আমার মনে হয়, ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ বিষয়ক কিছু বই পড়েন উত্তর পেয়ে যাবেন। তারপরও কিছু কুরআনের আয়াত উল্লেখ করলাম।
যেমন সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ (সুবঃ) বলেন,
وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُوْنَ إِلَى الْخَيْرِوَيَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ ‘তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকতে হবে, যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে ডাকবে এবং ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায় থেকে নিষেধ করবে। তারাই হবে সফলকাম।(১০৪ নং আয়াত)
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ
তোমরাই এমন এক উত্তম দল, যাদের উত্থান ঘটানো হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর ও মন্দ কাজের নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর; আর যদি গ্রন্থ প্রাপ্তগণ বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে অবশ্যই তাদের জন্যে মঙ্গল হত; তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো মুমিন এবং তাদের অধিকাংশই দুষ্কার্যকারী’(১১০ নং আয়াত)
সুরা তওবার ৬৭ও ৭১ নং আয়াতেও ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও হাদীসে রসুল (সঃ) বলেছেন,
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তা'আলা শীঘ্রই তোমাদের উপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার নিকট দুআ করলেও তিনি তোমাদের সেই দু'আ গ্রহণ করবেন না।। (সুনান আত তিরমিজী,২১৬৯)
"তোমাদের মধ্যে কেউ অন্যায় কাজ হতে দেখলে এবং তার হাত দিয়ে তা প্রতিহত করার সামর্থ্য থাকলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিহত করে। তার সেই সামর্থ্য না থাকলে সে যেন মুখের ভাষায় তা প্রতিহত (বা প্রতিবাদ) করে। যদি মুখের ভাষায় প্রতিহত করার সামর্থ্য তার না থাকে তবে সে যেন তার অন্তরে তা প্রতিহত করে। এটা ঈমানের খুবই নিম্নস্তর।"(বুখারী ৯৫৬)
কুরআনের এই আয়াতদুটিও লক্ষণীয়,
“বনী ইসরাইলের মধ্যে যারা অবিশ্বাস করেছিল, তারা দাউদ ও মারয়্যাম তনয় কর্তৃক অভিশপ্ত হয়েছিল। কেননা, তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালঙ্ঘনকারী। তারা যে সব খারাপ কাজ করত, তা থেকে তারা একে অন্যকে বারণ করত না। তারা যা করত, নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।" (মায়িদাহঃ ৭৮-৭৯)
আমার আগেই সবাই ভালো উত্তর দিয়েছে। আমি একটি কথা বলতে চাই যে, এই সব কথা কখনো বলা ঠিক হবে না। কারণ কোথাও অন্যায় হতে দেখলে অবশ্যই তার মোকাবেলা করতে হবে। ধরুন কেউ আপনার সব টাকা লুট করে নিচ্ছে বা কেউ আপনার সামনে আপনার কোনো আত্নীয়কে হত্যা করছি। তখন কি আপনি বসে থাকবেন এই ভাবনা করে যে কিয়ামত মাধ্যমে তো পাপে ভরপুর হবেই তবে এখন আমি হত্যা করা থেকে বিরত রেখে লাভ কি। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।