স্বপ্নদদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমা অতিক্রম করলে স্বপ্নদোষ হবেই। একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে তাদের স্বপ্নদোষের মাত্রাও মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে। অনেক রোগী স্বপ্নদোষ হওয়াকে মারাত্মক রোগ বলে মনে করেন। তাদের ধারণা, যৌবনে এটা একটা প্রধান যৌন সম্পর্কিত রোগ। কেউ কেউ নানা ধরনের চিকিৎসা করানন্ধ এমনকি স্বপ্নদোষ ও হস্তমৈথুনের জন্য প্রচলিত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করান। এদের অজ্ঞতার সুযোগ নেন অনেকে। স্বপ্নদোষকে ভয়াবহ রোগ হিসেবে অভিহিত করে রোগীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায় ১) ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন।যদিও এটি স্বপ্নদোষের চিকিৎসা নয়।তবে এটি স্বপ্নদোষের চাপ কমাতে শরিরকে সাহায্য করে। ২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে এককাপ ঋষি পাতা(sage leaves- Google এ search করে দেকতে পারেন। হয়ত এটি আপনার অঞ্চলে ভিন্ন নামে পরিচিত) এর চা পান করলে অতিরিক্ত হস্থমৈথুন জনিত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ৩) অশ্বগন্ধা স্বপ্নদোষে সৃষ্ট সমস্যার উপকরণ সহ সর্বোপরি যৌন স্বাস্থ্য শুদ্ধি হরমুন ব্যালেন্স এবং হস্থমৈথুন এর ফলে দুর্বল হয়ে যাওয়া পেশিশক্তি ফিরে পাওয়া ও ছোট খাটো ইঞ্জুরি সারিয়ে তুলতে পারে। ৪) ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।যদি সামান্য পরিমাণ প্রস্রাবের লক্ষণও থাকে বিছানায় যাওয়ার আগে প্রস্রাব করে নিন। ৫) রাতে খাবার পর পরই ঘুমাতে যাবেন না।কিছুক্ষণ হাটা হাটি করুন। ৬) প্রতিদিন সামান্য করে হলেও পুদিনা পাতা অথবা মিছরি খাবার অভ্যাস করুন। ৭) পবিত্র কোরানের ৩০ নাম্বার পারার ” সুরা তারিক” পরে শয়ন করুন। হালকা জিকির এবং অন্যান্য দোয়া পরে ঘুমাতে গেলে আল্লাহর রহমতে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।