ডিজেল ইঞ্জিনের দক্ষতা(আউটপুট/ইনপুট) বেশি হওয়া সত্ত্বেও আমরা সাধারণত প্যাসেঞ্জার কারে ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করিনা,বরং এরচেয়ে কম দক্ষতাপূর্ণ গ্যাসোলিন ইঞ্জিন (পেট্রোল অথবা সি.এন.জি ইঞ্জিন) ব্যাবহার করি। এর কিছু কারণ হলোঃ ১.ডিজেল ইঞ্জিনের কম্প্রেশন রেশিও (compression ratio) বেশি (ডিজেল ইঞ্জিনের কম্প্রেশন রেশিও ২০:১ অপর দিকে গ্যাসোলিন ইঞ্জিনের কম্প্রেশন রেশিও ৮:১) হবার কারনে ইঞ্জিনের আকার অনেক বড় এবং ভারী হয়ে যায়। ২. ডিজেল ইঞ্জিনের দাম ও অনেক বেশি হয়। ৩. ডিজেল ইঞ্জিনের ওজন এবং কম্প্রেশন রেশিও বেশি হবার ফলে সর্বোচ্চ প্রতি মিনিটে ঘূর্ণন সংখ্যা (maximum RPM) গ্যাসোলিন ইঞ্জিন থেকে অনেক কম হয়। কম্প্রেশন রেশিও বেশি হবার ফলে ঊচ্চ টর্ক উৎপন্ন হয়, কিন্তু উচ্চ শক্তি (হর্সপাওয়ার) উৎপন্ন করতে পারেনা,ফলে গাড়ির গতি বৃদ্ধি করা যায় না। ৪. ডিজেল ইঞ্জিনে ফুয়েল ইঞ্জেক্ট করতে হয়,যা অতীতে অনেক ব্যয়বহুল ছিল। ৫. ডিজেল ইঞ্জিন বেশি ধোঁয়া উৎপন্ন করে এবং বাজে গন্ধ বের হয়। ৬. শীতের দেশে ডিজেল ইঞ্জিন চালু করতে অনেক সমস্যা হয়। আর সেজন্য ইঞ্জিন গরম করতে গ্লো-প্লাগ ব্যবহৃত হয়,যার জন্য গাড়ী স্টার্ট করতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ৭. ডিজেল ইঞ্জিন অনেক শব্দ করে চলে আর অনেক বেশি কম্পন সৃষ্টি করে। ৮. গ্যাসোলিন ফুয়েল ডিজেল ফুয়েল থেকে অনেক সহজলভ্য। এই সব অসুবিধার কারণে ডিজেল ইঞ্জিন সাধারণ ভাবে ব্যবহার করা হয় না। তবে ডিজেল ইঞ্জিনের কিছু সুবিধাও আছেঃ ১.সস্তা ফুয়েল এবং ২.ইঞ্জিনের দীর্ঘায়ু। তথ্যসূত্রঃ howstuffworks.com