শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এক মুসল্লি এসে প্রশ্ন করল, আচ্ছা হুজুর ‘মাযহাব’ মানতে হবে কেন? উত্তরে বল্লাম : না হলে আমল করবেন কীভাবে? -কেন সহিহ হাদীস আর কুরআনে যা আছে তা মানব! -কোরআনের অর্থ, সহিহ হাদিস বোঝেন? -কেন আপনাদের থেকে শুনে-জেনে আমল করব। -আমাকে মানতে পারবেন, অথচ (গবেষক ইমামদের) ‘মাযহাব’ মানতে পারবেন না! আর আমাকে মানা মানেই ত মাযহাব মানা- কারণ আমি ত হানাফি মাযহাবের অনুসারী! -বুঝলাম; হয়ত বা ‘মাযহাব’ মানতে হবে। কিন্তু মাযহাব একাধিক কেন বা চারটা কেন? -আপনি পেশায় কী করেন? -ডাক্তার -আচ্ছা সাধারণ জ্বর বা মাথাব্যথা হলে ঔষুধ হিসেবে আপনারা এক ডাক্তার দেন ‘নাপা এক্সট্রা’, একজন দেন ‘নাপা এক্সটেন্ড’, একজন দেন ‘এইচ প্লাস’, আবার কেউ দেন ‘ফাস্টপ্লাস’। রোগ একটা, বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন কম্পানির ঔষুধ দিচ্ছেন, এগুলো সব ঠিক? -হ্যাঁ! ঠিক (আমতা আমতা করে) । -তাহলে শরিয়তের সমস্যা সমাধানে একাধিক মাযহাবে দোষ কেন! ভদ্রলোক নিরুত্তর হয়ে একরাশ (দুঃখে ভরা) কৃত্রিম হাসির রেখা মুখে ফুটিয়ে চলে গেলেন মাথা নিচু করে। এখন দেখা হলে বড় একটা সালাম দিয়ে কোনো রকম কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ট্রেন গতিতে হাটা শুরু করেন। হায়রে বেচারা!!!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হ্যাঁ ভাই! মুসলিম হিসাবে অাপনাকে মাযহাব মানতেই হবে,মাযহাব মানা ওয়াজিব।তবে যারা মুজতাহিদ অর্থাৎ কুরঅান- হাদীস থেকে মাসঅালা বাহির করার যোগ্যতা রাখে, তারা মাযহাব না মানলেও চলে। বিস্তারিত জানতে মাযহাব মানা ওয়াজিব কেন? এই বইটি পড়ুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারন যে কোন মানুষকে সে বিষয়ে অভিগ্য লোকের পরামর্শেই চলতে হবে, অর্থাৎ তাকে অনুসরন করতে হবে। এই অনুসরনটাই মুসলিম সমাজে মাযহাব বলে পরিচিত। অনেকেই বলে আহলে হাদিস মাযহাব মানে না। আসলে তারাও মানে। মূল বিষয় তারা এই চারটি, যা মাযহাব বলে প্রসিদ্ধ, এগুলোর একটিও মানে না। তারা এই বাইরের কোন জ্ঞানীকে অনুসরন করে। আর সকল ওলামায়ে কেরামের ফরজ নিয়ে পার্থক্য নেই। পার্থক্য সুন্নাত, মুস্তাহাব নিয়ে। কোনটি উত্তম ও কোনটি অনুত্তম। এর কোন বিষয়টি সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়, আবার হয়তো কোনসময় দুইটিই প্রমানিত। তবে সকল বিষয়ই গ্রহনযোগ্য। কোন আলেমই কুরআন হাদিসের বাইরে কিছু করেননি। তাই আপনি যে কোন বড় আলেমের যিনি কুরআন সুন্নাহ থেকে মাসয়ালা বের করতে সক্ষম তার অনুসরন করতে পারেন। তবে আমার মতে সকল বিষয়ই যেহেতু প্রমানিত, তাই আপনি যে কোন কোন বিষয়ই পালন করতে পারেন। তবে ঐক্য রক্ষার্থে আপনি যখন যে এলাকায় অবস্থান করবেন, তাদের অনুসরন করলেই ভাল হয়। তবে এই মাযহাব বিষয়ে বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। এটি শুধু অনুসরনের বিষয়েই উপস্থিত থাকবে। যদি মাযহাব বিষয়ে বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আপনার গুনাহ হবে। আর আপনার বিপরীত অনুসরন কারীদের কাজকর্ম যদি ঘৃনা করেন, তাহলে আপনি রাসূল সাঃ এর একটি বিষয়ই ঘৃনা করবেন। যা কোন মুসলমান করতে পারে না। তাই এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আবার সবার আগে এটি রাখতে হবে, আমরা সকলেই মুসলমান। আর সরাসরি হাদিস অনুযায়ী বা একটা হাদিস হঠাৎ জানতে পেলেন, এ হাদিস মোতাবেক আগেই আমল শুরু করবেন না। একজন অভিগ্য, জ্ঞানী আলেমের পরামর্শ অনুযায়ী আমল করবেন। সাধারনের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। এর জন্য কুরআন হাদিসে পূর্ন অভিগ্য হতে হবে। কোনটি আগের কোনটি পরের তা জানতে হবে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ