করণীয় একিউট বা জরুরি অবস্থায় : রোগীর অবস্থা যখন সংকটাপন্ন অর্থাৎ রোগী হাত-পা নাড়তে পারে না; এমনকি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এই পর্যায়ে রোগীকে দ্রুত বিশেষায়িত হাসপাতালে নিতে হবে, রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়ে। পুনর্বাসন চিকিৎসা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেরে উঠতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। রোগীর সংকটাপন্ন অবস্থার উন্নতির পর রোগীকে হাত-পায়ের শক্তি বাড়ানো ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে রেখে দিনে ৩-৪ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিতে হয়, বিশেষ করে হাত-পায়ের শক্তি বাড়ানোর জন্য ইলেকট্রিক্যাল সিমুলেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম স্ট্রেদেনিং এক্সারসাইজ, ব্যালেন্স ট্রেনিং, গ্রেইট ট্রেনিং ইত্যাদি চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা সম্ভব।