গরু কেনার আগে গরুর কি কি জিনিষ দেখে কিনতে হবে যেনো গরু কিনে না ঠকি?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বেশি স্বাস্থ্যবান ও আকারের তুলনায় মোটা গরুর মাংসে চর্বি বেশি হয়, তাই বেশি স্বাস্থ্যবান ও মোটা গরু না কেনাই ভালো। ভারতীয় বা নেপালি গরু না কিনে দেশী গরু কেনা উত্তম। মাঝারি আকারের অথচ অধিক স্বাস্থ্যবান গরু বা মহিষ কিনবেন না, কারণ ব্যাপারিরা ওষুধ খাইয়ে এগুলোকে মোটাতাজা করে থাকে। গরু বা মহিষের ক্ষেত্রে দুই বছর এবং ছাগল বা ভেড়ার ক্ষেত্রে ছয় মাসের কম বয়সী পশু কেনা ঠিক নয়। পশুর সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং মুখের ওপরটা ভেজা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে পশু সুস্থ আছে। অসুস্থ পশু খাবার খেতে চায় না। পশু কেনার সময় শিং ভাঙা, লেজ, জিহ্বা, ক্ষুর, গোড়ালি, মুখ বা সারা দেহে কোনো ক্ষত আছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গরুর চোখ, নাক, মুখ, বিকৃত বা কোনো খুদ কিনা,কোথাও কাটাছাটা কিনা,বয়স এক থেকে দুই বছরের মধ্যে কিনা,গরু স্বাভাবিক ভাবে হাটতে পারে কিনা,কোনো রোগ আছে কিনা, ইত্যাদি দেখে গরু কিনতে হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দেশি গরু কিনতে চেষ্টা করুন। কারণ সীমান্ত পার হয়ে আসা গরুগুলো অনেক দূর থেকে আসে বলে ক্লান্ত হয়, আর অনেক সময় ছোট-খাট আঘাতপ্রাপ্তও হয়। আর দুর্বল গরু সুস্থ নাকি অসুস্থ সেটা বোঝা বেশ কষ্টকর নিচের বিষয়গুলোর মাধ্যমে ভালো গরু চিনে নেওয়া সম্ভবঃ - স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক মাংস মনে হবে। - অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙ্গুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে। - গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ। যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চায় না। - সুস্থ গরুর নাকের উপরটা ভেজা ভেজা থাকে। - সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়। - বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সবসময় নিরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। বর্ণিত বিষয়গুলো দেখে শুনে বুঝে গরু কিনতে হবে, তাহলেই আপনি ঠকবেননা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Shawn

Call

সুস্ত,সবল,সকল অঙ্গ পূণাঙ্র্গ হতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার প্রশ্নের উত্তর যা প্রত্যেক কুরবানিকারীর জন্য অতিব জরুরী: কুরবানী শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছেঃ- ১। কুরবানীর পশু যেন সেই শ্রেণী বা বয়সের হয় যে শ্রেণী ও বয়স শরীয়ত নির্ধারিত করেছে। আর নির্ধারিত শ্রেণীর পশু চারটি; উঁট, গরু, ভেঁড়া ও ছাগল। অধিকাংশ উলামাদের মতে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট কুরবানী হল উঁট, অতঃপর গরু, তারপর মেষ (ভেঁড়া), তারপর ছাগল। আবার নর মেষ মাদা মেষ অপেক্ষা উত্তম। যেহেতু এ প্রসঙ্গে দলীল বর্ণিত হয়েছে।[1]  পশু যেন নিম্নোক্ত ত্রুটিসমূহ থেকে মুক্ত হয়;  (ক) এক চোখে স্পষ্ট অন্ধত্ব। (খ) স্পষ্ট ব্যাধি। (গ) স্পষ্ট খঞ্জতা। (ঘ) অন্তিম বার্ধক্য। এ ব্যাপারে আল্লাহর রসূল (সা.) বলেন, ‘‘চার রকমের পশু কুরবানী বৈধ বা সিদ্ধ হবে না; (এক চক্ষে) স্পষ্ট অন্ধত্বে অন্ধ, স্পষ্ট রোগা, স্পষ্ট খঞ্জতায় খঞ্জ এবং দুরারোগ্য ভগ্নপদ।’’[10]    অতত্রব এই চারের কোন এক ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারা কুরবানী সিদ্ধ হয় না। ইবনে কুদামাহ (রহ.) বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন মতভেদ আমরা জানি না।’[11] [1] (আযওয়াউল বায়ান ৫/৬৩৪) [2] (মুসলিম ১৩১৮নং) [3] (নাইলুল আওত্বার ৮/১২৬) [4] (ফাতাওয়া শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম ৬/১৪৯) [5] (মাজালিসু আশরি যিলহাজ্জাহ, শুমাইমিরী, ২৬পৃঃ আল-মুমতে’ ইবনে উসাইমীন ৭/৪৬২-৪৬৩) [6] (মানারুস সাবীল ১/২৮০) [7] (মুসলিম ১৯৬৩নং) [8] (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৫, তিরমিযী) [9] (বুখারী ২১৭৮, মুসলিম ১৯৬৫নং) [10] (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ) [11] (মুগনী ১৩/৩৬৯)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেঃ

কুরবানির গরুর বয়সসীমাঃ

গরুর বয়স কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে।

কোন পশু উত্তমঃ

কুরবানীর পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।- মুসনাদে আহমদ ৬/১৩৬, আলমগীরী ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩।। তাই আপনার গরু হৃষ্টপুষ্ট কিনা যাচাই করে কিনতে হবে।

খোড়া পশু বা খোড়া গরু যাইহোক কেনা যাবে না।

এসম্পর্কে হাদিস-- যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না এমন পশুর কুরবানী জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৩, আলমগীরী ৫/২৯৭।।

রুগ্ন ও দূর্বল গরু দেখে কিনতে হবে।

এমন শুকনো দুর্বল পশু, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, আলমগীরী ৫/২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪।।

দাঁত নেই এমন গরু কুরবানি জায়েয নয়, তাই গরু কেনার আগে দাঁত দেখে কিন্তে হবে।

যে পশুর একটি দাঁতও নেই বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না এমন পশু দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয নয়। - বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৫, আলমগীরী ৫/২৯৮।।

শিং ভেঙ্গে গেছে বা ফেঁটে গেছে এমন গরু কেনা যাবে না।

যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে, যে কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। পক্ষান্তরে যে পশুর অর্ধেক শিং বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে গেছে বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশু কুরবানী করা জায়েয। -জামে তিরমিযী ১/২৭৬, সুনানে আবু দাউদ ৩৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৪, আলমগীরী ৫/২৯৭।।

লেজ বা কান কাঁটা গরু কেনা যাবে না।

যে পশুর লেজ বা কোনো কান অর্ধেক বা তারও বেশি কাটা সে পশুর কুরবানী জায়েয নয়। আর যদি অর্ধেকের বেশি থাকে তাহলে তার কুরবানী জায়েয। তবে জন্মগতভাবেই যদি কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, মুসনাদে আহমদ ১/৬১০, ইলাউস সুনান ১৭/২৩৮, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ৫/২৯৭-২৯৮।।

অন্ধ বা চোখে দেখে না এরুপ গরু কেনা যাবে না।

যে পশুর দুটি চোখই অন্ধ বা এক চোখ পুরো নষ্ট সে পশু কুরবানী করা জায়েয নয়। -জামে তিরমিযী ১/২৭৫, কাযীখান ৩/৩৫২, আলমগীরী ২৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৪।।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ