শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না ,আইনজীবী হওয়ার জন্য উচ্চতা কোন বিষয় না।

আপনি যেরকম আছেন তাতেই আপনি আইনজীবী হতে

পারবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Fikar

Call
আইনজীবি হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট উচ্চতা প্রয়োজন নেই
প্রথম শর্ত

১. তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে;

২. ২১ বছর বয়স পূর্ণ করতে হবে;

৩. নিচের যেকোনো একটি যোগ্যতা অর্জন করতে হবে :

(ক) বাংলাদেশ সীমার মধ্যে অবস্থিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে; বা

(খ) বার কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে; অথবা

(গ) তিনি যদি একজন ব্যারিস্টার অ্যাট ল হয়ে থাকেন।

দ্বিতীয় শর্ত

(১) উপরোক্ত শর্তগুলো পূরণ হলে যে কেউ বার কাউন্সিলের একটি ফরম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন। সঙ্গে আরো যা দিতে হবে তা হলো—

(ক) আবেদনকারীর জন্মের সনদের সন্তোষজনক সাক্ষ্যপ্রমাণ;

(খ) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী যোগ্যতার সন্তোষজনক সাক্ষ্যপ্রমাণ;

(গ) আবেদনকারীর চরিত্র ও আচরণ সম্পর্কে ভালো অবস্থানরত দুজন ব্যক্তির প্রশংসাপত্র;

(ঘ) ফরমে উল্লিখিত তথ্য সত্য ও নির্ভুল মর্মে একটি এফিডেফিট প্রদান করতে হবে;

(ঙ) এক হাজার ২০০ টাকা প্রদানের রসিদ দিতে হবে।

(২) অ্যাডভোকেট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে তাঁকে একজন ১০ বছরের অভিজ্ঞ অ্যাডভোকেটের চেম্বারে ধারাবাহিক ছয় মাস শিক্ষানবিশ কাল অতিক্রম করতে হবে।

পরীক্ষার ধাপগুলো

প্রথমে ছয় মাস শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করবেন—এ মর্মে এমন একজন সিনিয়রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে হবে। তবে সিনিয়রের কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত ওকালতি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাঁর সঙ্গে থাকবে একটি হলফনামা বা এফিডেভিট। আর থাকবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুকূলে নির্ধারিত ফির ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার প্রেরণের রসিদ। আইনে স্নাতক পরীক্ষা বা অন্য কোনো ডিগ্রিপ্রাপ্তির পরীক্ষা প্রদানের পরপরই অনতিবিলম্বে উল্লিখিত চুক্তিপত্র, এফিডেভিট ও ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার প্রেরণের রসিদ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সেক্রেটারি বরাবর পাঠিয়ে দিতে হবে।

আপনার পাঠানো কাগজপত্র বার কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে বার কাউন্সিল আপনার বরাবর একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু করবে। সেখানে আপনাকে একটা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে। ছয় মাস অতিক্রান্ত হলে অ্যাডভোকেট তালিকাভুক্তির পরবর্তী লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে আপনাকে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু কাগজ সংযুক্তি সাপেক্ষে আবেদনপত্র প্রেরণের আহ্বান জানানো হবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুকূলে পরীক্ষার নির্ধারিত ফি বাবদ নির্ধারিত টাকা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার বা ব্যাংকে বার কাউন্সিলের অ্যাকাউন্টে নগদ জমা দেওয়ার রসিদ। সিনিয়রের কাছ থেকে শিক্ষানবিশ সমাপন-সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র। পূর্ণ বিবরণসহ পরীক্ষার্থী ও তার সিনিয়রের স্বাক্ষর, সিলমোহর ও তারিখযুক্ত কমপক্ষে পাঁচটি দেওয়ানি ও পাঁচটি ফৌজদারি মামলার তালিকা, যার শুনানিকালে পরীক্ষার্থী নিজে তাঁর সিনিয়রের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এগুলোর সঙ্গে থাকতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ, চারিত্রিক সনদ ও ছবি


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ