আমি লক্ষ্য করে দেখেছি গরমের দিনেএকজন সাভাবিক মানুষের চেয়ে আমার গরম বেশি লাগে এবং অনেক ঘামায়। আবার শীতের দিনেও অন্যদের তুলনায় আমার ঠান্ডা বেশী লাগে, হাত পা বরফের মত মত ঠান্ডা হয়ে থাকে। সবার হাত পা গরম থাকে আর আমার  থাকে ঠান্ডা। এই নিয়ে আমি এক্টু চিন্তিত, কারন শীতের দিনে কারো সাথে হাত পা লাগাতে পারি না অপর জন খুবি অসস্তিকর বোধ করে! আবার শীতকাল আসার আগে থেকেই আমার ঠোট ফাটা শুরু করে, কিন্তু শীতকাল চলে যাওয়ার অনেক দিন পর ঠোট ফাটা কমে। এর থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে পারি আমি?  কেউ বলে উদ্ধার করুন আমায়?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
tusarmia80

Call
গরম:
কমিয়ে আনুন শারীরিক পরিশ্রম : না, গরমে বেশি ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। ব্যায়ামে বাড়বে শরীরের তাপমাত্রা। তবে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে যেটুকু ব্যায়াম করবেন তা যেন সীমিত থাকে। ভোরে হেঁটে আসুন খোলা বাতাসে।
পরিমিত পানি পান করুন : দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণ পানি। সেই পানি পূরণ করতে আপনাকে বাড়তি পানি পান করতে হবে। শরীরের কোষগুলো সজীব রাখতে হলে চাই পানি।
তরল খাবার বেশি খান : বিভিন্ন মাংস, ডিম ও চর্বিজাতীয় খাবারের কথা ভুলে যান। তরল খাবার, ডাবের পানি, তরমুজ খান বেশি করে।
হালকা রংয়ের পোশাক পরুন : এ গরমে একেবারেই ভুলে থাকুন গাঢ় রংয়ের পোশাকের কথা। পোশাক পরুন হালকা রংয়ের। গাঢ় রংয়ের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম অনুভূত হয় বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা রংয়ের পোশাক হলে। গরমে সিনথেটিক পোশাক পরবেন না। সবসময় সুতি ও ঢিলা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।
বিরত রাখুন ধূমপান : সিগারেটের কথা মুখেই আনবেন না এ গরমে। সিগারেটের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন। ধূমপানে আরও গরম হয়ে যায়।
পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও অ্যালকোহল : গরমের অত্যাচারে যখন আপনি অতিষ্ঠ ভুলেও পান করবেন না চা, কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে আপনার শরীরে। বাড়িয়ে দেবে বেশি করে পানিশূন্যতা।
এড়িয়ে চলুন সূর্যালোক : চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মাখুন সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন।
গোসল করুন একাধিকবার : সবচেয়ে ভালো যদি ঠাণ্ডা বাথটাবে চুপচাপ শুয়ে থাকুন। কিন্তু তা সম্ভব না হলে দিনে দুই তিনবার গোসল করুন।
শুয়ে পড়ুন মেঝের ওপর : ফোমের বিছানা কিংবা জাজিম-তোশক গুটিয়ে রাখুন। ভালো করে ধুয়ে-মুছে সটান শুয়ে পড়ুন মেঝের ওপর। মেঝের শীতল অনুভূতি শীতল করে তুলবে আপনার শরীরকে। চমত্কার ঘুম হবে আপনার। দেখবেন গরম কোথায় পালায়!
ঠান্ডা:
থাইরয়েডের সমস্যা
সব সময় ঠান্ডা লাগার আরেকটি কারণ হলো থাইরয়েডের সমস্যা। হাইপোথাইরয়েডিজম বলে একটি বিষয় আছে, থাইরয়েড গ্রন্থি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ না করে, তখন এই সমস্যা হয়। এর ফলে দেহে তাপ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। হাইপোথাইরয়েডিজমের অন্যান্য লক্ষণ হলো, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, শুষ্ক ত্বক এবং অবসাদ।
আয়রনের ঘাটতি
আয়রনের ঘাটতি শীত লাগার এই প্রবণতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। কারণ আয়রন হলো প্রধান মিনারেল যা লোহিত রক্তকণিকাকে দেহে অক্সিজেন বহন করতে সাহায্য করে। শরীরের প্রতিটি জিনিসের পুষ্টি প্রয়োজন। আয়রনের ঘাটতি হলে লোহিত রক্তকণিকা এই কাজ ভালোভাবে করতে পারে না। আয়রনের ঘাটতিতে হাইপোথাইরয়েডিজমও হয়, যা শীত লাগার জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আয়রনের ঘাটতি পূরণে মাংস, ডিম, পুঁইশাক, কচু ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
রক্ত চলাচলে বিঘ্ন
যদি সব সময় হাত-পা ঠান্ডা থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক থাকে, তাহলে এটা রক্ত চলাচলে সমস্যা নির্দেশ করে। কার্ডিওভাসকুলার রোগও এর কারণ হতে পারে। এর মানে হলো হার্ট ভালো করে রক্ত পাম্প করছে না। এ ছাড়া অনেক সময় হাত এবং পায়ের রক্তনালি সরু হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা হতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া মস্তিষ্কের স্নায়ু পদ্ধতিতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই পদ্ধতি শরীরের তাপের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে ঠান্ডা লাগে।
পানিশূন্যতা
শরীরে তাপের ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পানি শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং শীত শীত ভাব কমায়। তাই একজন সুস্থ মানুষের দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।
ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি
শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর প্রয়োজন হয় লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন করার জন্য, যা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এর অভাবে এনিমিয়া হতে পরে। লোহিত কণিকা কমে যেতে পারে এবং ঠান্ডা ভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন বি ১২-এর চাহিদা পূরণে চর্বিহীন মাংস, মাছ, দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতে হবে। যদি এর পরও সমস্যা বোধ করেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শারীরিক গঠন
পুরুষদের তুলনায় নারীরা শরীরে তাপ বেশি সংরক্ষণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতে, নারীদের শরীর অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। যেমন মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচলের প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। হয়তো হাত বা পায়ে রক্ত চলাচল এতে কমে যায় কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে। গড়ে নারীদের তুলনায় পুরুষদের হাতের তাপমাত্রা ২.৮ ডিগ্রি শীতল থাকে।
ডায়াবেটিস হলে
যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে এক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, যাকে বলা হয় পেরিফিরাল নিউরোপ্যাথি। এটি স্নায়ু পদ্ধতিকে আক্রান্ত করে। হাত ও পায়ে সংবেদনশীলতা তৈরি করে। এর কারণে কখনো কখনো ব্যথা এবং হাত-পায়ে অসাড় অবস্থা তৈরি হতে পারে এবং হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ASalam

Call

ভিটামিনের অভাব হলে এমন হয়। তবে ভিটামিন যুক্ত খাদ্য এবং ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ