অনেকে বলে জ্বীনদের বশে আনা হারাম কারণ তারা শয়তান এবং তাদের বশে আনতে কুফরি কালাম পড়তে হয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে জ্বীনদের মধ্যে ভালো জ্বীনও আছে তাদের বশে আনতে তো আর কুফরি কালাম পড়তে হবে না তাই নয় কি? কারণ তারা শয়তান না। আর যদিও কুফরি কালাম ব্যাতীত বশে আনা যায় তাহলে এটা কি ইসলামে হালাল না হারাম? যারা ভালো জানেন তাদের মন্তব্য আশা করছি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমাদের মতোই জীন জাতিদের মাঝে ভালো খারাপ আছে...জীনদের বশ করার অনেকগুলো কায়দা রয়েছে...আমাদের মতো মানুষরা খারাপ জীন বশ করে খারাপ কাজগুলো করিয়ে থাকে যা ইসলাম বিরোধী এবং কুফরি কালাম করে...আর যারা ভালো জীন তারা যেসব মানুষদের কাছে বশ মানে তাদেরকে নামাজ,রোজা,খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে নতুবা তারা সেই মানুষটার কাছ থেকে চলে যায়...আমাদের আশেপাশে এমন অনেক আলেম পাবেন যাদের কাছে বড় বড় ভালো মানের জীনেরা থাকে

ভারতের খাজা মঈনুদদিন চিশতি উনার কাছে কমপক্ষে পচিশ হাজার জীন বায়াত নিয়েছে...জীনেরা উনার কাছ থেকে অনেক বিষয়ে শিক্ষা নিতেন..অতএব যদি জীনদের আপনাকে ভালো তবে তারা আপনার কাছে আসবে থাকবে এতে হারাম হবার কিছু নাই..ভালো জীনগুলো বরংচো আপনাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
"বশ" শব্দ বলতে বুঝানো হয় যেকোনো কাজে বাধ্য করাকে।
মানুষ জ্বীনকে বশ করে সাধারণত কুফরিমূলক কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে। যা ইসলামে নিষিদ্ধ।

জ্বীনদের মধ্যে ভালো ও খারাপ উভয় জাত রয়েছে।
কেউ যদি কুফরি কালাম ব্যাতিত জ্বীনকে বশে আনে তাও হারাম হবে। কারণ, ইসলামে কাউকে কোনো কাজে বাধ্য বা জোর করার অনুমতি দেয়না।

কিছু কিছু হক্কানি আলেমদের দেখা যায় জ্বীনদের নিজের কাছে আয়াত্তে রাখে, এখানে বুঝতে হবে, আয়াত্তে রাখা কাকে বলে। আয়াত্তে রাখা মানে, ভালো বা কামেল জ্বীনদের সাথে সম্পর্ক বা যোগাযোগ রাখা। এ থেকে বুঝা গেলো আয়াত্তে রাখা এবং বশ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

আলেমগণ সাধারণত জ্বীনদের আয়াত্তে রাখে দ্বীনের দাওয়াত প্রচারের জন্য ও বিভিন্ন প্রকার জ্বীনের আস্রিত রোগীদের শেফা দান করানোর জন্য।

★ইতিহাসে প্রসিদ্ধ অনেক হক্কানি ওলি-আউলিয়া গণ হাজার-হাজার জ্বীন আয়াত্তে রেখেছিলেন এবং বায়াত করেছিলেন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ