কতটুকু পরিমাণ সম্পদ চুরি করলে চুর/চুরণীর হাত কাটার বিধান আল-কুরআনে ঘোষিত হয়েছে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে, "ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺭِﻕُ ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺭِﻗَﺔُ ﻓَﺎﻗْﻄَﻌُﻮﺍْ ﺃَﻳْﺪِﻳَﻬُﻤَﺎ ﺟَﺰَﺍﺀ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺎ ﻧَﻜَﺎﻻً ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻋَﺰِﻳﺰٌ ﺣَﻜِﻴﻢٌ" অর্থাৎ;-পুরুষ চোর আর নারী চোর, তাদের হাত কেটে দাও, তাদের কৃতকর্মের সাজা। পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময় আল্লাহর তরফ হতে ভয়াবহ সাজা। (সূরা মায়েদাহ-৩৮) ইসলামী বিধান অনুযায়ী চোর পুরুষ হোক কিংবা নারী। উভয়েই সম পরিমান দোষী। শাস্তি স্বরূপ উভয়েরই হাত কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আয়াতে ‘নাকালান’ হল ভয়াবহ শাস্তি। ইসলামী শরিয়তে কঠোর শাস্তি গুলোকে প্রকাশ্যে কার্যকরি করার বিধান দেওয়া হয়েছে। বিচারে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে সন্দেহের অবকাশ থাকলে তার ফল প্রচলিত আইনের মত আসামীর পক্ষে যাবে। তবে সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কঠোর শাস্তি গুলো প্রকাশ্যে ঘটাতে হবে। যাতে একের সাজায় অনেকের চোখ খুলে যায়। বিজ্ঞ সমাজপতিরা এ হেন শাস্তির সমালোচনা করে বলেন, এমন সমাজ গড়তে হবে যাতে কারও চুরীর প্রয়োজন না হয়। অতি উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু মনে রাখতে হবে অভাবের তাড়নায় শুধু মানুষ চুরী করে তা নয়। তা ছাড়া আল্লাহর বিধান কারও রদ করার ক্ষমতা নেই। নিরাপরাধকে শাস্তি দেবারও বিধান নেই। আর কি পরিমান মাল চুরি করলে তার উপর হদ জারি করা হবে, এবিষয়টি নিয়ে উলামাদের মাঝে মতানৈক্য আছে। তবে মোদ্দা কথা হলো, দশ দিরহাম (৪০.২৩ গ্রাম রূপা) বা এক দিনার (৮৬.৪ গ্রাম রূপা) বা তার সমপরিমাণ মাল চুরি করলে চোরের হাত কাটা যাবে। সোনা-রুপার দাম বাড়ে কমে বিধায় প্রচলিত নোটের কত টাকা চুরি করলে হাত কাটা যাবে তা চুড়ান্তভঅবে নিরূপণ করা সম্ভব নয়। (দেখুনঃ আহসানুল ফতওয়া , বাদায়েউস্সানায়ে) আল্লাহ আমাদের হক্ব বুঝার তাওফিক দিন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ