আমি কোন হাদিস সুনিয়ে তাদের কে এই বিষয়ে ভয় দেখাতে পারি। এই বিষয়ে কোনো হাদিস বা কুরানে কোনো আয়াত থাকলে উদ্ধৃতি সহ দিবেন।। জাযাকাল্লাহ খাইর
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

যে ব্যক্তি আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় জালিম আর কে? এদের পক্ষে মসজিদসমূহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। -সূরা আল-বাকারাহ: আয়াত ১১৪ মসজিদে যিকর ও নামাযে বাধা দেওয়ার যত পন্থা হতে পারে, সে সবগুলোই হারাম। তন্মধ্যে একটি পন্থা এই যে, মসজিদে গমন করতে অথবা সেখানে নামায ও তিলাওয়াত করতে পরিষ্কার ভাষায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান। দ্বিতীয় পন্থা এই যে, মসজিদে হট্টগোল করে অথবা আশেপাশে গান-বাজনা করে মুসল্লীদের নামায ও যিকরে বিঘ্ন সৃষ্টি করা। এমনিভাবে নামাযের সময়ে যখন মুসল্লীরা নফল নামায, তসবীহ, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে নিয়োজিত থাকেন, তখন মসজিদে সরবে তিলাওয়াত ও যিকর করা এবং নামাযীদের নামাযে বিঘ্ন সৃষ্টি করাও বাধা প্রদানেরই নামান্তর। এ কারণেই ফিকহবিদগণ একে না-জায়েয আখ্যা দিয়েছেন। তবে, মসজিদে যখন মুসল্লী না থাকে, তখন সরবে যিকর ও তিলাওয়াত করায় দোষ নেই। এ থেকে আরও বোঝা যায় যে, যখন মুসল্লীরা নামায, তসবীহ ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকে, তখন মসজিদে নিজের জন্য অথবা কোন ধর্মীয় কাজের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করাও নিষিদ্ধ। -তাফসীরে মা'আরেফুল কোরআন: প্রথম খন্ড: পৃষ্ঠা ২৮২

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ