চোখের বালি বিশ্বকবির লেখা একটি সামাজিক উপন্যাস। নরনারী, যুবক-যুবতী বিবাহিত অবিবাহিত, যাঁহারা নূতন বিবাহ করেছে, যাদের বিবাহ পুরাতন হয়েছে, যাদের প্রেমে ভাটা পড়েছে, যারা স্ত্রীকে মনের মতো করিতে চাচ্ছে, যারা সুখের দাম্পত্যপ্রেম চান, তারা "চোখের বালি" নিশ্চয়ই মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস হিসেবে চোখের বালি উপন্যাসের মূল্যায়ন করা অতুলনীয়। আসলে কবিগুরু র প্রত্যেকটা উপন্যাস অসাধারন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চোখের বালি' বাংলা সাহিত্যের প্রথম শিল্পসফল মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস। 'চোখের বালি' উপন্যাসের মধ্য দিয়েই বাংলা উপন্যাসের পালাবদল ঘটেছে। চোখের বালিতে প্রথমবারের মত বাংলা উপন্যাসে দৈনন্দিন জীবনের সম্ভাব্য ঘটনাবলি সত্যনিষ্ঠা বর্ণনা,ঘটনা পশ্চাতে ক্রিয়াশীল মনের রূপায়ন ও বিশ্লেষণ ব্যক্তিত্বের অধিকার সচেতনতার ইংগিত দিয়েছে। যে,কাহিনীটির প্রধান চরিত্র ও সমস্যা বিনোদিনীর প্রেম। উপন্যাসের প্রথম শব্দটি বিনোদিনী, শেষ পর্যন্ত বিনোদিনী চরিত্রই উচ্চকিত। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে বিনোদিনী নামে একটি লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খসড়া আকারে শেষ করেন। বিনোদিনী নামের এ খসড়াটিই নাম প্রদানের ক্ষেত্রে 'চোখের বালি' মনস্তাত্ত্বিক নাম উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয়।