কাজী অফিসে বিয়ে করতে হলে বর এবং কনেকে বয়স প্রমান করতে হয় সবার আগে, ছেলে ২১ মেয়ে ১৮, এক্ষেত্রে দুজনের জাতিয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিলেই হবে। না থাকলে দুজনেরই এসএসসি পাশের সনদ বা জন্মনিবন্ধন কাগজের ফটোকপি দিতে হবে।
এরপর লাগবে দুইজনেরই দুইকপি করে মোট চারকপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, আর দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী, এগুলা হলেই কাজি সাহেব আপনাকে বিয়ে পড়িয়ে দিবেন এবং রেজিস্ট্রি করে দিবেন। সাক্ষী পাওয়া না গেলে কাজীকে অনুরোধ করতে পারেন জোগার করে দিতে।
খরচ কেমন হবে?
১. বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজীকে ৫০০ টাকা বা তারও বেশি দিতে পারেন খুশি হয়ে, কম দিলেও সমস্যা নাই।
২. সাক্ষী যদি আপনি না পান, তো কাজী যদি যোগাড় করে দেয় তো দুইজন সাক্ষীর জন্য ২০০ টাকা বা তারও বেশি মানে আপনি খুশি হয়ে যা দিবেন তাই।
৩. দেনমোহরের জন্য প্রতি হাজারে কাজীকে ১০ টাকা হারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে। যেমন, আপনার দেনমোহোর যদি ৫০,০০০ টাকা হয় তো কাজীকে ৫০০ টাকা দিতে হবে। এখানে কম বেশি চলবে না।
৪. বিয়ে পড়ানো হয়ে গেলে কাজীকে আরও অতিরিক্ত ৫০০ টাকা (খুশি হয়ে, কম দিলেও চলবে) দিয়ে কাজীকে তখনি অনুরোধ করবেন কাবিননামার কপি দেয়ার জন্য, উনি দিয়ে দিবেন।
তার মানে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে আপনার খরচ পড়বে কমবেশি ১৭০০ টাকা মত।
যেহেতু কাজী অফিসে বিয়ে করতে যাচ্ছেন সেহেতু উপরক্ত কাজগুলা হওয়ার পর, কাবিন কপি নিয়ে একজন সরকারি রেজিঃ উকিলের কাছে যাবেন। মানে কোর্ট ম্যারেজ (যদিও কোর্টে কারোও বিয়ে হয়না, এটা জাস্ট হলফনামা) করতে যাবেন।
এখানেও কিছু টাকা দিতে হবে ২০০ টাকা সর্বনিম্ন মানে স্টাম্প খরচ, আর খুশি হয়ে উকিলকে যা দিতে পারেন।
যাইহোক সব মিলিয়ে ৩৫০০ টাকা মতো পকেটে নিয়ে যাবেন।