না।তিনি কখোনো মাযহাবের কথা বলেননি। সাহাবাদের যুগ শেষে মানুষ জাল হাদিস তৈরি করতে থাকে।তাছাড়া নানা মতভেদ তৈরি হয়।আর এ থেকেই মাযহাবের সৃষ্টি।অনেক আলেম মিলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে কোন হদিস গ্রহণ করা যায় এবং কোনটা যায় না তা নির্বাচন করেই তা তারা পালন ও প্রচার করতে শুরু করে। আসলে সব মাযহাবই সঠিক,এতে কোনো মতভেদ নেই।
মাজহাব মানে পথ, মত। এ শব্দটির ব্যবহার আয়ম্মায়ে সালাফের মাঝেও পাওয়া যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সাহাবাদের মাঝে মাজহাব তথা ভিন্নমতের সৃষ্টি হয়েছে। এবং সে ভিন্নমতকে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমর্থনও করেছেন। সুতরাং মাজহাব বা ধর্মীয় বিষয়ে মতভিন্নতা রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেও ছিলো। মৌলিকভাবে চারো ইমামসহ অন্যান্য ইমামগণও রাসূলের অনুসারী ছিলেন। মতভিন্নতা যেটা ছিলো সেটা হলো শাখাগত বিষয়ে। মূল বিষয়ে সকলেই এক ও অভিন্ন ছিলো। তাই সকলই সকলের উপর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাদের নামে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি মাজহাব তৈরি করে নি। বরং এটা সকল যুগের উলামায়ে কেরামের পর্যায়ক্রমিকভাবে ইমামদের অভিমতগুলোকে সংরক্ষণ, বিন্যস্ত করণ এবং তাতে কুরআন সুন্নাহর আলোকে মনোযোগ নিবদ্ধ করণেরই পরিণতফল।