ভালো একজন চর্মরোগের ডাক্তার দেখান।


শরীরের কোন অংশে সংক্রমণের কারণে যদি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় পুঁজ জমা হয়, তখন তকে ফোড়া বলে। ফোড়ার চারপাশের ত্বক গোলাপী বা লালচে বর্ণের হয়। যারা ক্রনিক স্টেরয়েড থেরাপী নেন, যারা কেমোথেরাপী নেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে, যাদের ক্যান্সার আছে ,যারা কিডনি ডায়ালাইসিস করেন, যাদের এইডস আছে, যাদের রক্তের রোগ আছে, যাদের লিউকেমিয়া আছে, যাদের রক্তনালীর সমস্যা আছে (Peripheral vascular Disease), যাদের অন্ত্রনালীতে সমস্যা আছে (Crohn’s Disease, Ulcerative coilts), মারাত্মক পোড়া, মারাত্মক আঘাত (Severe trauma) তাদের ফোড়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে l ফোড়া কখনোই ফাটানো যাবে না নিজে নিজে। এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে ফোড়ার মধ্যে সুচ অথবা ধারালো কিছু দিয়ে পুঁজ বের করা যাবে না l সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে l ফোড়াটি ১ সে. মি. অথবা এক থেকে আধা ইঞ্চি বড় হলে, ফোড়া বড় হতে থাকলে এবং এর ব্যথা বাড়তে থাকলে, আক্রান্ত ব্যক্তির যদি বহুমূত্র, ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, রক্তনালীর সমস্যা যেমন-পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ (Peripheral Vascular disease), রক্তের রোগ যেমন- সিকেল সেল এনিমিয়া (Sickle-cell Anemia), এইডস থাকলে, স্টেরয়েড থেরাপী, কেমোথেরাপী অথবা ডায়ালাইসিস করানোর ইতিহাস থাকলে এবং যিনি মাদক গ্রহণ করেন, কুঁচকি অথবা মলদ্বারের কাছাকাছি ফোড়া হলে, ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট অথবা এর বেশি জ্বর হলে অবশ্যই সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে 


চিকিৎসা ৫০ গ্রাম নিমের পাতা বেটে নিয়ে তাকে একটা ট্যাবলেট বা গুলির মতো তৈরি করে নিন। একে পুলটিসের মতো ফোড়ার ওপর লাগালে ফোড়া সেরে যায়। ফোড়াতে যদি পুঁজ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে নিমের পাতার সঙ্গে সম পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো করে দিয়ে ফোড়াতে লাগান। ফোড়া দ্রুত শুকিয়ে যাবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ