ভাষার পরিবর্তন এটি হঠাৎ এই হয়ে যায়নি বরং তা ধীরে ধীরে দীর্ঘকাল ধরে আবর্তন, সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে।
যদি উদাহরণ দেই আরও অনেক স্পষ্ট হবে।
যেমন একজন পিতার কয়েকজন পুত্র আছে। তো ওই সন্তানগুলো প্রয়োজন ভেদে তারা একেক জন একেক স্থানে চলে গেল এরপর ওখানে তাদের বসবাস। পরে তাদের থেকে যারা সন্তান জন্ম হয়েছে তাদের সাথে ঐ পিতার ভাষা দিয়ে কথা বলে। পরে দেখা গেল সন্তানগুলোর মাঝে সামান্য ত্রুটি সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছিল ভাষাটি। আর এই পরিক্রমার মাধ্যমে একই ভাষার এতো পরিবর্তন।
তবে আল্লাহ তা'আলা এটিকে একটি নেয়ামত বলে ব্যক্ত করেছেন যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
وَمِنْ ءَايٰتِهِۦ خَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلٰفُ أَلْسِنَتِكُمْ وَأَلْوٰنِكُمْ ۚ إِنَّ فِى ذٰلِكَ لَءَايٰتٍ لِّلْعٰلِمِينَ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য [১]।সুরাঃ রুম-২২
[১] আল্লাহর কুদরতের তৃতীয় নিদর্শনঃ তৃতীয় নিদর্শন হচ্ছে আকাশ ও পৃথিবী সৃজন, বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণনাভঙ্গি এবং বিভিন্ন স্তরের বর্ণবৈষম্য; যেমন কোন স্তর শ্বেতকায়, কেউ কৃষ্ণকায়, কেউ লালচে এবং কেউ হলদে। এখানে আকাশ ও পৃথিবী সৃজন তো শক্তির মহানিদর্শন বটেই, মানুষের ভাষার বিভিন্নতাও আল্লাহর বিস্ময়কর ব্যাপার। ভাষার বিভিন্নতার মধ্যে অভিধানের বিভিন্নতাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আরবী ফারসী, হিন্দী, তুর্কী, ইংরেজী ইত্যাদি কত বিভিন্ন ভাষা আছে। এগুলো বিভিন্ন ভূ-খণ্ডে প্রচলিত। তন্মধ্যে কোন কোন ভাষা পরস্পর এত ভিন্নরূপ যে, এদের মধ্যে পারস্পরিক কোন সম্পর্ক আছে বলেই মনে হয় না। স্বর ও উচ্চারণভঙ্গির বিভিন্নতাও ভাষার বিভিন্নতার মধ্যে শামিল। [দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর] আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক পুরুষ, নারী বালক ও বৃদ্ধের কণ্ঠস্বরে এমন স্বাতন্ত্র্য সৃষ্টি করেছেন যে, একজনের কণ্ঠস্বর অন্য জনের কণ্ঠস্বরের সাথে পুরোপুরি মিল রাখে না। কিছু না কিছু পার্থক্য অবশ্যই থাকে। অথচ এই কণ্ঠস্বরের যন্ত্রপাতি তথা জিহবা, ঠোঁট, তালু ও কণ্ঠনালী সবার মধ্যেই অভিন্ন ও একরূপ। [সা’দী] এমনিভাবে বর্ণ-বৈষম্যের কথা বলা যায়। একই পিতা-মাতা থেকে একই প্রকার অবস্থায় দুই সন্তান বিভিন্ন বর্ণের জন্মগ্রহণ করে। এ হচ্ছে সৃষ্টি ও কারিগরির নৈপুণ্য। [ফাতহুল কাদীর; বাগভী]
আমি আশা রাখব যে এমন সাধারণ বিষয় নিয়ে যেন কেউ বিভ্রান্তে না পড়েন
ধন্যবাদ
ভৌগোলিক কারণে ভাষা,সংস্কৃতি,শিক্ষা,পেশা,আচার ব্যবহার,জীবনযাপন পদ্ধতি সবকিছুর পরিবর্তন ঘটে।যারা মরু অঞ্চলে বসবাস করে তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি একরকম আবার যারা বরফে আচ্ছাদিত অংশে বসবাস করে তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি আরেকরকম।মানুষ তার প্রয়োজনে সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে।বিভিন্ন অঞ্চলে পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাবে সময়ের সাথে সাথে ভাষার পরিবর্তন হয়েছে।