হুম, ফ্যামিলি সাপোর্ট একটা বড় ব্যাপার। আপনি বুঝান তাদের যে, জোড় করে কেউ কাউকে কিছু বানাতে পারেনা। মানুষের প্রতিভা বাধা প্রাপ্ত হলে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। তাকে তার গতিতে চলতে দিতে হয়। সবাই যে সব কিছু পারবে তা নয়। কেউ ডাক্তার হলে কেউ মুচি। এখন সবাই ডাক্তার হলে বাকি কাজ কে করবে? আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার জোড় করে কেউ বানাতে পারে না। বড় জোড় এইচএসসি পর্যন্ত চাপ দিয়ে রাখতে পারে। পরে আউট অব কন্ট্রোল। প্রথমে আপনি বুঝান তাদের। দ্বিতীয় বারও বুঝান। তৃতীয়বারও বুঝান। রাগ হয়ে নয়। নরম করে। আরো বুঝান, যে আপনাদের আমি ভাল বাসি। আপনাদের সাপোর্ট দরকার, দোআ দরকার। কাজ না হলে আত্মীয়দের মধ্যে এমন একজনকে বুঝান যিনি একটু মান্যবর। তার মাধ্যমে ফ্যামিলি মেম্বার দের বুঝান। আর হ্যাঁ, ফ্যামিলির সবাই তো আশা করি আপনার বিপক্ষে না, যিনি পক্ষে, তাকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি ক্লাবে যান। ক্লাব প্রধানকে বলুন, তাকে আপনার মেধার জানান দিন। তিনি যদি আপনার সুপ্ত প্রতিভা ধরতে পারেন, তবে আর কি? তিনি নিজেই দেখবেন আপনার ফ্যামিলিতে কথা বলতে চলে এসেছেন।
আর দুটি কথা, যা আগেই বলা দরকার ছিল। ইচ্ছা করেই শেষে বললাম। তা হচ্ছে- পড়া ছেড়ে দিয়েছেন সেটি ভাল লাগে নি। ক্রিকেটার যারা, তারা মাঠের পাশাপাশিও বই নিয়ে কলেজে, ভার্সিটিতে যান। আর আপনি বলছেন, পড়ালিখা ছেড়ে দিয়েছেন! কেনরে ভাই? সবই চালাতে পারলেই তো আপনি সফল। না হয় আপনি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হতে পারবেন তার নিশ্চয়তা কি? একুল দুকুল হাঁড়ানোর কি প্রয়োজন? পড়ালিখা চালিয়ে যান। ফ্যামিলিকে বলূন, আমাকে ক্রিকেট খেলতে দিলে পড়ালিখা করব। দেখবেন আরো সহজ হয়ে যাবে।