আপনার ফেসবুক লিংকে দেয়া স্ট্যাটাসটি নিম্নরূপ : (*** অতি গুরুপ্তপূর্ন ১০ টি আমল-*** ১. পরীহ্মায় পাশ করার দোয়া: ১০১ বার পড়বে (ওয়াল্লাহুল মুস্তাআনু আলা মা তাছিফুন) ২. বউ- স্বামীর মধ্যে ঝগড়া হলে ২০ বার (ইয়া মানিউ) পড়ে পবিত্র বিছানায় শুইতে হবে। ইনশাল্লাহ তাদের ভাব হয়ে যাবে। ৩. শয়তানের হ্মতি থেকে বাঁচতে প্রতি দিন ১০০ বার ( ইয়া মুকছিতু) পড়তে হবে। ৪. কোন রাগি মনিবের নিকট যাওয়ার আগে ৭ বার (ইয়া বায়িছু) পড়ে নিজের শরীরে ফু দিয়ে তার সামনে গেলে ভালো ব্যবহার পাবেন। ৫. সে সকল মা বোনদের সন্তান হচ্ছে না তারা ৪০ দিন যাবৎ প্রতি দিন ৪০ বার (ইয়া আউয়ালু) পড়বে। ইনশাল্লাহ সন্তান হবে। ৬. প্রতি দিন ৩০ বার (ইয়া বাতিনু) পড়লে সে আল্লহ পাকের কুদরতের রহস্য ও মানব জীবনের গভীর তত্ত জানতে পারবে। ৭. রোজা রাখতে কষ্ট হলে ৭ বার (ইয়া মুকিতু) পড়ে সুবাসিত ফুলে ফু দিয়ে ঘ্রান নিলে রোজা রাখার শক্তি পাবে। ৮. যদি কেহ প্রত্যহ ৯০ বার (ইয়া কাবীরু) পড়ে তার রোগ ভালো হবে। ৯. প্রতহ্য ফজরের নামাযের পর ২১ বার ( ইয়া রাফিউ) পড়ে তার কোন আশা অপূর্ন থাকবে না। ১০. কোন মেয়ে ২ রাকাত নফল নামায পড়ে বিবাহের নিয়তে ১০০০ বার (ইয়া লাতিফু) পড়ে অল্প দিনের মধ্যেই তার বিবাহ হবে। বি:দ্র: সবগুলো আমল অতি গুরুপ্তের সাথে করতে হবে। আর অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে। বিস্সাশ না হলে একবার আমল করেই দেখুন।) এ আমলগুলো ও তৎসংশ্লিষ্ট উপকারিতাগুলো সত্য কি মিথ্যা তার সম্পর্ক কুরআন ও হাদীসের সাথে সংশ্লিষ্ট। যদি কেউ দাবি করে এগুলো কুরআন হাদিসে আছে তাহলে এগুলো মিথ্যা। কারণ এগুলো কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। যদি বলা হয়, এগুলো কোনো বুযুর্গের আমল তাহলে এগুলোর সত্য মিথ্যা দলীলের উপর নির্ভর করবে। সত্যিই কি কোনো বুযুর্গ এরূপ আমল করেছেন ? এবং এরূপ ফল পেয়েছেন ? তা না জেনে প্রচার করাও একধরনের মিথ্যার শামিল। কারণ হাদীসের ভাষ্য মতে যা শুনে তাই বলে দেয়াটা একধরনের মিথ্যাচারের শামিল। দ্বিতীয়ত কোনো বুযুর্গ যদি এমন আমল করে নির্দিষ্ট কোনো উপকারিতা লাভ করে থাকেন তাহলে সেটা তার সাথে সংশ্লিষ্ট। সে উপকারিতা সবাই পাবে তার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সুতরাং ঢালাওভাবে প্রচার করা যে, এটা পড়লে এটা হবে একধরনের মিথ্যা প্রচারণার শামিল। সাধরণ মানুষ এগুলোকে কুরআন হাদীসের বিষয় মনে করে পথভ্রষ্ট হবে এবং পাপ উপার্জন করবে। সারকথা এ ধরনের অপপ্রচারণার সাথে কুরআন সুন্নাহর কোনো সম্পর্ক নেই।