Call

কোরআন পাঠ প্রসঙ্গে মহানবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরজ) কোরআনের কিছুই পাঠ করবে না।’ –সুনানে তিরমিজি: ১৩১ হজরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুনুব অবস্থায় (গোসল ফরজ অবস্থায়) কোরআন তেলাওয়াত করতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। ইমাম দারা কুতনি এ হাদিস উল্লেখ করার পর মন্তব্য করেছেন- এর বর্ণনাধারা গ্রহণযোগ্য। ইমাম তিরমিজি তার সুনানে ১৩১ ও ১৪৬ নম্বর হাদিসের পরে মন্তব্য করেছেন অধিকাংশ জ্ঞানী সাহাবা ও তাবিয়িন অপবিত্র অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াতকে নিষিদ্ধ মনে করতেন। সুফিয়ান সাওরি, ইবনুল মোবারক, শাফি ও আহমাদসহ পরবর্তী সময়ের ইসলামি স্কলাররাও মনে করতে ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তির জন্য কোরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মাজহাবের মত উল্লেখ করতে যেয়ে জগদ্বিখ্যাত গ্রন্থ আলফিকহু আলা মাজাহিবিল আরবাআতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হানাফি ফেকাহবিদদের মতে, যার ওপর গোসল ফরজ তার জন্য কোরআন পাঠ করা হারাম। তা পরিমাণে সামান্যই হোক অথবা বেশি। তবে দুই অবস্থায় কোরআনের আয়াত পাঠ করা যায়। কোনো বিশেষ কাজ শুরুর আগে বিসমিল্লাহ পূর্ণ পাঠ করতে পারবে। যদিও তা কোরআনেরই আয়াত। দোয়া করার জন্য অথবা কারও প্রশংসা করার জন্যে কোরআনের ছোট কোনো বাক্যাংশ পাঠ করা যাবে। ... শাফিয়ি ফেকাহবিদদের মতে, যার ওপর গোসল ফরজ তার জন্য কোরআন তেলাওয়াতের ইচ্ছায় কোরআনের একটি শব্দও পাঠ করা হারাম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ