• চুল পড়া রোধ করতে এবং পুনরায় চুল গজাতে 5% মিনোক্সিডিল (যা ৫% মিন্টপ টপিকাল লোশন বা সল্যুশন নামে বাজারে পাওয়া যায়)খুবই ভাল একটি ওষুধ যা ৯০% ক্ষেত্রেই উপকারী। এই ওষুধ দিনে দুবার ব্যবহার করতে হয়। • ফাংগাসের কারণে চুল পড়লে অ্যান্টিফাংগাল ক্যাপসুল (যেমনঃ ফ্লুকোনাজল) খেতে হবে আর মাথায় অ্যান্টিফাংগাল শ্যাম্পু (যেমনঃ কিটোকোনাজল যা ডানসেল / নিজোরাল / সিলেক্ট প্লাস ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) সপ্তাহে ২ / ৩ বার দিতে হবে। • ট্যাবলেট. ফিনেসটেরাইড ৫ মিঃ গ্রাঃ (যা প্রোনর / প্রসফিন ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) প্রতিরাতে একটা খেলে চুল পড়া অনেকাংশে প্রতিরোধ হয়। এটি প্রায় ৮৮% পুরুষের ক্ষেত্রে চুল পড়ার গতি কমাতে এবং প্রায় ৬৬% পুরুষের ক্ষেত্রে পুনরায় চুল গজাতে সাহায্য করে, তবে গর্ভধারণ করার ক্ষমতা বা বয়স আছে এমন মহিলারা এ ওষুধ সেবন করবেন না। • থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস, অটোইমিউন রোগ, আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, মূত্রনালীর প্রদাহ, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ইত্যাদি রোগের কারণে যদি চুল পড়ে তাহলে রোগের চিকিৎসা করলে চুল পড়া কমে যাবে। • দেহের প্রদাহ জনিত কারণে বা অটো ইমিউন রোগে চুল পড়লে স্কাল্পে (মাথার চামড়ায়) করটিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন দিতে হবে। • চিড়নী, ব্রাশ ও অন্যান্য হাত দিয়ে ধরা যায় এমন ডিভাইস যা আলো নিঃসরণ করে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। • শল্য চিকিৎসার নানা পদ্ধতিঃ ১) হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেসন (চুল প্রতিস্থাপন), যাতে মাথার পেছনের অংশ থেকে চুল নিয়ে সামনের অংশে বসিয়ে দেয়া হয়। ২) স্কাল্প ফ্ল্যাপ্স, যাতে অপারেশনের মাধ্যমে টাক অংশের চামড়া ফেলে দিয়ে চুলযুক্ত অংশ সে জায়গায় জোড়া লাগানো হয়। ৩) স্কাল্প রিডাকশন, যাতে মাথার টাকের অংশের চামড়া কেটে কমিয়ে ফেলা হয়। যবনিকা - টাক হওয়ার চিন্তায় মাথায় টাক না ফেলে আজ থেকে সতর্ক হয়ে যান, যত্ন নিন আপনার চুলের, প্রয়োজনে চিকিৎসা গ্রহণ করুন, আর যেন অতিরিক্ত হারে না পড়ে আপনার মূল্যবান চুল।