শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুখে দুর্গন্ধ থাকাবস্থায় মসজিদে যাওয়া হারাম (হোক কাঁচা পিঁয়াজ বা রসুনের, সিগারেট বা এ জাতীয় কোন কিছুর)। আর এমতাবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ। বিস্তারিত দেখুন এখানে 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সিগারেট তামাক রসূন পিঁয়াজ মূলা অথবা এমন জাতীয় দুর্গন্ধযুক্ত দ্রব্য আহার করে মাসজিদে প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। কেননা ফেরেশতাগন এবং মানুষ এর দ্বারা কষ্ট অনুভব করে থাকে। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব গাছের কোন একটি খায় অর্থাৎ রসুন বা অনুরূপ স্বাদ ও গন্ধের কোন কিছু খায় সে যেন মাসজিদে না আসে। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ১১৩৫] রসূন, পিঁয়াজ, লিক পাতা তথা তীব্র দুর্গন্ধ জাতীয় কোন জিনিস খেয়ে, দুর্গন্ধ দূর না করে মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। বিড়ি, সিগারেট ও তামাক জাতীয় সব বস্তু হারাম। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা পাক-পবিত্র, তাই তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই কবূল করে থাকেন। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের ঐ কাজই করার হুকুম দিয়েছেন যা করার হুকুম তিনি রাসূলদেরকে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ হে রাসূলগণ! পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং নেক আমল করুন। আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেনঃ হে মুমিনগণ! আমরা তোমাদের যে পবিত্র জীবিকা দান করেছি তা থেকে আহার কর। তারপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে ব্যক্তি দীর্ঘ সফরে বের হয় এবং তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে ও কাপড় ধুলোবালিতে ময়লা হয়ে আছে। অতঃপর সে নিজের দুই হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে  বলেঃ হে রব! হে রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোষাক হারাম, সে হারামভাবে লালিত-পালিত হয়েছে, এ অবস্থায় কেমন করে তার দোআ কবূল হতে পারে। [আন-নওয়াবীর চল্লিশ হাদীস, হাদিস নম্বরঃ ১০] যাতে রয়েছে উৎকৃষ্ট দুৰ্গন্ধ তা পরিত্যাগ করেই সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসল্লীর অত্যাবশ্যক কর্তব্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ