শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

প্রায় ১০ লাখ বছর আগে আফ্রিকায় আধুনিক জিরাফের উদ্ভব। ফসিল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আগে জিরাফ প্রজাতির প্রাণীর গলা হরিণের মতোই ছোট ছিল। পরে বড় হয়েছে। খাবারের সুবিধার জন্যই উঁচু গলার জিরাফ বেশি হারে বেঁচে থাকতে পেরেছে এবং তাদের জিন পরবর্তী প্রজন্মে সংরক্ষিত হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। কিন্তু কোনো কোনো বিজ্ঞানী মনে করেন, শুধু খাবার নয়, নিজ প্রজাতির প্রিয়তমাকে পাওয়ার জন্য লড়াইয়ে বিজয় অর্জনের ক্ষেত্রে লম্বা গলার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯০-এর দশকে দুজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন, আফ্রিকায় শুষ্ক মৌসুমে জিরাফ বড় গাছের দিকে না গিয়ে বরং মাটির ছোট ছোট ঝোপঝাড়ের লতাপাতা খেত, আর বর্ষার সময় উঁচু গাছের দিকে গলা বাড়িয়েছে। তার মানে, লম্বা গলা খাবার সংগ্রহের সুবিধার জন্য নয়, অন্য কোনো ব্যাপার হয়তো আছে। জিরাফের জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা দেখেছেন, ষাঁড়ের মতোই পুরুষ-জিরাফকে অন্য পুরুষ-জিরাফের সঙ্গে লড়াই করে কোনো স্ত্রী-জিরাফের সঙ্গে মিলনের সুযোগ অর্জন করতে হতো। সে ক্ষেত্রে লম্বা গলার সুবিধা বেশি। কালক্রমে এরাই বেশি হারে তাদের জিন পরবর্তী বংশধরে সঞ্চালিত করেছে। এভাবে লম্বা গলার জিরাফের উদ্ভব ।


সূত্রঃ প্রথম আলো ।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ