আপনাকে সহজ ভাষায় বুঝাতে গেলে, মানুষের দেহে মোট ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে তাদের ডিম্বানুতে শুধু X ক্রোমোজোম থাকে। এজন্য মেয়ে লিঙ্গের প্রতিক হলো XX। আর পুরুষের শুক্রানুতে X এবং Y উভয় ক্রোমোজোম থাকে। তাই পুরুষ লিঙ্গের প্রতিক হলো XY। গর্ভধারনকালে ডিম্বানুর মিলন যদি X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শক্রানুর সাথে হয় তাহলে কন্যা সন্তান হবে। কারন তখন XX একসাথে হবে। আর ডিম্বানুর মিলন যদি Y ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রানোর সাথে হয় তাহলে ছেলে সন্তান হবে কারন তখন XY একসাথে হবে।
নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তা’য়ালার। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। (সুরা-শুরা আয়াত ৪৯) শপথ আল্লাহর, আপনি চাইলেই বা এমন কিছু করলেই পুত্র সন্তানের বাবা হতে পারবেন না। যতক্ষণ আল্লাহ না দিয়েছেন। মহান আল্লাহ যা কিছু দেন, তাইতো মোদের শান্তনা।
এটার সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা হলো- মানবদেহে মোট তেইশ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে ।ক্রোমোজোম হলো বংশগতির নিয়ন্ত্রক । এরা পিতা মাতার বৈশিষ্ট্য সন্তান সন্ততি তে স্থানান্তর করে। তেইশ জোড়া ক্রোমোজোমের মাঝে এক জোড়া হলো সেক্স ক্রোমোজোম যা সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারন করে । বাকী বাইশ জোড়া ক্রোমোজোম কে অটোজোম বলা হয়। এরা অন্যান্য গুনাবলি স্থানান্তর করে থাকে। সেক্স ক্রোমো জোম দুই প্রকার যথাক্রমে X এবং Y । এরা জোড়ায় অবস্থান করে। প্রসঙ্গত বলা যাচ্ছে যে, নারীদেহে শুধু মাত্র XX জোড়া থাকে । আর পুরুষদেহে XY থাকে। মিলনের সময় পুরুষের এক্স ক্রোমোজোম নারীর এক্স ক্রোমোজোম এর সাথে মিলিত হলে সন্তান হবে XX অর্থাৎ মেয়ে । আর যদি পুরুষের ওয়াই ক্রোমোজোম নারীর এক্স ক্রোমোজোম এর সাথে মিলিত হয় তবে সন্তান হয় XY অর্থাৎ ছেলে। এখন কোন ক্রোমোজোম মিলিত হবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে । আশা করি বুঝেছেন।