চাকুরি এবং ব্যবসা দুটো ডিফারেন্ট একটা অপশন ভাবতে পারেন। চাকুরি হলে অন্যের অধিনে কাজ করে তার বিনিময়ে মাসিক চুক্তিতে বেতন পাওয়া। চাকুরি করে সাধারণভাবে আপন জীবনযাপন করতে পারবেন কিন্তু বড় বড় কিছু করতে পারবেন না। চাকুরি করে আপনি স্বাধীনভাবে চলতে পারবের যখন মন যা চাইতে তাই করতে পারবেন না যখন খুশি ছুটি কাটা অফিস কাটা এগুলো করতে পারবেন না। বসের ঝাড়ি শুনতে হয় কোন কাজ ঠিক না হলে এবং কাজের চাপ থাকলে নাইটে কাজ করে সেটা কাভার করতে হয়। মাস শেষ হওয়ার আগে বেতন পাবেন না। চাকুরিতে শুধু যে অসুবিধা আছে এমনটা তা সুবিধাও আছে, সুবিধা হল এটা ব্যবসা থেকে টেনশন কম কারন এখানে দেনাদার পাওনাদার নিয়ে ভাবতে হবে না তাই বাড়তি কোন চাপ নেই। ব্যবসা তে টেনশন বেশি, কারন আপনাকে নগদ এবং ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করতে হতে পারে। ব্যবসাতে লোকসান হয় তাহলে সেটার ভার নিজেকে বহন করতে হয়। ব্যবসারে সুবিধা হল এটা আপনার নিজের পেশার কারও কথামত এখানে চলতে হয়না। তবে আপনার ব্যবসায়ীক জ্ঞান ভালো থাকে তাহলে আপনি ব্যবসা করে আপনার লক্ষে পৌছাতে পারবেন। যাঁরা জীবনে বড় হয়েছে ব্যবসা করেই বড় হয়েছে। বড় বড় কোম্পানীর যারা মালিক যেমন: স্কোয়ার, আকিজ গ্রুপ এনারা শুরু করেছে ফুটপাতের ফেরি করা ব্যবসা থেকে কিন্ত এরা আজ নাম করার শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন কারন তাদের ছিল প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং ব্যবসায়ীক জ্ঞান। ধন্যবাদ।
এটা ডিপেন্ড করবে আপনি কি ধরনের চাকরী করবেন তার উপর, সরকারি চাকরি হলে সবাই বলবে ব্যাবস্যা এর চেয়ে চাকরি ই ভাল, তবে বেসরকারি চাকরি এর চেয়ে ব্যবস্যা ই ভাল।
চাকরি করলে নিজের স্বাধীনতা পাবেন না, আর ব্যবস্যা করলে নিজের স্বাধীনতা পাবেন ।
আর আমার কথা হলঃ মূলধন থাকলে হালাল ব্যবস্যাতে নেমে পড়েন আল্লাহ এর নাম নিয়ে ।
দুটোই ভাল। বলা যেতে পারে দুই মেরু চুম্বকের মত। এখানে সুবিধা-অসুবিধাটা দুটোতেই বিদ্যমান।
১। চাকুরী করাটা মানে সর্বদা পরের অধীন থাকা। খাস বাংলা চাকরগীরি কিংবা গোলামী করা। অবশ্য চাকুরী অর্থে আমরা কেউ বড় কিংবা ছোট চাকর। তথাপি ব্যবসাটা মূলত উদ্যোক্তা হিসাবেও হতে পারে। মানে আপনি স্বত্তাধিকারী।
২। চাকুরী করলে বেতনের টেনশন থাকেনা। অর্থাৎ মাস শেষে নিদিষ্ট একটি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। কিন্তু ব্যবসাতে লাভ/লসের বিষয় আসে।
৩। চাকুরী করলে বেশী বড়লোক হবার সুযোগ থাকেনা। যদিও দূনীর্তি করলে আলাদা বিষয়। কিন্তু ব্যবসাতে আপনি অল্প হতে শুরু করে শিল্পপতিও বনে যেতে পারেন।
৪। চাকুরীর স্বাধীনতা নাই। কিন্তু ব্যবসায়ের স্বাধীনতা আছে। এবং উদ্যোক্ত হতে পারবেন ও অপরকে কাজের সুযোগ করতে পারবেন।
৫। পরিশেষে ইসলামে ব্যবসায়ের গুরুত্বের কথাটাই বেশী বলা হয়েছে। কারন অধিকাংশ সাহাবাগণ ও নবীগন ব্যবসাতে যুক্ত ছিলেন। এই কারনে ইসলামে ব্যবসাকে হালাল করা হয়েছে। ( ভেজাল করলে কিন্তু হালাল হবে না)।