হাসতে সবাই পছন্দ করে। তেমনি রাগ করাও মানবিক আচরণের মধ্যে পরে। তবে রাগ যদি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তবে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। আসুন জেনে নিই কিভাবে এই রাগ নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। বা কমাতে পারবেন ১) সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল উলটো গোনা (countdown)। ১০,৯,৮,৭,৬,৫,৪,৩….. গুনতে থাকুন। এতে রাগ অনেকটাই কমে যায়। ২) বড় করে নিশ্বাস নিন। অক্সিজেন ব্রেইনে প্রবেশ করলেই চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। ৩) রাগ এর উৎস থেকে কিছুক্ষণের জন্য দূরে সরে আসুন। ৪) রাগ প্রকাশ করতে না পারলে সেটা আবার ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। চেষ্টা করুন অন্যভাবে রাগ প্রকাশ করতে। যেমন, বালিশকে মারতে পারেন, অথবা বাথরুম বা অন্য কোথাও একলা চিৎকার করে মনের ঝাল মিটিয়ে গালি দিন (!)। এতে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায়। ৫) রেগে গিয়ে না চাইতেও আমরা উল্টাপাল্টা অনেক কিছুই বলে ফেলি যা পরবর্তীতে আমাদের ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। তাই কিছু বলার আগেই সেটা কাগজে লিখে ফেলুন। তারপর চিন্তা করে দেখুন কথাটা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত। ৬) অযথা রেগে না গিয়ে চিন্তা করুন কিভাবে সমস্যাটাকে সমাধান করা যায়। ৭) যদি পারেন যার কারনে আপনার ব্রহ্মতালুতে আগুন জলছে তাকে ক্ষমা করে দিন। এটা আপনার এবং তার দুজনের জন্যেই ভাল ফল নিয়ে আসবে। ৮) রাগ কমানোর ভাল একটি উপায় হল – যদি আপনি দাঁড়িয়ে থাকেন তবে বসে পড়ুন, আর বসে থাকলে শুয়ে পড়ুন। এর ফলে আমাদের ব্রেইন চিন্তা ভাবনা করার সময়টুকু পায়। ৯) যুক্তি দিয়ে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে রেগে গেলে শুধু নিজেরই ক্ষতি হবে , তার কোন ক্ষতি হবেনা। এতে আপনাআপনি রাগ কমে আসে। ১০) আরেকটি দারুণ উপায় হল – যখনি আপনি রেগে যাবেন চিন্তা করতে থাকুন আপনার প্রিয়জনদের কথা। তাদের সাথে কাটানো প্রিয় সময়গুলোর কথা। এর ফলে রাগ গলে পানি হয়ে যেতে বাধ্য। ১১) চেষ্টা করুন প্রতিদিন যোগব্যায়াম করতে। এর ফলে আমাদের সহ্যক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। আমি ডাক্তার নই। এই সব তথ্য আমি বিভিন্ন ব্লগ থেকে সংগ্রহ করেছি। কারন আমি নিজেও একটু বদমেজাজী। অল্পতেই রেগে যাই। আমার জন্য এইসব টিপস দারুন কাজ দিয়েছে। তবে মজার কথা হল বেশিরভাগ সময় আমরা রেগে গেলেও প্রকাশ করিনা। এর ফলে নিজে তো ক্ষতিগ্রস্ত হই , আশেপাশে থাকা মানুষগুলির মধ্যেও এর প্রভাব পড়ে। তাই হাসুন প্রাণখুলে।