Call

ফজর হোক আর অন্য ওয়াক্তের নামাজ হোক । জামায়াতে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে রসূল (সঃ) জোরালো ভাবে তাগিদ দিয়েছেন । জামায়াতে নামাজের ব্যাপারে রাসূল সা. খুব বেশি তাকিদ দিতেন। হজরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা: বলেছেন, ‘কসম সেই সত্তার, যার হাতে আমার জীবন! আমার ইচ্ছা হয়, কাঠ-খড়ি জমা করার নির্দেশ দিতে। অতঃপর কোনো একজনকে ইমামতি করার নির্দেশ দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখতে- কে কে নামাজ পড়তে আসেনি।’ অপর এক বর্ণনায় তিনি বলেছেন, ‘আমার ইচ্ছা হয়, যারা আজান শুনে মসজিদে হাজির হয় না তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতে।’ বুখারি ও মুসলিম হাদিস গ্রন্থে এ কথা বলা হয়েছে। মুসনাদে আহমাদে হজরত আবু হোরায়রা রা: বর্ণিত রাসূল সা: অপর এক বর্ণনায় বলেছেন, ‘যদি লোকদের ঘরে নারী ও শিশু না থাকত, তাহলে আমি যুবকদের আদেশ দিতাম, সেইসব ঘরে আগুন লাগিয়ে দিতে, যেসব ঘরের লোকেরা এশার জামায়াতে হাজির হয়নি।’ সহীহ মুসলিমে আবু হোরায়রা রা: বর্ণিত আরেক বর্ণনায় রাসূল সা: বলেছেন, ‘একবার এক অন্ধ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সা: আমার এমন কেউ নেই যে আমাকে হাত ধরে মসজিদে আনবে। অতঃপর লোকটি মসজিদে উপস্থিত হওয়া থেকে অব্যাহতি ও ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি চান। রাসূল সা: ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে সেই লোকটি বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলে রাসূল সা: আবার তাকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞাস করেন, তুমি কি আজান শুনতে পাও? লোকটি বললেন, হ্যাঁ, শুনতে পাই। তিনি বললেন, তবে তুমি মসজিদে উপস্থিত হবে।’ মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ ও নাসায়ী গ্রন্থে আবুদ দারদা রা: এক বর্ণনায় রাসূল সা:-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো জনবিরল এলাকায় যদি তিনজন ব্যক্তিও বাস করে, আর তারা যদি নামাজের জামায়াত কায়েম না করে তবে অবশ্যই শয়তান তাদের ওপর চড়াও হবে।’ উম্মু দারদা রা: বলেন, ‘এক দিন আবু দারদা অত্যন্ত রাগান্বিত অবস্থায় ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি জিজ্ঞাস করলাম, কোন জিনিস আপনাকে রাগান্বিত করেছে? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, আমি উম্মতে মুহম্মদীর পরিচয় এ ছাড়া আর কিছুই জানি না যে, তারা সবাই মিলে জামায়াতে নামাজ পড়ে।’ আবু মূসা আশআরী রা: রাসূল সা:-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘দুই বা ততোধিক লোক হলেই জামায়াতে নামাজ পড়তে হবে।’ যাদের ঈমানে দুর্বলতা আছে তারা এশা ও ফজরের নামাজে মসজিদে আসে না বা কম আসে। সাহাবিরা এমন ব্যক্তি সম্পর্কে মুনাফিক হওয়ার সন্দেহ করতেন। তাবরানিতে আবদুল্লাহ ইবনে উমার রা: বলেছেন, ‘যখন আমরা কোনো ব্যক্তিকে ফজর ও এশার নামাজের জামায়াতে না পেতাম তখন তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা করতাম।’

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ