shohanrand1

Call

ডাঃ জাকির নায়েকঃ অ্যানথ্রোপোমরফিজম মানে হল পৃথিবীতে স্রষ্টার এমন রূপ নিয়ে আসা যেগুলো সম্পর্কে মানুষের জানা আছে। যেহেতু স্রষ্টা জীবের রূপ নিয়ে আসছে, তাই মানুষ ঐ জীবরুপী ঈশ্বরকে সম্মান দেবে। কিন্তু ইসলাম এ ধরনের দর্শনে বিশ্বাস করে না। … … অ্যানথ্রোপোমরফিজমের ভিত্তি হল এ বিশ্বাস যে, “আমাদের সৃষ্টিকর্তা এত মহান, এত পবিত্র, এত ধার্মিক যে তিনি মানুষের অসুবিধাগুলো বুঝতে পারেন না। তিনি এত পবিত্র ও বিশুদ্ধ যে তিনি উপলব্ধি করতে পারেন না (নাউযুবিল্লাহ্‌) যে, মানুষের কেমন লাগে যখন ব্যথা পায় বা কোন সমস্যায় পড়ে। তাই তিনি একজন মানুষ হয়ে জানতে চান যে, কোনটা মানুষের জন্য ভাল আর কোনটা খারাপ। অন্য কথায়, স্রষ্টা এত পবিত্র যে, তিনি মানুষের সীমাবদ্ধতাগুলো উপলব্ধি করতে পারেন না, তাই তিনি মানুষ হয়ে জানতে চান তাদের সীমাবদ্ধতাগুলো। এ যুক্তিটা শুনতে খুব ভাল মনে হতে পারে। কিন্তু একজন মানুষ যদি একটি ভিসিআর তৈরি করে, উক্ত ভিসিআরের সমস্যাগুলো বুঝতে কি তাকে ভিসিআর হতে হবে? অবশ্যই না; বরং ভিসিআরটি তৈরিকারী হিসেবে তাঁর নিজেরই জানা থাকবে কিভাবে চালালে সমস্যার সৃষ্টি হবে আর কিভাবে চালালে কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই চলবে। আর সে এজন্য একটি ব্যবহারবিধি তৈরি করবে যাতে ব্যবহারকারী এটি সঠিকভাবে চালাতে পারে। একইভাবে আল্লাহ্‌ তা‘আলা মানুষের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবহারবিধি দিয়েছেন, তা হল পবিত্র ক্বুর‘আন। এখন অনেকে মনে করেন যে আল্লাহ্‌র যে হাতের কথা বলা আছে তা মানুষের হাতের মত। বিশেষ করে যারা এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন তাঁরা এমনটিই মনে করেন। পবিত্র ক্বুর‘আন -এর সূরাহ শূরার ১১ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “কোন কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়” অর্থাৎ আল্লাহ্‌র সাদৃশ্য কোন কিছুই নেই। তিনি শোনেন ও দেখেন, তবে সে শোনা বা দেখা আমাদের মত নয়। একইভাবে সূরাহ ইখলাসের ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে- “তাঁর সমতুল্য কেউ নেই” তাই ক্বুর‘আন-এ যেখানে আল্লাহ্‌ হাতের কথা বলছেন সেখানে তিনি মানুষের হাতের মত কোন হাতের কথা বলছেন না। এবং তা কি রকম সে ব্যাপারে তিনিই ভাল জানেন। অন্যান্য ধর্মে অ্যানথ্রোপোমরফিজম বলতে মানুষ-ঈশ্বর কে বুঝায়। ঈশ্বর যখন মানুষের রূপ নিয়ে জন্মান তখন তাঁর খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অথচ পবিত্র ক্বুর‘আন -এর সূরাহ আন‘আমের ১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “তিনি খাদ্য দান করেন, তাকে কেউ খাদ্য দান করে না” আবার মানবরূপী ঈশ্বরের ঘুমানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুরআনের সূরাহ বাক্বারাহ’র ২৫৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে- “আল্লাহ্‌ চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর, তাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। তিনি কখনও ঘুমান না এবং তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না” সুতরাং ক্বুর‘আনে আল্লাহ্‌র হাতের যে কথা বলা হয়েছে তা অ্যানথ্রোপোমরফিজম নয়। তাই এর প্রকৃত অর্থ বা রূপ কি তা আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন। আল্লাহ্‌ আমাদের স্রষ্টা এবং কোন সৃষ্টির সাথে তাঁর সাদৃশ্য নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহর হাতে বলতে বুঝানো হয় আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে এর মানে এই না যে আল্লাহর হাতের মত কোন অঙ্গ আছে। আর আল্লাহকে দেখতে পাওয়ার অর্থ এই নয় যে তাঁকে স্বশরীরে দেখব এর অর্থ এই যে তার অস্তিত্তের প্রকাশ অনুভব করব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

ইসলামে ওহীর বাইরে কোন দর্শন নেই

আল্লাহর হাত, পা, আছে, কথা বলতে পারেন, শুনের, হাসতে পারে,বেজার হন,খুশী  হয় এগুলো কোন কিছুর সাথে মিল নেই,  আল্লা আল্লার মতো  এগুলো কেমন আমাদের তিনি জানাননি তাই জানিনা, ( সুরা ইখলাস)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ