Call

গান-বাজনার ক্ষতিকর দিকসমূহঃ ইসলাম কোন জিনিসের মধ্যে ক্ষতিকারক কোন কিছু না থাকলে তাকে হারাম করেনি। গান ও বাজনার মধ্যে নানা ধরনের ক্ষতিকর জিনিস রয়েছে। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহিঃ) এ সম্বন্ধে বলেছেনঃ বাজনা হচ্ছে নফসের মদ স্বরুপঃ মদ যেমন মানুষের ক্ষতি করে, বাদ্যও মানুষের সেই রকম ক্ষতি করে। যখন গান- বাজনা তাদের আচ্ছন্ন করে ফেলে, তখনই তারা শিরকে পতিত হয়। আর তখন তারা ফাহেশা কাজ ও জুলুম করতে উদ্যত হয়। তারা শিরক করতে থাকে এবং যাদের কতল করা নিষেধ তাদেরকেও কতল করতে থাকে। যেনা করতে থাকে। যারা গান-বাজনা করে তাদের বেশীর ভাগের মধ্যেই এই তিনটি দোষ দেখা যায়। তাদের বেশীর ভাগই মুখ দিয়ে শিস দেয় ও হাততালি দেয়। অথচ মুখ দিয়ে শিস দেওয়া ও হাত তালি দেওয়া হারাম (সূরা আনফালঃ আয়াতঃ ৮:৩৫)। শিরকের নিদর্শনঃ তাদের বেশীর ভাগই তাদের শায়খ (পীর) অথবা গায়কদের আল্লাহরই মতই ভালবাসে অথবা আরো অধিক। ফাহেশার মধ্যে আছেঃ গান হল যেনার রাস্তা স্বরূপ। এর কারণেই বেশীর ভাগ ফাহেশা কাজ অনুষ্ঠিত হয় গানের মজলিসে। ষেখানে পুরুষ, বালক, বালিকা ও মহিলা চরম স্বধীন ও লজ্জাহীন হয়ে পড়ে। এভাবে গান শ্রবন করতে করতে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনে। তখন তাদের জন্য ফাহেশা কাজ করা সহজ হয়ে দাড়ায়, যা মদ্যপানের সমতুল্য কিংবা আরও অধিক। কতল বা হত্যাঃ অনেক সময় গান শ্রবণ করতে করতে উত্তেজিত হয়ে একে অপরকে কতল করে ফেলে। যারা গান-বাজনা করে ও শোনে তারা মূলতঃ শয়তানের সংগী হয়ে যায়। যেমন, মহান আল্লাহ আরও বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। আর নিশ্চয়ই তারাই (শয়তান) মানুষদেরকে আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়। অথচ মানুষ মনে করে তারা হিদায়েত প্রাপ্ত।" ***সূরা যূখরুফঃ আয়াতঃ ৪৩:৩৬-৩৭। আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য শয়তানকে নির্দিষ্ট করে দেন, যাতে তারা আরও গোমরাহ হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ "বল, যে বিভ্রান্তিতে রয়েছে তাকে পরম করূণাময় প্রচুর অবকাশ দেবেন।" ***সূরা মারইয়ামঃ আয়াতঃ ১৯:৭৫। শয়তান যে তাদের সাহায্য করে, এতে আবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারণ, সুলাইমান (আঃ) এক জ্বিনের নিকট সাহায্য চেয়েছিলেন- রাণী বিলকিসের সিংহাসন উঠিয়ে আনার জন্য। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ "এক শক্তিশালী জ্বিন বলল, আপনি আপনার স্থান থেকে উঠার পূর্বেই আমি তা এনে দিব এবং আমি একাজে শক্তিবান, বিশ্বস্ত।" ***সূরা নমলঃ আয়াতঃ ২৭:৩৯। বর্তমান জামানায় বেশীর ভাগ গান হয় বিয়ের মজলিসে অথবা অন্য কোন উৎসবে, রেডিও ও টেলিভিশনে। এগুলোর বেশীর ভাগই ভালবাসা, শাহওয়াত, চুমু দেখা সাক্ষাৎ ইত্যাদির উপরে ভিত্তি করে রচিত। তাতে থাকে মুখের, কপালের এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গের বর্ণনা, যা যুবকদের মনে শাহওয়াত জাগিয়ে তোলে, আর তাদের ফাহেশা কাজ ও যেনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। আর তাদের চরিত্র নষ্ট করে।যখন গায়ক গায়িকারা গান বাজনার নামে একত্রিত হয়, তখন ঐ সমস্ত ধন দৌলত ব্যয় হয়, যা সংস্কৃতির নামে জাতীয় তহবিল হতে চুরি করা হয়। তারপর ঐ ধন দৌলত নিয়ে ইউরোপ আমেরিকা যেয়ে বাড়ী গাড়ী ইত্যাদি খরিদ করে। তারা তাদের অশ্লীল গান বাজনা দিয়ে জাতীয় চরিত্র নষ্ট করে দেয়। তাদের অশ্লীল ও নগ্ন ছবি দিয়ে যুবকদের চরিত্র নষ্ট করে। ফলে, আল্লাহকে ছেড়ে তারা তাদেরকে ভালবাসতে থাকে। যে সমস্ত গান শ্রবণ করা জায়েযঃ ঈদের গান শ্রবণ করাঃ আয়েশা (রাদিঃ) হতে বর্ণিতঃ "একদা রাসূল (সাঃ) তাঁর ঘরে প্রবেশ করেন। তখন তার ঘরে দুই বালিকা দফ বাজাচ্ছিল। অন্য রেওয়ায়েতে আছে গান করছিল। আবু বকর (রাদিঃ) তাদের ধমক দেন। তখন রাসূল (সাঃ) বললেনঃ তাদের গাইতে দাও। কারণ প্রত্যেক জাতিরই ঈদের দিন আছে। আর আমাদের ঈদ হল আজকের দিন।" ***বুখারী। দফ বাজিয়ে বিয়ে প্রচারের জন্য গান গাওয়া আর তাতে মানুষদের উদ্ধুদ্ধ করা। দলিলঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ "হারাম ও হলালের মধ্যে পার্থক্য হল দফের বাজনা। এই শব্দে বুঝা যায় যে, সেখানে বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।" ***আহমাদ। কাজ করার সময় ইসলামী গান শ্রবণ করা, যাতে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঐ গানে যদি দুয়া থাকে। এমনকি রাসূল (সাঃ) পর্যন্ত ইবনে রাওয়াহা (রাদিঃ) নামক সাহাবী কবিতা আবৃত্তি করতেন। আর সাথীদেরকে খন্দকের যুদ্ধের সময় পরিখা খনন করতে উদ্ধুদ্ধ করতেন এই বলে যে, হে আল্লাহ কোনই জীবন নেই আখেরাতের জীবন ব্যতীত। তাই আনছার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করনি। তখন আনছার ও মুহাজিরগণ উত্তর দিলেনঃ আমরাই হচ্ছি ঐ ব্যক্তিবর্গ যারা রাসূলের নিকট বায়আত করেছি জিহাদির জন্য যতদিনই আমরা জীবিত থাকিনা কেন। আর রাসূল (সাঃ) সাহাবীদের নিয়ে যখন খন্দক (গর্ত) খনন করছিলেন, তখন ইবনে রাওয়াহা (রাদিঃ) এই কবিতা আবৃত্তি করছিলেনঃ আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ না থাকতেন তাহলে আমরা হেদায়েত পেতাম না। আর সিয়ামও পালন করতাম না, আর সালাতও আদায় করতাম না। তাই আমাদের উপর সাকিনা (শান্তি) নাযিল করুন। আর যখন শত্রুদের মুকাবিলা করব তখন আমাদের মজবুত রাখুন। মুশরিকরা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে, আর যদি তারা কোন ফিৎনা সৃষ্টি করে, তবে আমরা তা ঠেকাবই। বারে বারে আবাইনা শব্দটি তারা উচ্চ স্বরে উচ্চারণ করছিলেন।ঐ সমস্ত গান, যাতে আল্লাহর তাওহীদের কথা আছে অথবা রাসূলের (সাঃ) মহব্বত ও তার শামায়েল আছে অথবা যাতে জিহাদে উৎসাহিত করা হয় তাতে দৃঢ় থাকতে অথবা চরিত্রকে দৃঢ় করতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। অথবা এমন দাওয়াত দেয়া হয় যাতে মুসলিমদের একে অন্যের প্রতি মহব্বত ও সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। অথবা যাতে ইসলামের মৌলিক নীতি বা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। অথবা এই জাতীয় অন্যান্য কথা যা সমাজকে উপকুত করে দ্বীনি আমলের দিকে কিংবা চরিত্র গঠনের জন্য। ঈদের সময় ও বিয়ের সময় কেবল মাত্র মহিলাদের জন্য তাদের নিজেদের মধ্যে দফ বাজানোর অনুমতি ইসলাম দিয়েছে। যিকরের সময় এটার ব্যবহার ইসলাম কখনই দেয়নি। রাসূল (সাঃ) যিকরের সময় কখনই উহা ব্যবহার করেননি। তাঁর পরে তাঁর সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমগণ কখনই তা করেননি। বরং, ভণ্ড সুফি পীররা তা মুবাহ করেছে নিজেদের জন্য। আর যিকরের দফ বাজানোকে তারা সুন্নত বানিয়ে নিয়েছে। বরং উহা বিদআত। রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ "তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন কোন সংযোজন করা হতে বিরত থেকো। কারণ, প্রতিটি নতুন সংযোজনই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী।" ***তিরমিযী। সর্বোপরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ "আমি 'বাদ্য-যন্ত্র' ও 'মুর্তি' ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি।" ***আহমদ ও আবূ দাঊদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গান শুনা জায়েজ, তবে গানে যেন অশ্লীল কথা না থাকে,,। আর ইসলামে ঢোল,তবলা, বাজনা,এগুলা হারাম,এগুলা কেন হারাম? এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভাল জানেন,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
AshRafkha

Call

ইসলামে বাজনা নিষেধ। হ্যা ইসলামে যেইভাবে আদেশ নিষেদ আসছে মানব জাতীর সেই ভাবে তা পালন করতে হবে।  কিভাবে হয়,  কেনো হয়, এসব চিন্তা বাদ দিন,  ইসলাম যা বলছে তাই পালন করুন, আশা করি সেটাই ভালো হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে গান তখনই জায়েজ হবে যখন এটা ইসলামের কার্যকলাপের প্রতি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে আসবে। আর বাজনা এটা দুনিয়ার দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করে যা ইসলামের কাম‍্য নয়। ইসলামের কাম‍্য আখিরাতের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। তাই বাজনা হারাম। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গান বাজনা নিষেধ।তবে যদি গানের মাঝে কোনো অপ্রয়োজনীয় - ইসলাম বিরোধী - অশ্লীল বাক্য ইত্যাদি না থাকলে তা গাওয়া বা শোনা জায়েজ।যেমন গজল । আরেকটি বিষয় গানে কোনো ঢোল তবলা একতারা ইত্যাদি কোনো প্রকার বাজনা থাকতে পারবে না। তবেই গান শোনা বা গাওয়া জায়েজ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ