মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বেহেশত প্রার্থনা কর তাদের পূর্বে, যার কুরআন শিক্ষা করে তার মাধ্যমে দুনিয়া যাচাই করবে। যেহেতু কুরআন তিন ব্যক্তি শিক্ষা করে, প্রথমতঃ সেই ব্যক্তি, যে তার দ্বারা বড়াই করবে। দ্বিতীয়তঃ সেই ব্যক্তি, যে তার দ্বারা উদরপূর্তি করবে এবং তৃতীয়তঃ সেই ব্যক্তি, যে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে তেলাঅত করবে।” (আবু উবাইদ, হাকেম, সিলসিলাহ সহিহাহ ২৫৮ নং) তিনি বলেন, “তোমরা কুরআন পাঠ কর এবং তার নির্দেশ পালন কর, তার ব্যাপারে অবজ্ঞা প্রদর্শন অ অতিরঞ্জন করো না এবং তার মাধ্যমে উদরপূর্তি ও ধনবৃদ্ধি করো না। (সহিহুল জামে ১১৬৮ নং) তিনি আর বলেন, “যে ব্যক্তি আখেরাতের কর্ম দুনিয়া লাভের উদেশ্যে করবে, তার জন্য আখেরাতের কোন ভাগ থাকবে না।” (আহমাদ ) তিনি আরও বলেন, “ যে ব্যক্তি কোন এমন ইলম অন্বেষণ করে যার দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশা করা হয়, যদি সে তা কেবল মাত্র পার্থিব সম্পদ লাভের উদ্দেশ্যেই অন্বেষণ করে তবে সে কিয়ামতের দিন জানাতের সুগন্ধও পাবে না।” (আবি দাউদ, আহমাদ, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান) আসলেই দ্বীনের কোন কাজকেই দুনিয়ার স্বার্থেই ব্যবহার করা বৈধ নয় । অর্থ, গদি, সন্মান, খ্যাতি ইত্যাদি লাভের জন্য দ্বীনকে ব্যবহার করা বৈধ নয়। তবে যে ব্যক্তি উদ্দেশ্য ঠিক রেখে বেতন গ্রহণ করবে, তার জন্য তা দূষণীয় হবে না। মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার দ্বীনের উপকার হতে হবে। হাদিসে এসেছে, আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী (সঃ) এর কিছু সাহাবা আরবের কোন এক বসতিতে এলেন। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা তাদেরকে মেহমান রূপে বরন করল না (এবং কোন খাদ্য ও পেশ করলেন না)। অতঃপর তারা সেখানে থাকা অবস্থায় তাদের সর্দারকে (বিচ্ছুতে) দংশন করল। তারা বলল, ‘তোমাদের কাছে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী (ওঝা) অথবা ঔষধ আছে?’ তারা বললেন, ‘ তোমরা আমাদেরকে মেহমান রূপে বরন করলে না। সুতরাং আমরাও পারিশ্রমিক ছাড়া (ঝাড়ফুঁক) করব না।’ ফলে তারা এক পাল ছাগল পারিশ্রমিক নির্ধারণ করল। একজন সাহাবি উম্মুল কুরআন (সুরা ফাতিহা) পড়তে লাগলেন এবং থুথু জমা করে (দংশনের জায়গায়) দিতে লাগলেন। সর্দার সুস্থ হয়ে উঠল। তারা ছাগলের পাল হাজির করল। তারা বললেন, ‘আমরা নবী (সঃ) কে জিজ্ঞাসা না করে গ্রহণ করব না।’ সুতরাং তাকে তারা জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি হেসে বললেন, “ তোমাকে কিসে জানালো যে, ওটি ঝাড়ফুঁকের মন্ত্র? ! ছাগলগুলো গ্রহণ কর এবং আমার জন্য একটি ভাগ রেখও।” (বুখারি ৫৭৩৬ নং) এক বর্ণনায় আছে নবী (সঃ) তাদেরকে বললেন, “তোমরা ঠিক করেছ।” (বুখারি ২২৭৬ নং) এক বর্ণনায় আছে, “তোমরা যে সব জিনিসের উপর পারিশ্রমিক গ্রহণ কর, তার মধ্যে আল্লাহর কিতাব সব চেয়ে বেশি হকদার।” (বুখারি ৫৭৩৭ নং ) এ হাদিস থেকেও বুঝা জায় যে, কুরআন দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে পারিশ্রমিক নেওয়া হালাল। অনুরূপ তা শিক্ষা দিয়েও পারিশ্রমিক নেওয়া হালাল।” (ইবনে বাজ )

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সহজ উত্তর হচ্ছে আপনার হাদীস ঠিক আছে আপনার হাদিস অনুযায়ী বেতন নেয়া নাজায়েজ প্রমানিত হয় তবে বর্তমানে বেতন নেয়া জায়েজ এজন্য যে আগেরকার যুগে যখন বেতন নেয়া নাজায়েজ ছিলো তখন যারা কুর আন পড়াতো ইত্যাদি ইসলামের কাজে নিয়োজিত ছিলো তাদেরকে বাইতুল মাল থেকে বেতন দেয়া হতো তাই তারা কুর আন ইত্যাদি শিখিয়ে পারিশ্রমিক নিতোনা এবং সেটা নাজায়েজ ছিলো কিন্তু বর্তমানে তো বাইতুল মাল থেকে কাউকে বেতন দেয়না তাই এখন যদি তারা পারিশ্রমিক না নেয় তাহলে তাদের সংসার চলবে কিভাবে? এখন যদি তারা পারিশ্রমিক নাজায়েজ হওয়ার কারনে না নেয় তাহলেতো তাদের সংসার চলবেনা এবং এ কারনে তারা কুর আন শিক্ষা ইত্যাদির কাজ ছেড়ে দিবে ছেড়ে দিয়ে তারা অন্য ছাকরি করবে কারন এতে তারা পারিশ্রমিক পাচ্ছেনা তাদের সংসার ও চলছেনা অবশেষে ফলাফল দাড়াবে সবাই ইসলামের কাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে লেগে যাবে এবং এতে ইসলাম ধংস হয়ে যাবে তাই একারনে পরবর্তী মুফতীগন পারিশ্রমিক কে জায়েজ বলেছেন। আশা করি এবার বুজতে পেরেছেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ