শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
rjrahman

Call

একজন ভালো মানুষ মৃত্যুর পরে ও মানুষের হৃদয়ে মধ্যে স্থান করে নেয়।।কারন সে পৃথিবীতে যখন ছিল তখন সে মানুষের জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে এসে ছিল।।এবং মানুষের জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছে।।তখন মানুষের হৃদয়ে তার স্থান করে নেয়।যদি তুমি ১০০ বছর বেঁচে থাক মানুষের জন্য ভালো কোন কাজ করো না। তাহলে তুমি মৃত্যুর পর মানুষ তোমায় ভুলে যাবে।।।।আর এর মাধ্যমে বুঝা যায় মানুষ কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকে।বয়সের মধ্যে নয়।।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কথায় বলে, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। অথবা মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নহে। মানুষ মরণশীল হলেও কর্মগুণে অমরত্ব লাভ করা সম্ভব। বেঁচে থাকার মানে জৈবিকভাবে বেঁচে থাকা নয়, অমরত্ব লাভ করা। ক্ষণস্থায়ী মানবজীবনকে অনন্তকাল বাঁচিয়ে রাখতে হলে তথা স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে হলে কল্যাণকর কর্মের কোনো বিকল্প নেই। মৃত্যু অনিবার্য। তবুও মানুষ তার সৎকর্মের মাধ্যমে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন। সেজন্য যারা কীর্তিমান তারা তাদের সেবামূলক কাজের মাধ্যমে মানব সমাজে বেঁচে থাকেন বহু যুগ ধরে। এ নশ্বর পৃথিবীতে সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। কোনো মানুষই পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে না। মানুষ অমরত্ব লাভ করে তার কর্মের মাধ্যমে। কর্ম তাকে বাঁচিয়ে রাখে সাধারণ মানুষের অন্তরে চিরদিন। যেসব মানুষ নিঃস্বার্থভাবে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করেন, মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে বিলিয়ে দেন- মৃত্যুর পরেও তারা অমর হয়ে থাকেন মানুষের মাঝে। মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। 

মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে, বয়সের জন্য নয়। কত কোটি কোটি মানুষ এ পৃথিবীতে এসেছে। কিন্তু মৃত্যুর পর কেউ তাদের মনে রাখেনি। তারা ভেসে গিয়েছে কালস্রোতে। কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তিবর্গ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে মৃত্যুবরণ করেন, তারা অমর। নশ্বর পৃথিবীতে মানুষ অবিনশ্বর হয় কর্মগুণে। মানব কল্যাণে ব্যয়িত জীবন মানুষের মনে বেঁচে থাকে অনন্তকাল। বস্তুত মানব জীবনের সার্থকতা এখানেই নিহিত। 

আয়ুর দীর্ঘতা দ্বারা অমরত্ব লাভ করা যায় না। মানুষ তার কর্মের ভেতর দিয়েই পৃথিবীতে বেঁচে থাকে। একমাত্র কর্মই মানুষের জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। কাজেই কর্তব্য কাজে অবহেলা করলে চলে না। এ কর্তব্য কর্ম করতে গিয়ে অনেক কষ্ট, ভয়ভীতি এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে; তবুও পিছু হটলে চলবে না। সামনে এগিয়ে চলাই জীবন। স্থবিরতা মৃত্যুর শামিল।

দেশমাতৃকার উন্নয়নের জন্য যারা আত্মোৎসর্গকৃত তারাই মানুষ, বেঁচে থাকার অধিকার কেবল তাদের। স্বার্থপর, কাপুরুষ, ভীরু তাদের বেঁচে থাকা অর্থহীন, কারণ তারা জীবনের স্বাদ আস্বাদনে ব্যর্থ। মরণকে হাসিমুখে বরণ করার সাহস থাকার মাঝেই জীবনের সফলতা নির্ভর করে। মৃত্যুভয়ে ভীত যে ব্যক্তি সব সময় চিন্তিত থাকে, তার পক্ষে জীবনের সৌন্দর্য ও আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব নয়। জীবনকে যদি সঙ্কীর্ণ সীমানায় আটকে রাখার চেষ্টা করা হয় তাহলে জীবন বিকশিত হতে পারে না, জীবনের তখন কোনো অর্থ থাকে না। মরণ আছে বলে সারাক্ষণ মৃত্যুর জল্পনা-কল্পনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে কিংবা মরণের ভীতিতে আর্ত-আহাজারি জুড়ে দিতে হবে_ এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক। কারণ পরপারের ডাক আসলে সে ডাকে সাড়া না দিয়ে থাকার উপায় কারোর নেই। অতএব, মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে সকল বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য আসে। তাই জীবনের স্বরূপ জানতে হলে, জীবনের চূড়ান্ত বিজয় দেখতে হলে মৃত্যু ভীতিকে সযত্নে পরিহার করে জীবন সংগ্রামে লেগে যেতে হবে। কথায় বলে, বীরেরা মরে একবার, আর কাপুরুষেরা মরে বারবার। তাই বারবার না মরে, একবার মরার জন্য প্রস্তুত থাকলেই স্বাভাবিকভাবে সব কাজকর্ম করা যায়। মৃত্যুভীতিকে বর্জন করতে পারলে এবং হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে শিখলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। যারা মৃত্যু ভয়ে ভীত না হয়ে জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তারাই পৃথিবীর বুকে, মানব মনে চিরজাগ্রত, অমর হয়ে আছেন। 

জীবনটা ক্ষণস্থায়ী স্বপ্নমাত্র, যৌবন ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। ধন চলে যায়, সৌন্দর্য বিলীন হয়ে যায়, জীবন দ্রুত গতিতে চলে যায়, শক্তি লোপ পেয়ে যায়, কিন্তু প্রভু চিরকালই থাকেন-প্রেম চিরকালই থাকে। তোমাদের কি মন মুখ এক হয়েছে? তোমরা কি মৃত্যুভয় পর্যন্ত তুচ্ছ করে নিঃস্বার্থভাবে থাকতে পারো? তোমাদের হৃদয়ে প্রেম আছে তো? যদি এগুলো তোমাদের থাকে, তবে তোমাদের কোনো কিছুকে- এমন কি মৃত্যুকে পর্যন্ত ভয় করবার দরকার নেই। সর্বপ্রকার বিস্তারই জীবন, সর্বপ্রকার সঙ্কীর্ণতাই মৃত্যু। যেখানে প্রেম, সেখানেই বিস্তার; যেখানে স্বার্থপরতা, সেখানে সঙ্কোচ। অতএব প্রেমই জীবনের একমাত্র বিধান। যিনি প্রেমিক, তিনিই জীবিত; যিনি স্বার্থপর তিনিই মরণোন্মুখ। অতএব ভালোবাসার জন্যই ভালোবাস, কারণ প্রেমই জীবনের একমাত্র নীতি, বাঁচিয়া থাকার জন্য যেমন নিঃশ্বাস প্রশ্বাস। সম্প্রসারণই জীবন-সঙ্কীর্ণতাই মৃত্যু; প্রেমই জীবন-দ্বেষই মৃত্যু। পরোপকারই জীবন, পরহিত চেষ্টার অভাবেই মৃত্যু। শতকরা নব্বই জন নরপশুই মৃত, প্রেততুল্য। হে যুবকবৃন্দ, যার হৃদয়ে প্রেম নাই, সে মৃত ছাড়া আর কি? যখন মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, তখন সৎ বিষয়ের জন্য দেহত্যাগই শ্রেয়। মানুষের জীবন ক্ষণভঙ্গুর, জগতের ধনমান ঐশ্বর্য সকলই ক্ষণস্থায়ী। তারাই যথার্থ জীবিত, যারা অপরের জন্য জীবন ধারণ করে। অবশিষ্ট ব্যক্তিগণ বাঁচিয়া নাই, মরিয়া আছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ