শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

★★শরীরে পারফিউম থাকলে, নামায হবে কি না? তা জানার আগে জানতে হবে যে, পারফিউম ব্যবহার করা জায়েজ কি না? যদি জায়েজ হয়, তাহলে তা লাগিয়ে নামায পড়া যাবে নতুবা যাবে না।


→বর্তমানে বডি স্প্রে বা পারফিউমে এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় মর্মে শুনা যায়। এক্ষেত্রে মাসআলা হল,


যে সমস্ত এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর দ্বারা বানানো হয়নি, তেমন বস্তু নেশা না আসা পর্যন্তের জন্য ব্যবহার জায়েজ ইমাম আবু হানীফা রহঃ এবং ইমাম আবু ইউসুফ রহঃ এর মতানুসারে। {ফাতহুল কাদীর-৮/১৬০, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৪১২, আল বাহরুর রায়েক-৮/২১৭-২১৮, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৯}




বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, বর্তমানে এলকোহল খেজুর বা আঙ্গুর থেকে বানানো হয় না। তাই এটি ব্যবহার করা জায়েজ হবে। তবে যদি জানা যায় যে, এসব আঙ্গুর বা খেজুর থেকে বানানো হয়, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।


আর হারাম কোন বস্তু যেমন শুকর ইত্যাদির যদি এমনভাবে রিফাইন করা হয় যে, এসবের কোন মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলেও উক্ত বস্তু ব্যবহার করা জায়েজ আছে। আর যদি সেসব হারাম বস্তুর মৌলিকত্ব বাকি থাকে, তাহলে উক্ত বস্তু যাতে মিশ্রিত করা হবে, তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। {নিহায়াতুল মুহতাজ লির রামালি-৮/১২}



ﺃﻣﺎ ‏( ﺍﻟﺨﻤﺮ ‏) ﺇﺫﺍ ﺧﻠﻠﻪ ﺑﻌﻼﺝ ﺑﺎﻟﻤﻠﺢ ﺃﻭ ﺑﻐﻴﺮﻩ ﻳﺤﻞ ﻋﻨﺪﻧﺎ ‏( ﺍﻟﻔﺘﺎﻭﻯ ﺍﻟﻬﻨﺪﻳﺔ،ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﻓﻴﻪ ﺑﺎﺑﺎﻥ ﺍﻟﺒﺎﺏ ﺍﻷﻭﻝ ﻓﻲ ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﺍﻷﻋﻴﺎﻥ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﺘﺨﺬ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ ﻭﺃﺳﻤﺎﺅﻫﺎ ﻭﻣﺎﻫﻴﺎﺗﻬﺎ ﻭﺃﺣﻜﺎﻣﻪ - 5/410


অনুবাদ-মদকে যখন লবন বা অন্য কিছু দ্বারা সির্কা বানিয়ে ফেলা হয়, তখন তা হালাল হয়ে যায়। {ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪১০, মাজমাউল আনহুর-৪/২৫১, ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-২৭/২১৮}



এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে বুঝে নিন বিদেশী পণ্য ও বডি স্প্রে, পারফিউম, শেম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করার বিধান। 


→যদি ওসব বস্তুুতে খেজুর বা আঙ্গুরের তৈরী এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ব্যবহার জায়েজ নয়। নতুবা তা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলে জায়েজ নয়। সম্ভাবনা না হলে জায়েজ।


→আর যদি অন্য কোন হারাম বস্তু মিশ্রিত হয়, আর মিশ্রিত করার আগে তাকে এমনভাবে প্রসেসিং করে যে, হারাম বস্তুটির মৌলিকত্ব বাকি থাকে না, তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে, আর যদি মৌলিকত্ব বাকি থাকে তাহলে তা ব্যবহার করা জায়েজ হবে না।


→যদি হারাম বস্তু মিশ্রিত করা হল কি না? জানা নেই। তাহলেও উক্ত পারফিউম, বডি স্প্রে ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।


তথ্যসূত্র

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইবনু আবূ আকীল আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করবে এবং স্ত্রীর সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করবে (যদি নিজের না থাকে), অতঃপর উত্তম রূপে বস্ত্র পরিধান করে মসজিদে এসে অন্যের ঘাড় টপকিয়ে সামনে না যাবে এবং ইমামের খুত্বা পাঠের সময় নিশ্চুপ থাকবে-তার এক জুমুআ হতে অন্য জুমুআ পর্যন্ত সমস্ত ছগীরা গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে। অপর পক্ষে যে ব্যক্তি জুমুআর নামাযের জন্য মসজিদে উপনীত হয়ে অপ্রয়োজনীয় ক্রিয়াকর্মে লিপ্ত হবে এবং মানুযের ঘাড় টপকে সামনে যাবে সে জুমুআর নামাযের ছওয়াব হতে বঞ্চিত হবে এবং) কেবলমাত্র যুহরের নামায আদায়ের সম-পরিমাণ ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। সূনান আবু দাউদ। হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭ হাদিসের মানঃ হাসান। শরীরে পারফিউম বা সুগন্ধি থাকলে ঐ অবস্থায় নামায পড়া যাবে। সুগন্ধি লাগানো রাসুল (সাঃ) সুন্নত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ