শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, অগোচরে সমালোচনা করা ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ গীবত ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। সাহাবায়ে কেরাম জিঙ্গাসা করলেন, এটা কিরূপে? তিনি বললেন, এক ব্যক্তি ব্যভিচার করার পর খাঁটি তওবা করলে তার গুনাহ মাফ হয়ে যায়, কিন্তু যে গীবত করে তার গুনাহ গীবতকৃত ব্যক্তি মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না। হাদীসটি হযরত আবু সায়ীদ (রাঃ) ও জাবের (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হল, গীবতের মাধ্যমে আল্লাহর হক ও বান্দার হক উভয়ই নষ্ট করা হয়। (তাফসীরে মা’আরেফুল কুরআন)

এখান থেকে স্পষ্ট হয় যে গীবত করাটাই মারাত্মক গুনাহের কাজ, কার গীবত করছেন সেটা কোন বিবেচ্য বিষয় না আর বান্দার হক মানে সকল মানুষের হক কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর নয়। তাছাড়া সকল মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ রয়েছে তবে মানুষকে বিচার করতে হবে তার মানবিক গুনাবলি ও আচরন দিয়ে।

“তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে (সূরা কাফিরুন, আয়াত-৬)”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ