গরুর পায়ে,এবং মুখে খুড়া হয়েছে। কিন্তু মুখে কুড়া হওয়ার কারনে ২ দিন কিছু খেতে পারছে না। শরীর শুকিয়ে গেছে। ষাঁড় গরু, বয়স ১ বছর।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ পশুর ক্ষত পটাশ বা আইওসান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। সোহাগার খৈ মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে। নরম খাবার দিতে হবে। পশুকে শুষ্ক মেঝেতে রাখতে হবে; কোনো অবস্থায়ই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবে না। সুস্থ অবস্থায় গবাদিপশুকে বছরে দু’বার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। খাওয়ার সোডা ৪০ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে পায়ের ঘা পরিষ্কার করে সালফানাসাইড পাউডার লাগাতে হবে। সালফানাসাইড/টেট্রাসাইক্লিন অথবা উভয় ওষুধ ৫ থেকে ৭ দিন ব্যবহার করতে হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি কি ক্ষুরা রোগ ক্ষুর পঁচা রোগের কথা বলছেন?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চিকিৎসাঃ 

আক্রান্ত পশুকে সুস্থ প্রাণী থেকে আলাদা রাখতে হবে। অসুস্থ প্রাণীর ক্ষত পটাশ মিশ্রিত পানি (০.০১ শতাংশ পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট) দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। ফিটকিরির পানি ১০ গ্রাম (২ চা চামচ) ১লিটার পানিতে মিশিয়ে মুখ পরিস্কার করতে হবে। সোহাগার খৈ গুড়া করে মধু মিশিয়ে মুখের ঘায়ে প্রলেপ দিতে হবে। নরম খাবার দিতে হবে। প্রাণীকে শুষ্ক ও ছায়াযুক্ত স্থানে মেঝেতে রাখতে হবে। কোন অবস্থায়ই কাদা মাটি বা পানিতে রাখা যাবে না। খাওয়ার সোডা ৪০ গ্রাম ১লিটার পানিতে মিশিয়ে পায়ের ঘা পরিষ্কার করে সালফানিলামাইড পাউডার লাগাতে হবে। মাছি হতে সাবধান থাকতে হবে যাতে পোকা না দিতে পারে। এক্ষেত্রে সালফানিলামাইড পাউডার ও নিগুভন পাউডার নারিকেল তৈল এর সাথে বা ভেজেলিনের সাথে মিশ্রিত করে ঘায়ে লাগানো সর্বোত্তম। উল্লেখ্য ঔষধ লাগানোর পূর্বে পায়ের ঘা হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দ্বারা পরিস্কার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। আক্রান্ত গরু মহিষকে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হতে রক্ষার জন্য পেনিসিলিন অথবা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন প্রয়োগ করতে হবে (ডাক্তারের পরামর্শক্রমে)। মুখে ঘায়ের কারণে অতিরিক্ত লালা নির্গত ও খাওয়া ছেড়ে দিলে অবশ্যই স্যালাইন (৫% গ্লুকোজ +০.৯% সেডিয়াম ক্লোরাইড যুক্ত) শিরায় পুশ করতে হবে। এর সাথে ভিটামিন বি-কম্পেøক্স ইনজেকশন প্রয়োগে ঘা, সেরে উঠার পাশাপাশি খাওয়ার আগ্রহ বাড়বে। তবে সতর্ক থাকতে হবে শুধুমাত্র গ্লুকোজ ইনজেকশন প্রয়োগ করা যাবে না।
রোগের বিস্তারঃ ক্ষুরারোগে আক্রান্ত পশুর লালা, ঘায়ের রস, মলমূত্র, দুধ ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাস নির্গত হয়। এ ভাইরাস বাতাস ও খাদ্যের মাধ্যমে সংবেদনশীল পশুতে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত গরু ও মহিষের সংস্পর্শে এ ভাইরাস সুস্থ পশুতে সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত পশুর ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও পশুজাত দ্রব্যের (চামড়া, মাংস, দুধ ইত্যাদি) মাধ্যমে এ ভাইরাস একস্থান থেকে অন্যস্থানে এমনকি বাতাসের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্যদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রতিরোধে বিধিব্যবস্থাঃ রোগ যাতে না ছড়ায় সে জন্য আক্রান্ত প্রাণীকে সুস্থ প্রাণী হতে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সুস্থ গবাদি প্রাণীকে বছরে দু’বার প্রতিষেধক টিকা দিতে হবে। ক্ষুরারোগসহ যে কোন মৃত প্রাণীকে ৪/৫ ফুট মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে হবে, কোনো ক্রমেই খোলা স্থানে ফেলে রাখা যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সের বাচ্চাকে অসু¯ গাভীর দুধ খাওয়ানো যাবে না এবং আলাদা স্থানে রাখতে হবে। ক্ষুরা রোগের টিকা স্থানীয় উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পাওয়া যায় যা সময়মত দিলে ক্ষুরারোগের আক্রমণ
প্রতিহত করা যায়।


পরামর্শ প্রদানে:



অধ্যাপক মেডিসিন, সার্জারী এন্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগ,
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ