শক্তি বাড়াতে ব্যালান্সড খাবার খাবেন। প্রতি বেলায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাটের সমন্বয় থাকতে হবে। মোটামুটি ৪০ শতাংশ প্রোটিন, ৩০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৩০ শতাংশ ফ্যাট হতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, টক দই, লাল চালের ভাত, আটার রুটি, শাকসবজি, ফলমূল, প্রচুর পানি পান করুন। প্রথম দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০০ ক্যালরি খাবেন। মেপে খেতে হবে না। প্রোটিন যেন যথেষ্ট হয়। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কিছু না কিছু খাবেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি। যেসব খাবার পরিহার করবেন সাদা ভাত, গোল আলু, ময়দা, চিনি, সোডিয়াম, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন, নিকোটিন, প্রসেসড ফুড, ক্যান ফুড, তৈলাক্ত ও মসলাজাতীয় খাবার।
এর জন্য আপনাকে প্রতিদিনের খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন এবং মিনারেল গ্রহণ করতে হবে। তবে আপনি যদি কোনো ধরনের শারীরিক ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত কিছু সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রোটির পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। মাংসে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালরি আছে যেগুলো দেহে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে এবং পেশী গঠনে সহায়তা করবে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর পেশী গঠনে প্রতিদিন ৫০০-১০০০ ক্যালরি প্রয়োজন যা দেহের মেটাবলিক হার বাড়িয়ে দেবে। তাই এর জন্য বেশি পরিমাণে গরুর মাংস, খাসির মাংস এবং ডিম দুধ জাতীয় খাবার খান। আপনি যদি পেশীকে দৃঢ় করতে চান তাহলে অনবরত খাবার খেতে থাকুন। এর মধ্যে প্রোটিন, আমিষ, শর্করা এবং চর্বি জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এছাড়া প্রতিদিন ৩০০-৬০০ ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। পাশাপাশি মিষ্টি জাতীয় খাবারও বেশি করে খেতে পারেন।
আপনি এই টিপস ফলো করুন: বিদেশি হেলথ ম্যাগাজিন অবলম্বনে শারীরিক ক্ষমতা বাড়ে এমন ১৯টি খাদ্য তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। এই খাদ্য তালিকা হচ্ছে: সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা মরিচ, আভাকাদো বা নাশপাতি সদৃস এক ধরনের সবুজ ফল, চকলেট, কলা, মধু, কফি, তরমুজ, পাইন নাট, চেরি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, অলিভ ওয়েল, ফিগস, স্ট্রবেরী, আর্টিসকস, ছাইটি ও বেদানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামুদ্রিক মাছে অ্যামাইনো এসিড, মরিচে এন্ডরফিন, আভাকাদোতে ভিটামিন সি, কালো চকলেটে ডোপামিন, কলার ব্রমোলাইন, মধুর বোরন, কফিতে মুড ভালো করার উপাদান, তরমুজের লাইকোপেন, পাইন নাটের জিংক, অলিভ অয়েলে মনো ও পলি আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট, বেদানার ম্যাগনোশিয়াম শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর। এসব উপাদানে পুরুষের শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন টেসটেসটেরন উত্পাদন বৃদ্ধি, শরীরের ইমিউন সিস্টেম-এর উন্নয়ন ও মুড ভালো করাসহ নানাবিধ উপকারে আসে। ফলে এসব খাদ্য উপাদান আহারে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং ওষুধ ছাড়া ভালো থাকা যায়। লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ