দাড়িঁ রাখা সুন্নত। আপনি দাড়িঁ কেটে ফেলাচ্ছেন তার অর্থ আপনি নবিজী (সঃ) কে অনুসরণ করেন না। আর নবিজী (সঃ) এর সুপারিশ ছাড়া জান্নাত লাভ দূর্লভ। এবার আপনি ভাবুন। আপনি পাপ করছেন কিনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাই,, রাসুল সাঃ দাড়ি রেখেছেন ,তাই দাড়ি রাখা সুন্নত । রাসুল সাঃ দাড়ি মুন্ডাতে চেছে ফেলতে মানা করেছেন, তাই দাড়ি মুন্ডানো হারাম । রাসুল সাঃ দাড়ি রাখতে বলেছেন, তাই দাড়ি রাখা ওয়াজিব ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দাড়ি রাখা সুন্নত। মুসলমান পুরুষদের জন্য দাড়ি গজানোর পর সেভ করা কাটা বা ছাটা কোনটিই করা উচিত নয়, শরীয়তে দাড়ি কাটার গুনাহ হল গোনাহে কবীরা। এক মুষ্টির বেশি দাড়ি কেটে ফেলা সহীহ বর্ণনা অনুযায়ী জায়েজ। দাড়ি পুরুষের প্রতীক। সুতরাং আপনার জন্য দাড়ি কাটা জায়েজ নেই, তাতে আপনার গোনাহ হচ্ছে। তবে দাড়ি রাখার কারণে থুতনীতে কোন ইনফেকশন বা স্কীন ডিজিজ হলে দাড়ি ফেলতে পারবে রোগ কমে গেলে আবার দাড়ি রাখতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

দাঁড়ি রাখা সুন্নত। দাঁড়ি ব্যাপারে হাদিসে এসেছে- হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, দশটি বিষয় সকল নবী ও রাসূলগণের সুন্নত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাড়ি লম্বা করা।(মুসলিম:১/১২৯) ভাই, আপনি কেনই বা দাঁড়ি রাখবেন না। দাড়ি রাখা সুন্নত। আর এই সুন্নত পালন না করলে গুণাগার হতে হবে। আর দাঁড়ি কেটে ফেললে আপনার যা যা সমস্যা হবে দেখুন। চোখের দৃষ্টিশক্তি লোপ পাবে। চেহেরায় মনোমালিন্য দেখা দিবে। অসম্মানের পাত্র হতে হবে। সমাজে আপনাকে কেউ সম্মান করবে না এবং কোন কথাও কেউ শুনবে না। তাহলে ভাবুন যে, দাড়ি না রাখলে এত কিছু হতে পারে। তাহলে আপনার দাড়ি রাখা উচিত ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

★★মুসলমাদেরকে দাড়ি রাখতে ও লম্বা করতে রাসূল সাঃ নির্দেশ দিয়েছেন। দাড়ি ছোট করতে ও মুন্ডন করতে রাসূল সাঃ নিষেধ করেছেন। নিম্ন এ সম্পর্কে রাসূল সাঃ এর বাণী উল্লেখ করা হলঃ-


১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ গোঁফ নিশ্চিহ্ন করতে, আর দাড়ি বড় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬২৪}


২) হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা গোঁফকে কর্তন কর, এবং দাড়িকে লম্বা কর। তোমরা অগ্নিপূজকদের বিপরীত কর। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬২৬}


৩) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন যে, আল্লাহ তাআলার ভর্ৎসনা ঐ সব পুরুষদের উপর যারা মহিলাদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে এবং ঐ সব মহিলাদের উপর আল্লাহ তাআলার ভর্ৎসনা যারা পুরুষদের সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৪৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫০}


→দাড়ি থাকা পুরুষের নিদর্শন। আর দাড়ি না থাকা মহিলাদের নিদর্শন। তাই দাড়ি কেটে মহিলাদের সাদৃশ্য গ্রহণ এ হাদীসের ভাষায় নিষিদ্ধ হয়ে যায়।


৪) রাসূল সাঃ এর যুগে মুশরিক ও অগ্নি উপাসকদের মধ্যে দাড়ি ছোট করে রাখা বা দাড়ি মুন্ডন করার রীতি প্রচলিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাঃ তার উম্মতকে বিশেষভাবে এ সকল অমুসলিম সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করতে এবং বড় দাড়ি রাখতে নির্দেশ দিয়ে ইরশাদ করেন-


→হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- তোমরা মুশরিকদের বিরোধীতা কর। দাড়ি লম্বা কর। আর গোঁফকে খাট কর।


৬) হযরত ইবনে ওমর রাঃ যখন হজ্ব বা ওমরা করতেন, তখন তিনি তার দাড়িকে মুঠ করে ধরতেন, তারপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৫৫৩}


##রাসূল সাঃ এর দাড়িঃ-


রাসূল সাঃ এর দাড়ি লম্বা ছিল। 

সাহাবাগণের দাড়িও লম্বা ছিল।


১-হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ এর বর্ণনা দিতে গিয়ে উল্লেখ করেন যে, “তিনি অনেক বড় দাড়ির অধিকারী ছিলেন। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৩১১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯৪৬}


২-হযরত জাবির বিন সামুরা রাঃ বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাড়ি ছিল বেশি বা ঘন। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬২৩০, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৭৪৫৬}


##ফক্বীহদের দৃষ্টিতে দাড়ির বিধানঃ-


→→উপর্যুক্ত হাদীসগুলোর আলোকে মুসলিম উম্মাহের ফক্বীহগণ একমত যে, দাড়ি বড় করা মুসলিমের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবং দাড়ি মুন্ডন করা বা “একমুষ্টি” এর কম রাখা নিষিদ্ধ।


পারিভাষিক মূলনীতির আলোকে কোন কোন ফক্বীহ দাড়ি রাখা “ফরজ” বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ তা “ওয়াজিব”মত দিয়েছেন। কেউ বা “সুন্নাত” বলেছেন।


★পঞ্চম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ ইবনে হাযম যাহিরী আলী ইবনে আহমাদ বলেন “দাড়ি ছেড়ে দেওয়া ও গোঁফ কর্তন করা ফরজ”। {আল মুহাল্লা-২/২২০}


★চতুর্থ হিজরী শতকের অন্যতম মুহাদ্দিস ও ফক্বীহ আবু আওয়ানা ইয়াকুব ইবনে ইসহক বলেন “গোঁফ কর্তন করা এবং তা ছোট করা ওয়াজিব ও দাড়ি বড় করা ওয়াজিব”। { মুসনাদে আবী আওয়ানা-১/১৬১}


★ষষ্ঠ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও মালিকী ফক্বীহ কাযী ইয়াজ বলেন যে, “দাড়ি মুন্ডন করা, কাটা বা পুড়ানো মাকরূহ। তবে দাড়ির দৈর্ঘ ও প্রস্থ থেকে কিছু কাটা ভাল। দাড়ি কাটা বা ছাটা যেমন মাকরূহ, তেমনি প্রসিদ্ধির জন্য তা বেশি বড় করাও মাকরূহ”। {ফাতহুল বারী-১০/৩৫০, নাইলুল আওতার-১/১৩৬}


★একাদশ হিজরীতে প্রসিদ্ধ হাম্বলী ফক্বীহ মানসূর বুহুতী রহঃ বলেন যে, “দাড়ি মুন্ডন করা হারাম, এক মুষ্টির অতিরিক্ত দাড়ি কর্তন করা মাকরূহ নয়। {কাশশাফুল কিনা-১/৭৫}


★কোন মুহাদ্দিস, ফক্বীহ, ইমাম বা আলিম এক মুষ্টির কম দাড়ি রাখার সুষ্পষ্ট অনুমতি দিয়েছেন বলে জানা যায় না। যারা দাড়ি থেকে কিছু ছাটার অনুমতি দিয়েছেন তাদের প্রায় সকলেই সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, একমুষ্টির অতিরিক্তই শুধু কাটা যাবে। 


→→→অতএব, পরিশেষে বলা যায় যে, একমুষ্টি হওয়ার আগেই দাড়ি কাটা, বা মুন্ডানো ইসলামের দৃষ্টিতে মাকরুহে তাহরিমী তথা হারামের কাছাকাছি গোনাহ




সুতরাং, আপনি যদি প্রতি সাপ্তাহে দাড়ি কাটেন, তাহলে গোনাহ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ