প্রথমে বুঝতে হবে যে,তার পূর্বের স্বামি মারা গেছে নাকি তালাক দিছে? যদি মারা যায় তাহলে সে যাক ভালোবাসে সেই স্বামির সাথে থাকবে।আর যদি পূর্বের স্বামিরা বিনা অপরাধে তালাক দেয়,তাহলে যে স্বামি তার সাথে বিবাহ বন্ধনে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ছিল তার সাথে সে থাকবে।উল্লেখ্য স্বামি ও স্ত্রী দুজনকেই জান্নাতি হতে হবে।হাদিসে এসেছে,যে যাকে ভালোবাসবে কেয়ামতে সে তার সাথী হবে।**সহিহ বুখারী**
জান্নাতে পুরুষেরা সত্তর জন হুর পাবে। কিন্তু নারীরা কি পাবে? বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নের উত্তরে যেটা পাওয়া যায় তা হল, নারীরা তার দুনিয়ার স্বামীকে পাবে। পুরুষের জন্য সত্তর জন হুর আর নারীর জন্য দুনিয়ার স্বামী। মূলত হুর শব্দটি কমন শব্দ। যার অর্থ হল ‘সঙ্গী’। পুরুষ নারীর অভাব হিসেবে যে সঙ্গী প্রয়োজন তাই হচ্ছে হুর। স্বামী স্ত্রী যদি জান্নাতে যায় তাহলে স্ত্রীকে বাধ্য হয়ে স্বামীর জান্নাতে থাকতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আটটি জান্নাত আট জায়গায় বানানো হয়েছে। স্বামী- স্ত্রী নিজের যোগ্যতা বলে দুটো ভিন্ন কিংবা একই জান্নাতের ভিন্ন অংশের অধিকারী হবেন। সেখানে তাদের জন্য আলাদাভাবে হুর-গেলমান, প্রাসাদ, লেক, বাগান থাকবে। সেখানে স্ত্রী যদি দুনিয়ার জীবনের মত স্বামীর সাথে সময় কাটাতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে। কেননা সেখানে সিদ্ধান্ত নেবার বেলায় তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীন। জানা যায় স্বামী- স্ত্রী দু-জনই জান্নাতি হলে, তারা একত্রেই থাকতে চাইবে। কেননা এ সম্পর্কিত বহু হাদিস আছে, যেখানে জান্নাতি দম্পতিদের বহু আকর্ষণীয় ব্যাপার বর্ণনা করা আছে। তারা হাত ধরাধরি করে জান্নাতের তোরণ পার হবে, সে দম্পতির মর্যাদা, সম্মান, গুরুত্ব ব্যাচেলর জান্নাতির চেয়ে বহু গুনে বেশী হবে। সেই কারণে, রাসুল (সাঃ) গভীর রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজে বসে দোয়া করতেন, ‘আল্লাহ জান্নাতে তুমি খাদিজাকে আমার করে দিও’। কোন মেয়ের যদি একাধিক বিবাহ হয়ে থাকে, অথবা দুনিয়াতে যাদের স্বামী ছিলনা, ব্যচেলর জান্নাতির সাথে অবশ্যই আল্লাহ হুর দেবেন। তবে যদি ইচ্ছা করে একাধিক স্বামীর মধ্যে একজনকে নিয়ে থাকবে তার সে আশাও পুরন হবে।