shohanrand1

Call

সুনিতা উইনিয়ামসঃ ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানী সুনিতা উইনিয়ামস ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। এ বিষয়ে ইন্টারনেটে অনেক খবর পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক ডজন ওয়েবসাইটে তার ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর প্রচার করা হচ্ছে। তবে কোনো খবরই বিশ্বস্থ কোন সূত্র উল্লেখ করতে পারেনি। যেসব ওয়েবসাইটে এ খবর প্রচার করা হচ্ছে তারাই বলছে এর পক্সে সরকারী বা অফিসিয়াল কোনো প্রমাণ নেই। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানী সুনিতা উইলিয়ামস ২০০৬সালের ৯ ডিসেম্বর মহাকাশযান ডিসকভারিতে চড়ে মহাশূন্যে গমন করেন এবং ১৬৭ দিন মহাশূন্যে অবস্থান করে রেকর্ড গড়েন। ই্ত:পূর্বে আর কোন মহিলা নভোচারী এত দিন মহাশূন্যে অবস্থান করেননি। ২০০৭ সালের ২২জুন তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ওয়েবসাইটে প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, সুনিতা মহাশূন্যে অবস্থানকালে কালো সদৃশ পৃথিবীতে দু'টি উজ্জ্বল স্থান দেখতে পান। শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে তিনি ওই স্থান দু'টি দেখেন এবং স্থান দু'টির একটি সৌদি আরবের মক্কা নগরীর পবিত্র কাবাঘর এবং অপরটি মদিনার মসজিদে নব্বীর দৃশ্য বলে জানতে পারেন। ওয়েবসাইটে নাসা বিজ্ঞানীর বরাত দিয়ে এ ছবি দু'টিও প্রচার করা হচ্ছে। খবরে আরো বলা হয়েছে, তিনি ওই দু'টি স্থান থেকে আসা আজানের ধ্বনিও শুনেছেন। এ অভাবনীয় ঘটনার পর তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। গুগল ওয়েবসাইটে সুনিতা উইলিয়ামস সার্চ দিলেই এ জাতীয় অনেক খবর চোখে পড়বে।Sunita Williams ১৯৮৭ সালে সুনিতা মার্কিন নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে নাভাল অফিসার হিসেবে নাসায় যোগদান করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে মহাশূন্য থেকে ফিরে আসার পর সুনিতা ভারত সফর করেন এবং সেখানে তাকে বিরোচিত সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধীসহ আরো জনপ্রিয় নেতার সাথে সাক্ষাত করেন। সুনিতার পিতার নাম ড. দিপক পান্ডে। গুজরাট রাজ্যের নাগরিক দিপক পান্ডে বর্তমানে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে সপরিবারে বসবাস করছেন এবং তিনি একজন খ্যাতিমান নিউরোএনাটমিষ্ট। সুনিতার জন্ম ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্টের ওহাইয়ো রাজ্যে। তার স্বামীর নাম মাইকেল উইলিয়ামস। তিনিও ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে বাস করছেন। নীল আর্মস্ট্রংঃ অবশ্যই ‘না’, এটি সম্পূর্ণ একটি গুজব। মুসলিমধর্মব্যবসায়ীদের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে উৎপন্ন তাদের অন্তঃসারশূণ্য গর্বের নিকৃষ্ট উদাহরণ এটি। এই গুজবের ডালপালা ছড়াল যেভাবে : এই কাহিনীর দু’টি ভার্সন পাওয়া যায়। প্রথম কাহিনী: আর্মস্ট্রং যখন চাঁদের মাটিতে হাটছিলেন তখন এক অচেনা ভাষায় অদ্ভুতসুরে তিনি কিছু শব্দমালা শুনতে পান। সেই শব্দমালা সেই সময় তার বোধগম্য হয়নি। পরবর্তীতে পৃথিবীতে ফেরার পর তিনি ইজিপ্টে যান এবং সেখানে আযানের ধ্বনি শোনেন। তিনি বলেন, “আমি যখন চাঁদে গিয়েছিলাম তখন এরকমই কিছু শুনতে পেয়েছিলাম”। তখন তার ইজিপ্সিয়ানবন্ধু এটিকে আযানের ধ্বনি জানালে তিনি তৎক্ষনাৎ ইসলাম গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় কাহিনী: আর্মস্টং যখন চাঁদের মাটিতে তথ্যানুসন্ধান করছিলেন তখন তিনি চাঁদের মাটিতে এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তপর্যন্ত একটি লম্বা দীর্ঘ ফাটল দেখতে পান। এই ফাটলের সাথে তিনি তিনি মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার কাহিনীর যোগসূত্র খুঁজে পান। মুহাম্মদের চাঁদ দ্বিখন্ডিত করার কাহিনীর চাক্ষুস প্রমাণ পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে এসে দেরি করেননি, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। (এখানে একটু বলা প্রয়োজন, মুসলিম ধর্মব্যবসায়ীদের চাঁদের আকার সম্পর্কে সম্ভবত কোন ধারনাই নেই, নয়তো তারা কিভাবে ভাবলেন, চাঁদের এই বিশাল ফাটল দেখার জন্য আর্মষ্টং সত্যিই এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত চষে বেরিয়েছেন?) এই গুজবের অসারতার পক্ষে কিছু প্রমাণ (১) Answering Islam নামক ওয়েবসাইটে নীচের চিঠিটি পাওয়া গেছে। http://www.answering-islam.org/Hoaxes/neil.html এখানে লেবানন শব্দটি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। অনেকেই ভাবেন আর্মস্টং মুসলিম হয়ে লেবাননে থাকেন। হ্যাঁ, আর্মস্টং লেবাননেই থাকেন, তবে এই লেবানন মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন নয়, এটি আমেরিকার মধ্যপশ্চিমের একটি জায়গা। (২) নীচের বার্তাটি ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট হতে ইসলামিক বিশ্বের সকল দূতাবাসগুলোতে প্রেরিত হয়েছিল। মূল কপির ফটোকপি দেখা যাবে এখানে। http://ourislamonline.tripod.com/neilstatementdeptt.htm কেউ কেউ হয়তো এখনো আমার তথ্যপ্রমাণকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবেন। তাদের জন্য একটি সাম্প্রতিক তথ্যসূত্র উল্লেখ করছি। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর ৬ তারিখে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত “গ্লোবাল লিডারশিপ ফোরাম” এ নীল আর্মষ্ট্রং অংশগ্রহণ করেন। মালয়েশিয়ার সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজী দৈনিক “স্টার মালয়েশিয়া” তখন তার একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে যা প্রকাশিত হয় ৭ ই সেপ্টেম্বর তারিখে। সেই সাক্ষাৎকারে সৌভাগ্যবশত একটি বাক্য ছিল যা নিম্নরূপ : Armstrong, 75, also denied he had heard theMuslim call to prayer on the moon and had converted to Islam. http://www.thestar.com.my/news/story.asp?file=%2F2005%2F9%2F7%2Fnation%2F11971532&sec=nation বাকিটা আল্লাহই ভাল জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ