Call

ছেলেদের বিবাহ করার সঠিক বয়স ২১ বছর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Porimolray

Call

যদিও বলা হয় ছেলেদের ২১ বছরে বিয়ে করা যায় কিন্তু এটা আসলে পরিনত সঠিক বয়স নয় সঠিক বয়স হচ্ছে ২৮-৩২ এর মধ্য এ সময় ব্যক্তি চাকরি জীবনে পা রাখে আর ২১ বছলে আসলে লেখাপড়াই শেষ হয় না। তাই এর আগে বিয়ে হলেও সমস্যা নেই তবে জব না থাকলে জবের ব্যবস্থা করবেন *বাচ্চা নিতে পারবেন তবে পরে নিলে ভালো হয় *স্ত্রী বা পরিবারকেও সময় দিতে হবে .

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিয়ে  করার বয়সের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় একসাথে চিন্তা করতে হয়; যেমন পড়াশোনা,আয়-উপার্জন,সংসার,ব্যাক্তিগত সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই বয়সটা একেকজনের জন্য একেকরকম। বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ বছর। তবে সমসাময়িক বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মনে হয় বিয়ের সঠিক ও স্বাভাবিক বয়স হচ্ছে পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫-৩০ বছর।  বিয়ে ও পরিবার এমন এক সামাজিক ব্যাপার, যার জন্য শুধু মানসিক প্রস্তুতি থাকলেই হয় না, প্রাকৃতিকভাবে শরীরকেও প্রস্তুত হতে হয়। মনোচিকিৎসক  এ বিষয়ে বলেন, ‘মূলত বিয়ের জন্য বয়সটা গুরুত্বপূর্ণ না, শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।  বিয়ের আগে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে মানসিক প্রস্তুতি। মানসিক প্রস্তুতির প্রথম ধাপটি হচ্ছে বিয়ের বাস্তবতা উপলব্ধি করা। কেউ কেউ নিজের ভাবনা কিংবা ইচ্ছার সূত্র ধরেই বৈবাহিক সম্পর্কের তাত্পর্য বুঝতে পারেন। আবার অনেক মেয়ে বা ছেলে আগে থেকেই এসব বুঝবে না। তাই মা কিংবা কাছের অভিজ্ঞ কেউ তাকে ইতিবাচকভাবে জীবনের বাস্তবতা বুঝিয়ে বলতে পারেন। ছেলেমেয়ে দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে। তা হলে দাম্পত্য জীবনে অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা যাবে। নিজের, পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। নিজের সব দিক নিয়ে বিয়ের আগে উভয়ে আলোচনা করলে বোঝাপড়ার শুরুটা ভালো হবে। বিয়েপূর্ব শারীরিক প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া চাই এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন কাউসার বিপ্লব। বিয়ে দীর্ঘমেয়াদি একটি বিষয়। তাই যেনতেন করে বিষয়টি একেবারেই কাটিয়ে দেয়া যায় না। বিয়ের আগে ছেলেমেয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা কত, ওজন কত ও রক্তচাপ কেমন ইত্যাদি পরীক্ষার মধ্যেমেই জানা যায়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেয়া আছে কি না, এসব বিষয়েও জানা যায়। এছাড়াও তাদের কেউ ধূমপান বা অন্য কোনো নেশায় আসক্ত কি না সে বিষয়েও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায়। তাই বিয়ে করার আগে ছেলেমেয়ে উভয়কেই লজ্জা পরিহার করে সুখী জীবনের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিৎ। বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। আবার মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের ত্রিশ বছরের পর প্রথম বাচ্চা নেয়াটা খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়। তবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণটা খুবই ঝুঁকির। তাই বিয়ের জন্য ছেলেমেয়ের উভয়ের বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি একটি বিষয়। আমাদের শরীরে বংশগত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশীতে একধরনের দুর্বলতা), স্নায়ুর বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা (যেমন: সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস), বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যানসার (যেমন: ব্রেস্ট ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার), কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, স্থূলতা, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি। এসব রোগের যাবতীয় পরীক্ষা বিয়ের আগেই করে নেয়া উচিৎ। এর যেকোনো রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেয়া উচিৎ। এছাড়াও শারীরিক আরো সমস্যা থাকতে পারে। সিফিলিস, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিস, স্যানক্রয়েড ও রক্ত বাহিত রোগ এসব কিছুর চিকিৎসা বিয়ের আগেই করে নেয়া প্রয়োজন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ