আমার অধিক পরিমানে হাত পা ঘাম হয়।এতে আমি সকল কাজে বিরক্ত অনুভব করসি।বাসা থেকে বের হলে বেশি ঘামে।তারপর বন্ধু বা অন্ন কারো সাথে কথা বলতে গেলে বেশি ঘামে।মাঝে মাঝে কারো সাথে কথা বলসি মাথা ঘামসে এবং অতিরিক্ত।কি ভাবে আমি মুক্তি পাতে পারি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

* হাত পা ঘামার কোনও নির্দিষ্ট কারন নেই। তবে সাধারণত অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘামের সৃষ্টি হয়ে থাকে। * শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা থাকলে হাত পা ঘামে। * ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা ঘামতে পারে। * বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন, পারকিনসন্স, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস থাকলে রোগীরা অনেক ঘামে। * অনেকের জেনেটিক কারণেও হাত-পা ঘামতে পারে। যেভাবে প্রতিরোধ করবেন: * সাধারনভাবে লবন খাওয়া কমাতে হবে। * বাইরে থেকে এসে হাত পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে হাত-পা মুছে ফেলতে হবে। * পা ঘামার ক্ষেত্রে জুতায় পাউডার লাগিয়ে নিতে হবে। এবং সুতির মোজা ব্যবহার করতে হবে। * অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহারের মাধ্যমে হাত-পা ঘামা কমে যায়। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। * বিশেষ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। ---কালেক্টেড!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

হাত-পা ঘামার কারণ হাত-পা ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত- পা ঘামে। চিকিৎসা সঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত- পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত- পা ঘামা কমানো যায়। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গরমে বা খাটাখাটনিতে শরীরে ঘাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত ব্যায়াম, গরম আবহাওয়া, ভয় বা রাগের কারণে শরীর ঘামার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, স্থূলতা, শরীরে পুষ্টির অভাবসহ নানান কারণে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঘামতে পারে। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, জ্বর, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, মেনোপজ ও লিউকোমিয়া ইত্যাদি কারণেও শরীর বেশি ঘাম হতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম শরীরের বিভিন্ন জায়গা যেমন হাতের তালু, পায়ের নিচে, বগল, গলা, কপাল, এমনকি মাথার ত্বকেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া এটি স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করে ও ঘামের দুর্গন্ধ বাড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘরোয়া পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে জানানো হয়। তবে ঘামের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বাড়লে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বেশ কার্যকরী। ত্বকে ব্যবহার করে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া স্থানগুলো ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর তুলার বলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার নিয়ে ওই স্থানগুলোতে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পাউডার বা ডিউডরেন্ট লাগাতে হবে। এছাড়া চাইলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস করলেও অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে ২ টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ও ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। বেকিং সোডা বেকিং সোডাও শরীরকে অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ঘাম শোষণ করে ও দুর্গন্ধ কমায়। এছাড়া শরীরের যে অংশ বেশি ঘামে সেখানের পিএইচ লেভেলের মাত্রা কমাতেও বেকিং সোডা সাহায্য করে। পরিমাণমতো পানির সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এই পেস্টের সঙ্গে পছন্দমতো তিন থেকে চার ফোঁটা সুগন্ধী তেল মিশিয়ে নিয়ে বগলে এবং যে সব জায়গা বেশি ঘামে সেসব জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে। পেস্টটি সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া বেকিং সোডা ও কর্ন ফ্লাওয়ার একসঙ্গে সমপরিমাণে মিশিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করা যায়। তারপর বেশি ঘাম হওয়া স্থানগুলোতে প্রয়োজনমতো এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

হাত-পা ঘামার কারণঃ হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, হাত-পা কেন ঘামে তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারনে হাত-পা ঘামতে পারে। পায়ের দুর্গন্ধের কারণঃ পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ পায়ের ঘাম। ঘেমে যাওয়া পায়ে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে ঘাম বেরোতে পারে না। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ ছাড়া জুতা ও মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও পা ও জুতা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। রোধ করার উপায়ঃ - সব সময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে। - বাইরে থেকে এসে পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলতে হবে। - প্রতিদিন ব্যবহার করা মোজা ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। - জুতা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। - জুতার মধ্যে মাঝেমধ্যে পাউডার দিতে পারেন। - মাঝেমধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নেবেন। - সুতি মোজা ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে পা কম ঘামে ও ঘাম শোষণ করে। - যাঁদের পা বেশি মাত্রায় ঘামে, তাঁরা বেশি ঘাম শোষণ করতে পারে এমন জুতা কিনতে পারেন। উৎস: ইন্টারনেট।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

http://www.zamanhomeo.com/image/32.png আপনার হাত-পা ঘামার প্রবণতা আছে। কোনো কোনো আপনার হাত-পা ঘামা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে টাইপ করা,লেখালেখি করা,কম্পিউটার চালানো অথবা চটি জুতা পরে হাঁটা মুশকিল হয়ে ওঠে। এ সমস্যার ডাক্তারি নাম হাইপারহাইড্রোসিস (Hyperhidrosis)। এটা কিছুটা নির্ভর করে বংশগতির ওপর। কিছুটা পরিবেশের ওপর। অনেকটাই শারীরিক পরিশ্রমের ওপর এবং মানসিক অবস্থা অর্থাৎ উৎকণ্ঠা, টেনশন আছে তার ওপর।তবে সুনির্দিষ্ট কারণ বের হয়নি। ইদানীং বেশির ভাগ সায়কিয়াট্রিস্ট রোগীর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে করমর্দন করেন। এর পেছনে উদ্দেশ্য হলো দেখা যে,রোগীর হাত শুকনো না ঘামে ভেজা! কেননা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক বেশি ঘামের পেছনে লুকিয়ে থাকে মনের নানা অসুবিধা। ভয় বা প্যানিক ডিসঅর্ডার,রাগ, উত্তেজনা, উদ্বেগজনিত অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার,এক্সামিনেশন ফোবিয়া ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘামের কারণ। এর প্রতিকার হিসেবে ১. অ্যাবসলিউট অ্যালকোহল অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড দ্রবীভূত করে বারে বারে লাগানো যেতে পারে যেমন -ড্রাইসল তবে ভাম এন্ড কোং থেকে এই ঔষধ বানিয়ে নেয়া যেতে পারে এতে খরচ কিছুটা কম পরবে। ২. কিছু খাবার ঔষধ আছে যাতে হাত-পায়ের ঘাম কমানো যায় তবে তা উল্লেখ্য করলাম না, কারন তার কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে।এছাড়া রোগীর বিস্তারিত না জেনে তা বলা অনুচিত। ৩. এছাড়া আয়ানটোফোরোসিস মেশিনের সাহায্যে থেরাপি অর্থাৎ কলের জলর আয়ন ইলেকট্রোলিসিসের সাহায্যে বিশ্লেষিত করা হয়। এই জলতে হাত-পা ডুবিয়ে রেখে থেরাপি দেয়া যেতে পারে। সহজ ভাষায় বিশেষ ধরনের এক বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিতে হবে। ৪. বোটুনিয়াম টক্সিন বা বোটক্স ইঞ্জেকশন দিয়েও হাত-পায়ের ঘাম কমানো যায়। তবে তিন-চার মাস পরপর ইঞ্জেকশন নিতে হয়। স্থায়ী মুক্তি সম্ভব নয়। বেশ খরচসাপেক্ষ পদ্ধতি। ৫. ইদানীংThoracoscopic Splanchnicectomy অপারেশনই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।বুকের পাশে পাঁজরের পেছন দিক থেকে ছোট তিনটে কি হোল করে নার্ভ কেটে দেয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে প্রচণ্ড ঘামের সমস্যায় ভুগতে না হয়। এই অপারেশন নিউরো সার্জনরা করে থাকেন। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যাই করা হোক না কেন, তা করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ