোরবানী দেয়া আবশ্যক হয়ে পড়বে এবং তাওবা করাও জরুরী হবে। কেননা অপবিত্র অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা এবং তাওয়াফ করা উভয় কাজই গুনাহ।


প্রশ্ন: যদি চার চক্কর দেয়ার পর হায়েজ আসে তখন আর চার চক্করের পূর্বে (অর্থাৎ চার চক্কর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই) আসলে তখন কী হুকুম?


উত্তর: তাওয়াফ চলাকালীন সময়ে যদি কোন মহিলার হায়েজ শুরু হয়ে যায় তখন চাই তার চার চক্কর পূর্ণ হোক বা না হোক, সে দ্রুত তাওয়াফ করা বন্ধ করে দিবে। কারণ হায়েজ অবস্থায় তাওয়াফ করা কিংবা মসজিদে অবস্থান করা জায়িয নেই এবং মসজিদুল হারাম থেকে বাইরে চলে যাবে। সম্ভব হলে তায়াম্মুম করে বাইরে আসবে। কেননা এটাই অধিক সতর্কতা অবলম্বন ও মুস্তাহাব। অতঃপর যখন ঐ মহিলা পবিত্র হবে তখন যদি পূর্বে চার চক্কর অথবা তারও বেশী চক্কর করে নিয়ে থাকে তাহলে অবশিষ্ট চক্করগুলো আদায় করে নিজের পূর্বের ঐ তাওয়াফকে পূর্ণ করবে, আর যদি তিন অথবা এর থেকেও কম চক্কর আদায় করে থাকে, তবে এখনও তা পূর্ণ (অর্থাৎ যেখান থেকে ছুটে গেছে ওখান থেকে শুরু) করতে পারে। যে মহিলার তিন চক্কর আদায় করার পর হায়েজ আসল, আর তার যদি নিজের হায়েজের অবস্থা (অর্থাৎ নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ) সম্পর্কে জানা ছিল এবং হায়েজ আসার পূর্বে সে এতটুকু সময় পের্য়েছিল যে, যদি সে চাইত তবে চার চক্কর পূর্ণ করে নিতে পারত তবে এক্ষেত্রে তার উপর চার চক্কর দেরীতে আদায় করার কারণে দম ওয়াজিব হবে এবং সে গুনাহগারও হবে। বাহারে শরীয়াতে রয়েছে: এমনিভাবে যদি সে এতটুকু সময় পেয়েছিল যে, তাওয়াফ করে নিতে পারত কিন্তু সে করল না, আর এখন তার হায়েজ বা নিফাছ চলে আসল, তাহলে সে গুনাহগার হল। (বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ১১৪৫ পৃষ্ঠা) কিন্তু যে মহিলা চার চক্কর করে নিয়েছে, তার উপর ঐ তিন চক্করে দেরী করার কারণে কিছু ওয়াজিব হবে না। কেননা তাওয়াফে জিয়ারতের অধিকাংশ অংশ সময়ের মধ্যে হওয়াটা ওয়াজিব, পুরাটা নয়। বাহারে শরীয়াতে রয়েছে: “হজ্বের ওয়াজিব কাজ সমূহের মধ্যে একটি ওয়াজিব এমনই রয়েছে: “তাওয়াফে ইফাজা” এর অধিকাংশ অংশ কোরবানীর দিন সমূহের মধ্যে হওয়া। আরাফাত হতে ফিরে আসার পর যে তাওয়াফ করা হয়, তার নাম ‘তাওয়াফে ইফাজা’। তাওয়াফে জিয়ারতের অধিকাংশ থেকে যা অতিরিক্ত (বেশী) রয়েছে। অর্থাৎ তিন চক্কর কোরবানীর দিন ছাড়া অন্য সময়েও করা যায়। (প্রাগুক্ত, ১০৪৯ পৃষ্ঠা) যদি মহিলাটি চার চক্কর সম্পূর্ণ আদায় করে থাকে এবং অবশিষ্ট তিন চক্কর অপারগ হয়ে কিংবা অপারগ না হয়ে এই (অর্থাৎ হায়েজ) অবস্থায় পূর্ণ করে নেয় অথবা ঐ চারটি চক্কর আদায় করেই চলে যায় এবং অবশিষ্ট চক্কর গুলো ছেড়ে দেয়, তাহলে (এসকল অবস্থায়) দম ওয়াজিব হবে, আর যদি সে হায়েজ অবস্থায় করে ফেলা তাওয়াফটি পুনরায় আদায় করে নেয়, তাহলে তার উপর থেকে দম রহিত হয়ে যাবে। যদিও সে কোরবানীর দিন গুলোর পরে তা পুনরায় আদায় করে নেয় এবং যদি তিন চক্কর পাক পবিত্র অবস্থায় করে থাকে, আর অবশিষ্ট চার চক্কর হায়েজ অবস্থায় আদায় করে থাকে তবে তার উপর ‘বাদানাহ’ ওয়াজিব হবে। সাথে সাথে তা আবার পুনরায় আদায় করে দেয়াও ওয়াজিব হবে। বাহারে শরীয়াতে রয়েছে: ফরয তাওয়াফ সম্পূর্ণ অথবা এর অধিকাংশ অর্থাৎ চার চক্কর অপবিত্র অবস্থায় অথবা হয়েজ ও নেফাস অবস্থায় করল, তাহলে ‘বাদানাহ’ ওয়াজিব হবে। আর অযুবিহীন অবস্থায় করলে দম ওয়াজিব হবে। প্রথম অবস্থায় পবিত্রতা অর্জন করার পর তা পুনরায় আদায় করে দেয়া ওয়াজিব। (প্রাগুক্ত, ১১৭৫ পৃষ্ঠা) আর পবিত্র হয়ে পুনরায় আদায় করে দেয়ার ক্ষেত্রে ‘বাদানাহ’ রহিত হয়ে যাবে, যেমনি ভাবে উপরে বর্ণিত হয়েছে।



সূত্র- হ্জ বিষয়ক মাসআলা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ