"আর আমি জ্বীন ও মানবজাতিকে কেবল আমার(আল্লাহ) ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।" (সূরা যারিয়াত, আয়াত ৫৬ ) আল কুরআনে জ্বীনের কথা উল্লেখ রয়েছে সুতরাং জ্বীনের অস্তিত্ব অবশ্যই আছে এবং আমাদের আশেপাশেই আছে। অনেক ঘটনায় শোনা গিয়েছে জ্বীনরা সাধারণ ভোর রাতে মসজিদে গিয়ে নামায কায়েম করে। জ্বীনদের মাঝেও ভালো খারাপ দুটোই আছে। তারা যে কোনো মানুষের রূপ ধারণ করতে পারে এবং মূহুর্তের মাধ্যে কঠিন কাজ সম্পন্ন করতে পারে যেটা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
হ্যা জ্বীন সত্যিই আছে!
জ্বীন জাতি হচ্ছে ইসলাম ধর্মের মূলগ্রন্থ কোরআনে বর্ণিত একটি জীব বা সৃষ্টি। প্রাক ইসলামী যুগেও জ্বীন জাতি সংক্রান্ত বিশ্বাস অন্যান্য আরব এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিদ্যমান ছিল।আরবি জ্বীন শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কোন কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, অন্তরালে বসবাসকারী বা অনেক দূরবর্তী। কুরআনে জ্বীন ও ইনসান (মানুষ) এই দুই জাতির অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকেরা এখনও জ্বীনের অস্তিত্বের প্রমাণ আবিষ্কারে সক্ষম হন নি। তবে সমাজে কিছু কিছু মানুষ কর্তৃক জ্বীন বশীভূত করা বা জ্বীনের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি প্রচলিত আছে।
অবশ্যই আছে, কারণ জ্বিন জাতির অসিত্ব সম্পর্কে কোরআনে মহান আল্লাহ পরিষ্কার বর্ণনা করেছেন,মহান আল্লাহ বলেন- আমি জ্বিন ও মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।আর যারা জ্বিন জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করবে তারা মূলত কোরআনকে অস্বীকার করবে, আর যারা কোরআনকে অস্বীকার করবে তারা আল্লাহকে অস্বীকার করলো।