অনেকের দলিল হচ্ছে, বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) মানুষকে জিন্দা করতেন ওনী কলব থেকে নাকি গুনাহ পরিষ্কার করতে পারতেন। তাহলে আমাদের শেষ নবী (সাঃ) কেন জানবে না? আর নবী (সাঃ) এর নাকি ছায়া পড়ত না। কোরআন হাদিসের আলোকে এর সঠিক ব্যাখা জানাবেন প্লীজ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আবদুল কাদির জিলানী রাঃ একজন শায়খ ও তাসাউফের প্রসিদ্ধ লোকছিলেন। তৎকালীন ইসলামের মাযহাবী কোন্দলের যুগে একজন সন্মানিত আলেম ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার মাজারে অনেকেই সেজদা করে। আর এসব তার প্রশংসার ক্ষেত্তে বাড়াবাড়ি। যা আসলে সঠিক নয়। আমাদের সমাজে তার সম্পর্কে অনেক আজবগুজি কথা প্রচলিত আছে। আর আমাদের নবী সাঃ এর ছায়া ছিল, যা সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত। অপরদিকে ছায়া না থাকার বিষয়ে বর্নিত হাদিসগুলো যয়ীফ ও জাল। আবার "ইলমুল গাইব" ও "হাযির নাযির" বিষয়ক হাদিস গুলোও ছায়া না থাকার প্রসঙ্গের হাদিস।(জাল, যয়ীফ টাইপের)

বিস্তারিত: প্রচলিত জাল হাদিস (আঃ মালেক ও মতিউর রহমান) ও হাদিসের নামে জালিয়াতি ( খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমাদের নবি (সা.) ইলমে গায়েব জানতেন না। দলিল- কুরআনের আয়াত: সূরা আল আন-আম : 50 -"আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না?" একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউই ইলমে গায়েব জানে না। হ্যাঁ, আল্লাহ যদি শিক্ষা দেন, তাহলে তারা সেটা জানতে পারেন। কিন্তু তখন আর সেটা গায়েবের অন্তর্ভুক্ত থাকে না। . তিনি সব জায়গায় হাজির নাজিরও নন। হাজির নাজির অর্থ সর্ব জায়গায় উপস্থিত। এটা কেবল আল্লাহ তাআলার পক্ষেই সম্ভব। অন্য কারো সম্বন্ধে এমন আকিদা পোষণ করাও শিরক। . বড়পীরের ব্যাপারে মানুষ জিন্দা করার গুজবটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গাঁজাখুরী। এটা বিশ্বাস করাও শিরক। কেননা, মানুষ জিন্দা করেন কেবল আল্লাহ তাআলা। কলব থেকে গুনাহ পরিষ্কার করাও বড়পীরের দ্বারা সম্ভব নয়। এটা আল্লাহ পাকের কাজ। বড়পীর কেবল সেই পদ্ধতি বাতলে দিতে পারেন- তাওবার পদ্ধতি! তাওবা করলে কলব থেকে গুনাহ পরিষ্কার হয়ে যায়- হাদিসের কথা। কিন্তু এটা বলে দেওয়ার দ্বারা বড়পীর গুনাহ পরিষ্কারকারী হতে পারবেন না। কেননা, তাওবার ফলে সেটা খোদ আল্লাহ তাআলা করে থাকেন। আল্লাহ তাআলার কোনো কাজকে অন্য কারো দিকে সম্পৃক্ত করা শিরক। আর রাসুলের (সা.) ছায়া না পড়ার বিষয়টিও প্রমাণিত নয়। লোকমুখে শোনা কথা দ্বারা রাসুলের ওপর কোনো বিষয় আরোপ করা যায় না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ