শ্রদ্ধাভাজন মা বাবার বয়সী ব্যক্তিকে সম্মানের আসনে বসিয়ে তাদের মা বাবা বলে ডাকা যাবে। শশুর শাশুড়ি কেও মা বাবা বলে ডাকা যাবে। তবে জেনে শুনে নিজের পিতা মাতাকে অস্বীকার করে অন্যের পিতা মাতাকে মা বাবা বলে ডাকলে ঈমানের অবস্থা দূর্বল হয়ে যাবে।
আবু যার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছে, কোন ব্যক্তি জেনে শুনে অন্যকে পিতা বলে দাবী করলো সে কুফরী করলো। এবং যে ব্যক্তি অন্য বংশের দিকে নিজেকে সম্বোধন করলো সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। [আল-লুলু ওয়াল মারজান, হাদিস নম্বরঃ ৪০]
যুহারর ইবনু হারব (রহ) আবূ যার (রাঃ) বলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি জেনে শুনে নিজ পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফুরী করল। আর যে ব্যক্তি এমন কিছুর দাবী করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার আবাসস্থল বানিয়ে নেয়। আর কেউ কাউকে কাফির বলে ডাকলে বা আল্লাহর দুশমন বলে ডাকল, যদি সে তা না হয় তাহলে এ কুফুরী সম্বোধনকারীর প্রতি ফিরে আসবে। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ১২০]
তবে পালিত ছেলেমেয়ে বা পিতা মাতার ক্ষেত্রে এমনটা ডাকা নিষেধ রয়েছে। আল্লাহ বলেন,
তিনি তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্য পুত্রদেরকে তিনি তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা। আর আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সরল পথ নির্দেশ করেন। তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক, আল্লাহর কাছে এটাই অধিক ইনসাফপূর্ণ। আর যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। এ ব্যাপারে তোমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তোমাদের কোন গুনাহ্ নেই, কিন্তু তোমাদের অন্তরের সংকল্প থাকলে ''পাপ হবে''। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [আহযাবঃ ৪-৫]