Irritable Bowel Syndrome (IBS) বা আই.বি.এস একটি সাধারন রোগ যা বৃহদান্ত্রের ফাংশনাল লক্ষণ সমূহের সমষ্টি। ফাংশনাল মানে হলো যার কোন গঠনগত ক্রটি নাই। কিন্তু কার্যকারিতায় ক্রটি রয়েছে।
লক্ষণ সমূহ:
পেটে ব্যাথা
খাবার পর অস্বস্থি বোধ
পেট ফেঁপে যাওয়া
মলের সমস্যা
ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য — সাথে আরো কিছু সাধারণ লক্ষণ থাকতে পারে
দূর্বলতা
মাথাব্যাথা
বমি বমি ভাব ইত্যাদি
কারো কারো স্বল্প লক্ষণ থাকে, কারো কারে তীব্র লক্ষণ দেখাদেয়।
কিভাবে আই.বি.এস. নির্ণয় করা হয়:
আই.বি.এস নিশ্চিত করার কোন পরীক্ষা নেই। তবে অন্য কোন রোগ আছে কিনা , তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা প্রথমে করাতে হয়। যেমন:
#মলের পরীক্ষা
#এক্স-রে
#কলোনোস্কপি
#রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি
অন্য কোন রোগ নেই নিশ্চিত হওয়ার পরই শুধুমাত্র আই.বি.এস হিসেবে চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ।
আইবিএস এর ধরন:
আইবিএস দুই ধরনের হতে পারে:
০১. কোষ্ঠকাঠিন্য প্রাধান্য
০২. ডায়রিয়া প্রাধান্য
কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য বেশী হয়, কারো কারো ডায়রিয়ার লক্ষণ বেশী দেখা যায়।
কারন সমূহ:
#কারন নিশ্চিত নয়। এটি অন্ত্রের অধিক কাজ করার সাথে সংযুক্ত থাকতে পারে।
#স্নায়ুর অধিক কাজ করা।
#কোন কোন খাবার হজম না হওয়া।
# ইনফেকশন — পূর্বের কোন ইনফেকশন
#ব্যাথার অতিঅনুভূতি
চিকিৎসাঃ
০১. জীবন যাত্রার পরিবর্তন
— নিয়মিত ব্যায়াম
–মানষিক চাপ কমানো
–লক্ষণ সমূহের রেকর্ড রাখা
০২. খাদ্যাভাস পরিবর্তন
–যে সকল খাবার সমস্যা হয় তা পরিহার
–তেল চর্বি কম খাওয়া
–কারো কারো শাক/ পাতায় সমস্যা হয়, ঐ গুলো না খাওয়া
–নিয়মিত খাবার খাওয়া
–প্রচুর পানি খাওয়া
০৩. প্রবায়োটিকস
০৪. ঔষধ– বিভিন্ন রকমের ঔষধ ব্যাবহার করা হয়, লক্ষণ এর উপর নির্ভর করে।
০৫. ডায়রিয়ার চিকিৎসা
০৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা
০৭. প্রয়োজনে সার্জারী
উপসংহারঃ
আই.বি.এস এমন একটি রোগ যা শুধুমাত্র ঔষধ দ্বারা ভালো করা যায়না। জীবন যাত্রার পরিবর্তন এবং তার সাথে মানিয়ে চলার অভ্যাস রপ্ত করাই আইবিএস এর চিকিৎসার মূলমন্ত্র।
যদিও ডাক্তারগন বলে থাকে এর কোন
সমাধান নেই, তবু বলবো সমাধান
আছে প্রয়োজন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের
পৃথিবীর সব খাবার খেয়ে হজম করতে
পারবেন সুস্থ থাকতে পারবেন।, উনার পরামর্শ
অনুযায়ী ঔষধ খান।
বিস্তারিত এখানে দেখুন............
যে কোন পরামর্শের জন্য মন্তব্য বা
মেসেজ করতে পারেন, সাহায্য করবো।