অনেক সমস্যায় আছি, আমি একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের স্টুডেন্ট। প্রতিটা দিনের অধিকাংশ সময় কাটে চেয়ার টিবিল/ফ্লোরে নিজের কাজ নিয়ে।

গত জানুয়ারি মাস থেকে একটা সমস্যায় পড়েছি, বাম পা'র হাটু হঠাত করে হাল্কা ফোলা আর ব্যাথা অনুভব করতে থাকলাম। ধীরে ধীরে ব্যাথা অনেক বেড়ে গেলো এর সঙ্গে সঙ্গে ফোলাও অনেক বেড়ে গেলো। গ্রামের বাড়ি চলে আসি, এরপর ডাক্তার দেখিয়েছিলাম  নিউরোলজিস্ট। মেডিসিন নিতে থাকলাম কয়দিন পর মোটামুটি ব্যাথা এবং ফোলা কমে যাওয়ার কারনে ঢাকায় ব্যাক করেছিলাম। ওষুধ খেতে খেতেই কয়দিন পর হঠাত করে আবার বাম পার এক আঙ্গুলে ব্যাথা অনুভব করতে লাগলাম, ক'দিন পর ডান পার বুড়ো আঙ্গুলে ফুলে ব্যাথা অনুভব করতে থাকলাম, এরপর কয়দিন পর বাম পা'র হাটু আবার ফুলে গেলো, আর ব্যাথা শুরু। এর পর আবার গ্রামের বাড়িতে দেরত আসলাম পরের দিন ডান পার হাটুও ফুলে গেলো ব্যাথা শুরু।

সেই নিউরোলজিস্ট কেই আবার দেখালাম, মেডিসিন চেঞ্জ করে দিলো। কোন লাভ হলোনা , এখন পর্যন্ত একবার বাম পার ব্যাথা বাড়তেছে, ডান পা'র কমতেছে, আবার দু পার একসঙ্গে ব্যাথা ও ফুলা বাড়তেছে। আবার কয়দিন পর ফুলা প্রায় কমে যাচ্ছে, আবার শুরু হচ্ছে। এইভাবে চলতেইছে। আর একভাবে দাড়িয়ে থাকলে ব্যাথা বাড়ে। 

যখন ফুলা বাড়তেছে তখন ব্যাথা বাড়তেছে। আর একভাবে বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে ব্যাথা লাগেনা, যখন পা সোজা করি অথবা হাটার চেষ্টা করি, বা পা সোজা করার চেষ্টা করি, ফুলা থাকলে শুধু তখনই ব্যাথা লাগে। সাধারন ভাবে হাটতে পারিনা এই ব্যাথার কারনে।

দয়া করে আমায় কেউ জানাবেন আমায় কোন বিভাগের ডাক্তার দেখানো উচিৎ তথবা আমার কি করা উচিৎ। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

করণীয়/চিকিৎসা ১। যদি হাটু ফোলা থাকে তাহলে সর্ব প্রথম ফোলা কমানো। হাটুর ভিতর থেকে ইনফ্লামেট্রি ফ্লুইড বের করে অথবা রেষ্ট এবং ঔষধ এর মাধ্যমে ফোলা কমানো। ২। যদি হাটুর তাপমাত্রা বেশী থাকে তাহলে বরফ ও তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাক্লে গরম শেক দিতে হবে। ৩। ডিপ ফ্রিকশন ও মায়োফেসিয়াল রিলিজ টেকনিক - যা হাটুর উপর ও নিচের মাংশ পেশী ও লিগামেন্ট কে নরম করে ফলে ব্যাথা কমে। ৪। স্ট্রেন্দিং ও ষ্ট্রেচিং এক্সার সাইজ - হাটুর শক্তি ও রেঞ্জ অফ মুভমেন্ট বৃদ্ধি করে। ৫। ড্রাই নিডিলিং - এই প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে হাঁটুর শক্ত-মাংশপেশীকে নরম করা হয় - ফলে রোগী সহজে হাঁটু ভাজ করাতে পারে। ৬। হাঁটু ফোলা থাকলে হাটা হাটি কম করে পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন এবং চিকিৎসকের সরনাপন্ন হোন। প্রতিরোধঃ ১। নিয়মত হাটুন। ২। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ৩। পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেলস্ এবং আশ যুক্ত খাবার খান। নিয়মত হালকা ব্যায়াম ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁটু ব্যাথা নিরাময় করে সুস্থ থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
live_khan

Call

আপনাকে একটা ভালো পরামর্শ দেই সেটা হচ্ছে আপনি সেরাজেম থেরাপি মেশিন দিয়ে রোগীকে তাপ দিন।আশা করি আরোগ্য লাভ করবে।এই মেশিনটি দ্বারা বাংলাদেশের অনেক জেলায় ফ্রি সেবা দেওয়া হয়।তবে আপনার এলাকায় এটি কোথায় অবস্থিত তা আপনি জেনে নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ