১. ক্লান্তি বোধ বেড়ে যায়: সব সময়ই কি ক্লান্ত লাগে? তাহলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ শরীরে পটাসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে প্রথমেই কিন্তু ক্লান্ত লাগার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এক্ষেত্রে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। ২. আপনার খাবারের প্লেট কি রং-বেরঙের হয় না: চিকিৎসকেরা সব সময় উপদেশ দেন বেশি করে ফল আর শাকসবজি খাওয়ার। সেই সঙ্গে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারও যেন প্লেটে জায়গা করে নেয়। তাই তো বলে আপনার খাবার প্লেট যত রং-বেরঙের হবে, তত পটাশিয়ামের ঘটতি ঘটার আশঙ্কা কমবে। ৩. উচ্চ রক্তচাপ: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিক হয়েছে যে আপনার শরীরে পটাসিয়ামের ঘাটতি দেখা গেলে রক্ত চাপ বাড়তে শুরু করে। আসলে নুন জাতীয় খাবার বেশি খেলে, আর সবজি কম খেলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ৪. বারং-বার পেশিতে টান ধরলে: হঠাৎ করে পেশিতে টান ধরার ঘটনা বারে বারে হলে বুঝবেন শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন সমস্যা অ্যাথেলিটদের বেশি হয়। কারণ অতিরিক্ত শরীরচর্চার কারণে তাদের ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বেরিয়ে যায়। ফলে ক্র্যাম্প ধরার মতো ঘটান ঘটে। ৫. বুক ধরফর করে? শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে বুক ধরফর করার মতো লক্ষণের বিহঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। সেই সঙ্গে অনিয়মিত হৃদ স্পন্দনের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। পটাশিয়াম লেভেল স্বাভাবিক করার উপায় কী? প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাক-সবজি খেতে হবে। খোসা সমেত সেদ্ধ আলু খেলেও ভাল ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারগুলি হল পালং শাক, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, ব্রকলি প্রভৃতি