হাত পায়ের নখ কাটাও সুনানুল ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। তালিবে ইলমদের মধ্যে এই সুন্নতের বিষয়েও অবহেলা দেখা যায়। অথচ তা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ এবং কোনো কোনো সময় সুন্নতে ওয়াজিবার পর্যায়ে চলে যায়। বড় নখ দেখতে বিশ্রী। যারা দেখেন তাদের কষ্ট হয়। আর তার মাঝে এত বেশি ময়লা জমে থাকে যে, পরিষ্কার করার পরও পুরোপুরি দূর হয় না এবং খাওয়া-দাওয়ার সময় অপরিহার্যভাবে পাকস্থলিতে তা চলে যায়। তাছাড়া বড় নখ তো হিংস্র প্রাণীর বৈশিষ্ট্য। মানুষের নখ কেন বড় থাকবে? যদি মানুষ এটুকু চিন্তাও করে যে, আমি নামাযে আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি। আল্লাহর আদেশে পোশাকের যীনত গ্রহণ করেছি, কিন্তু হাত পায়ের নখ যদি বড় থাকে তাহলে তা কত বিশ্রী দৃশ্যের অবতারণা করবে। আমি মুনাজাতে আল্লাহর সামনে হাত ওঠাচ্ছি, কিন্তু নখের অবস্থা এমন যে, তা না আল্লাহর পছন্দ, না আল্লাহর ফেরেশতাদের, না রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর, না কোনো রুচিশীল মানুষের।
এ প্রসঙ্গে মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে আছে, আবু ওয়াসিল বলেন, আমি আবু আইয়ূব রা.-এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলাম। মোসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা কর, অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো, যাতে জমে থাকে ময়লা-আবর্জনা! (মুসনাদে আহমদ; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী) সুন্নত খেলাপ হলে গুনাহ
হবে।